Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দরে ধর্মঘটে অচলাবস্থা, পণ্য জটের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫২
চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক-ট্রেইলার প্রবেশ বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক-ট্রেইলার প্রবেশ বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহনের প্রবেশ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বন্দরের মালামাল পরিবহনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে বন্দরে কোনো গাড়ি প্রবেশ করেনি, ভেতর থেকেও কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। এতে বন্দরে পণ্যের জট তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে ৫টা) পরিবহনমালিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার না করায় বন্দরের পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি।

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) সংশোধিত শুল্ক তালিকা অনুযায়ী বন্দরের সব ধরনের গাড়ির প্রবেশ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যা ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন ফি অনুযায়ী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইম মুভার ট্রেলারের মতো ভারী যানবাহনের প্রবেশমূল্য আগের ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে প্রতি গাড়িতে ২৩০ টাকা করা হয়েছে, যা প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি।

ফি বাড়ানোর পর থেকে গত তিন দিন তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আংশিকভাবে মালামাল পরিবহন বন্ধ রাখে পরিবহন সংগঠনগুলো। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক-ট্রেইলার প্রবেশ বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক-ট্রেইলার প্রবেশ বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দাবি খুবই সাধারণ। আমরা বর্ধিত ফি প্রত্যাহার চাই। কর্তৃপক্ষ যদি আগের হার পুনর্বহাল না করে, তাহলে বন্দরে গাড়ি চালাব না। ফি যদি বাড়াতেই হয়, তাহলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

নতুন প্রবেশ ফি ২৩০ টাকা হলেও মালিকদের ৩০০ দিতে হচ্ছে। সরকারি ফি বাদেও সেখানে এই-সেই ফি হিসেবে এই টাকা দিতে হয়। মালিকেরা এত লস দিয়ে সেখানে গাড়ি চালাবে না। তিনি বলেন, ‘রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক রয়েছে।’

সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ গেটের সামনে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার ও ট্রেইলারগুলোর কোনো জটলা নেই। বন্দরের বিভিন্ন গেট দিয়ে মালামাল পরিবহনের গাড়িগুলোর যাওয়া-আসা নেই, যেখানে ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত থাকত বন্দরের মালামাল পরিবহন ঘিরে। গাড়িগুলো রাখা ছিল বন্দরসংলগ্ন বিভিন্ন সড়ক ও বেসরকারি ডিপোগুলোতে।

বন্দরের ৫ নম্বর গেটের বাইরে পরিবহনমালিক ও চালকদের একটি অংশের জমায়েত দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সময় পরিবহন সংগঠনগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে সভা-সমাবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কর্তৃক বন্দর এলাকায় চট্টগ্রামে সভা-সমাবেশের ওপর ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংগঠনগুলো কোনো কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকে।

আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দরে সাত হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার ও ট্রেইলর চলাচল করে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে কী ধরনের পণ্য থাকে

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

এখনো যথেষ্ট আগুন রয়েছে, তবে নিয়ন্ত্রণে

এলাকার খবর
Loading...