আব্দুর রহমান
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি যাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তিতে তাঁর মধ্যস্থতা, ভারত-পাকিস্তানসহ একাধিক আঞ্চলিক বিরোধে তাঁর ভূমিকার দাবি এবং কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে মনোনয়ন—তাঁকে আবারও আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। তবে এই মনোনয়নকে ঘিরে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলো আসলেই কতটা বাস্তবসম্মত তাঁর এই পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাস ও প্রক্রিয়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আলফ্রেড নোবেলের উইলে বলা আছে, পুরস্কার দেওয়া হবে সেই ব্যক্তিকে বা প্রতিষ্ঠানকে, যে বা যারা ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ কমানো এবং স্থায়ী শান্তি আনতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি খুবই গোপনীয়। মনোনয়ন পাঠানোর শেষ সময় ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন। এরপর নোবেল কমিটি গোপন বৈঠকে তালিকা তৈরি করে এবং নির্বাচিত নামটি ঘোষণা করে অক্টোবরের প্রথম দিকে। মনোনয়ন পাওয়াটা একেবারেই সহজ বিষয় নয়, তবে অনেক সময় প্রচুর নাম উঠে আসে। এ বছরই শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন মানেই পুরস্কার নয়—এটি কেবল প্রাথমিক ধাপ।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ট্রাম্প নিজেই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি। অর্থাৎ, মনোনীত করার শেষ দিনের মাত্র দিন দশেক আগে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর ঘাঁটলে দেখা যায়, এই দিন দশেকের মধ্যে কেউই ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেননি।
এক সময় নিজেকে ‘পিসমেকার ইন–চিফ’ দাবি করা ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টা মূলত মধ্যপ্রাচ্যকে ঘিরে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির পথে এসেছে। চুক্তির খসড়ায় গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার, বন্দী বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং হামাসের সশস্ত্র শক্তি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
ট্রাম্পের কূটনৈতিক সাফল্যের তালিকায় সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করা হয় ২০২০ সালের ‘আব্রাহাম চুক্তিকে।’ মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের ‘দূরদৃষ্টি ও সাহসী নেতৃত্বের’ প্রশংসা করেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও দেন তিনি।
তবে এই চুক্তিতে ফিলিস্তিন ইস্যুকে কার্যত পাশ কাটানো হয়। ইসরায়েলের জন্য সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাই এর মূল ফোকাস ছিল। কিন্তু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়াই বর্তমান ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের অন্যতম কারণ। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন ইসরায়েল খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো জরুরি সরবরাহ বন্ধ করে গাজায় অবরোধ আরোপ করে। এতে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়।
শান্তির নামে ট্রাম্প প্রথমে এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রস্তাব দেন গাজা দখল করে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার—যা জাতিসংঘের ভাষায় ‘জাতিগত নির্মূলীকরণ’-এর ঝুঁকি তৈরি করেছিল। যদিও পরবর্তীতে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে তিনি গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যা সাময়িক স্বস্তি দেয়। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এ ধরনের যুদ্ধবিরতি বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসেনি।
আব্রাহাম চুক্তি মূলত একটি লেনদেনভিত্তিক কূটনীতির কাঠামো তৈরি করে, যেখানে বহুপক্ষীয় ঐকমত্যের বদলে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ ও অস্বাভাবিক প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ধরনের নির্বাচনী সমঝোতা আসলে রিয়ালপলিটিকের যুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, যেখানে নৈতিক দায়বদ্ধতার চেয়ে স্বল্পমেয়াদি জাতীয় স্বার্থই বেশি গুরুত্ব পায়।
এর বাইরেও ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, তিনি অন্তত সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তিনি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষ, সার্বিয়া-কসোভো, মিশর-ইথিওপিয়া, এমনকি উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখার কৃতিত্ব নিয়েছেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন মানেত তাঁকে মনোনয়ন দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের আঞ্চলিক মধ্যস্থতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি আনতে সাহায্য করেছে।
পাকিস্তানও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ভারত-পাক উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও তাঁর নাম মনোনয়ন তালিকায় পাঠিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিপরীতে ইউক্রেনের এক আইনপ্রণেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিচুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দলের সদস্য ওলেক্সান্দর মেরেজকো গত জুনে নিউজউইক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রিপাবলিকান এই নেতা ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন—এমন বিশ্বাস ও আস্থা তার আর নেই।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। কিন্তু রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আক্রমণের সাড়ে তিন বছর পরও যুদ্ধের দ্রুত সমাধানের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মত হয়েছিল। তবে মস্কোর কাছে চাপ তৈরি করতে বাইডেন প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে অনীহা দেখিয়েছে।
তখন মেরেজকো বলেছিলেন, ট্রাম্প আসলে ‘এড়িয়ে যাচ্ছেন—তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন—রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয়তা থেকে।’ যদিও ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবেন, কিন্তু তার প্রশাসন এখনো সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
নোবেল কমিটির অবস্থান এখানে পরিষ্কার। কমিটির সভাপতি জর্জেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস জানিয়েছেন, একটি বৈধ মনোনয়ন যথেষ্ট। তবে তাঁদের সিদ্ধান্ত কেবল নোবেলের বিধি অনুসারে হয়, কোনো রাজনৈতিক চাপ বা প্রচারণা দিয়ে প্রভাবিত হয় না। এ কারণেই ট্রাম্পের পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় প্রবল। কারণ নোবেল কমিটি সাধারণত প্রচারণা বা আত্মপ্রচারের দিকে না তাকিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তির প্রভাবকেই বিবেচনা করে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রচেষ্টা অনেকাংশে প্রতীকী এবং রাজনৈতিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই মনোনয়ন আসলে ‘শান্তির চেয়ে চেহারা রক্ষার’ উদ্দেশ্যেই বেশি। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির গবেষক থিও জেনো মন্তব্য করেছেন, ‘ট্রাম্পের প্রচেষ্টা এখনো প্রাথমিক এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে।’
মার্কিন রাজনীতিতেও বিষয়টি আলোচিত। হোয়াইট হাউসের বর্তমান প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, অনেক আগেই ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। তবে ভিন্নমতও আছে। সিআইএ—এর সাবেক প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন পানেটা মনে করেন, ট্রাম্প সত্যিই শান্তি চান, কিন্তু বাস্তবে বর্তমানে ইউক্রেন, গাজা বা বিশ্বের অন্য কোথাও স্থায়ী শান্তি নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এই পরিস্থিতিতে কোনো শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র। ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন নাগরিকদের ৭৬ শতাংশ মনে করেন, ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নন। তবে তাঁর সমর্থকেরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাম্প নিজেও একাধিকবার বলেছেন, ‘আমি হয়তো কোনো দিন নোবেল পাব না, কিন্তু জনগণ জানে আমি কী করেছি।’
আরও কিছু কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে দিচ্ছেন এবং এর ফলে পুরস্কার প্রদানকারী নরওয়েজীয় কমিটি তাঁর প্রতি আগ্রহী নয়। বরং কমিটি মানবিক সংগঠনগুলোর কাজকে সামনে আনতে পারে।
নোবেল ইতিহাসবিদ আসলে সভেন বলেন, ‘তাঁর (ট্রাম্পের) একেবারেই কোনো সুযোগ নেই শান্তি পুরস্কার জেতার।’ কারণ হিসেবে তিনি গাজায় ইসরায়েলকে সমর্থন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
অসলোভিত্তিক পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছেন, পুরোনো বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন। আমরা যখন শান্তিপ্রিয় কোনো প্রেসিডেন্টের কথা ভাবি—এগুলো মোটেও তার সঙ্গে মেলে না।’
আজ বৃহস্পতিবার অক্টোবর বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পুরস্কার পেতে পারে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউনিসেফ, রেড ক্রস, ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’ কিংবা সুদানের স্থানীয় সংগঠন ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস’।
সব মিলিয়ে ট্রাম্পের মনোনয়ন আন্তর্জাতিক রাজনীতির জন্য একটি বড় আলোচনার বিষয়। তাঁর ভূমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ স্পষ্ট। একদিকে তাঁর সমর্থকেরা শান্তি চেষ্টার কৃতিত্ব তুলে ধরছেন, অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রচেষ্টা স্থায়ী হয়নি। নোবেল শান্তি পুরস্কার যেহেতু মূলত টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেওয়া হয়, তাই ২০২৫ সালে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা সীমিত বলেই অনেকে মনে করছেন। তবে ভবিষ্যতে যদি তাঁর প্রচেষ্টা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থায়ী প্রভাব তৈরি করে, তখন তাঁর নাম আবারও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, নিউজউইক ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
লেখক: আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি যাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তিতে তাঁর মধ্যস্থতা, ভারত-পাকিস্তানসহ একাধিক আঞ্চলিক বিরোধে তাঁর ভূমিকার দাবি এবং কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে মনোনয়ন—তাঁকে আবারও আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। তবে এই মনোনয়নকে ঘিরে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলো আসলেই কতটা বাস্তবসম্মত তাঁর এই পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাস ও প্রক্রিয়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আলফ্রেড নোবেলের উইলে বলা আছে, পুরস্কার দেওয়া হবে সেই ব্যক্তিকে বা প্রতিষ্ঠানকে, যে বা যারা ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ কমানো এবং স্থায়ী শান্তি আনতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি খুবই গোপনীয়। মনোনয়ন পাঠানোর শেষ সময় ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন। এরপর নোবেল কমিটি গোপন বৈঠকে তালিকা তৈরি করে এবং নির্বাচিত নামটি ঘোষণা করে অক্টোবরের প্রথম দিকে। মনোনয়ন পাওয়াটা একেবারেই সহজ বিষয় নয়, তবে অনেক সময় প্রচুর নাম উঠে আসে। এ বছরই শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন মানেই পুরস্কার নয়—এটি কেবল প্রাথমিক ধাপ।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ট্রাম্প নিজেই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি। অর্থাৎ, মনোনীত করার শেষ দিনের মাত্র দিন দশেক আগে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর ঘাঁটলে দেখা যায়, এই দিন দশেকের মধ্যে কেউই ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেননি।
এক সময় নিজেকে ‘পিসমেকার ইন–চিফ’ দাবি করা ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টা মূলত মধ্যপ্রাচ্যকে ঘিরে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির পথে এসেছে। চুক্তির খসড়ায় গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার, বন্দী বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং হামাসের সশস্ত্র শক্তি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
ট্রাম্পের কূটনৈতিক সাফল্যের তালিকায় সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করা হয় ২০২০ সালের ‘আব্রাহাম চুক্তিকে।’ মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের ‘দূরদৃষ্টি ও সাহসী নেতৃত্বের’ প্রশংসা করেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও দেন তিনি।
তবে এই চুক্তিতে ফিলিস্তিন ইস্যুকে কার্যত পাশ কাটানো হয়। ইসরায়েলের জন্য সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাই এর মূল ফোকাস ছিল। কিন্তু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়াই বর্তমান ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের অন্যতম কারণ। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন ইসরায়েল খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো জরুরি সরবরাহ বন্ধ করে গাজায় অবরোধ আরোপ করে। এতে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়।
শান্তির নামে ট্রাম্প প্রথমে এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রস্তাব দেন গাজা দখল করে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার—যা জাতিসংঘের ভাষায় ‘জাতিগত নির্মূলীকরণ’-এর ঝুঁকি তৈরি করেছিল। যদিও পরবর্তীতে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে তিনি গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যা সাময়িক স্বস্তি দেয়। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এ ধরনের যুদ্ধবিরতি বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসেনি।
আব্রাহাম চুক্তি মূলত একটি লেনদেনভিত্তিক কূটনীতির কাঠামো তৈরি করে, যেখানে বহুপক্ষীয় ঐকমত্যের বদলে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ ও অস্বাভাবিক প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ধরনের নির্বাচনী সমঝোতা আসলে রিয়ালপলিটিকের যুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, যেখানে নৈতিক দায়বদ্ধতার চেয়ে স্বল্পমেয়াদি জাতীয় স্বার্থই বেশি গুরুত্ব পায়।
এর বাইরেও ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, তিনি অন্তত সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তিনি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষ, সার্বিয়া-কসোভো, মিশর-ইথিওপিয়া, এমনকি উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখার কৃতিত্ব নিয়েছেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন মানেত তাঁকে মনোনয়ন দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের আঞ্চলিক মধ্যস্থতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি আনতে সাহায্য করেছে।
পাকিস্তানও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ভারত-পাক উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও তাঁর নাম মনোনয়ন তালিকায় পাঠিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিপরীতে ইউক্রেনের এক আইনপ্রণেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিচুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দলের সদস্য ওলেক্সান্দর মেরেজকো গত জুনে নিউজউইক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রিপাবলিকান এই নেতা ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন—এমন বিশ্বাস ও আস্থা তার আর নেই।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। কিন্তু রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আক্রমণের সাড়ে তিন বছর পরও যুদ্ধের দ্রুত সমাধানের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মত হয়েছিল। তবে মস্কোর কাছে চাপ তৈরি করতে বাইডেন প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে অনীহা দেখিয়েছে।
তখন মেরেজকো বলেছিলেন, ট্রাম্প আসলে ‘এড়িয়ে যাচ্ছেন—তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন—রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয়তা থেকে।’ যদিও ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবেন, কিন্তু তার প্রশাসন এখনো সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
নোবেল কমিটির অবস্থান এখানে পরিষ্কার। কমিটির সভাপতি জর্জেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস জানিয়েছেন, একটি বৈধ মনোনয়ন যথেষ্ট। তবে তাঁদের সিদ্ধান্ত কেবল নোবেলের বিধি অনুসারে হয়, কোনো রাজনৈতিক চাপ বা প্রচারণা দিয়ে প্রভাবিত হয় না। এ কারণেই ট্রাম্পের পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় প্রবল। কারণ নোবেল কমিটি সাধারণত প্রচারণা বা আত্মপ্রচারের দিকে না তাকিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তির প্রভাবকেই বিবেচনা করে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রচেষ্টা অনেকাংশে প্রতীকী এবং রাজনৈতিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই মনোনয়ন আসলে ‘শান্তির চেয়ে চেহারা রক্ষার’ উদ্দেশ্যেই বেশি। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির গবেষক থিও জেনো মন্তব্য করেছেন, ‘ট্রাম্পের প্রচেষ্টা এখনো প্রাথমিক এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে।’
মার্কিন রাজনীতিতেও বিষয়টি আলোচিত। হোয়াইট হাউসের বর্তমান প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, অনেক আগেই ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। তবে ভিন্নমতও আছে। সিআইএ—এর সাবেক প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন পানেটা মনে করেন, ট্রাম্প সত্যিই শান্তি চান, কিন্তু বাস্তবে বর্তমানে ইউক্রেন, গাজা বা বিশ্বের অন্য কোথাও স্থায়ী শান্তি নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এই পরিস্থিতিতে কোনো শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র। ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন নাগরিকদের ৭৬ শতাংশ মনে করেন, ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নন। তবে তাঁর সমর্থকেরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাম্প নিজেও একাধিকবার বলেছেন, ‘আমি হয়তো কোনো দিন নোবেল পাব না, কিন্তু জনগণ জানে আমি কী করেছি।’
আরও কিছু কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে দিচ্ছেন এবং এর ফলে পুরস্কার প্রদানকারী নরওয়েজীয় কমিটি তাঁর প্রতি আগ্রহী নয়। বরং কমিটি মানবিক সংগঠনগুলোর কাজকে সামনে আনতে পারে।
নোবেল ইতিহাসবিদ আসলে সভেন বলেন, ‘তাঁর (ট্রাম্পের) একেবারেই কোনো সুযোগ নেই শান্তি পুরস্কার জেতার।’ কারণ হিসেবে তিনি গাজায় ইসরায়েলকে সমর্থন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
অসলোভিত্তিক পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছেন, পুরোনো বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন। আমরা যখন শান্তিপ্রিয় কোনো প্রেসিডেন্টের কথা ভাবি—এগুলো মোটেও তার সঙ্গে মেলে না।’
আজ বৃহস্পতিবার অক্টোবর বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পুরস্কার পেতে পারে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউনিসেফ, রেড ক্রস, ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’ কিংবা সুদানের স্থানীয় সংগঠন ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস’।
সব মিলিয়ে ট্রাম্পের মনোনয়ন আন্তর্জাতিক রাজনীতির জন্য একটি বড় আলোচনার বিষয়। তাঁর ভূমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ স্পষ্ট। একদিকে তাঁর সমর্থকেরা শান্তি চেষ্টার কৃতিত্ব তুলে ধরছেন, অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রচেষ্টা স্থায়ী হয়নি। নোবেল শান্তি পুরস্কার যেহেতু মূলত টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেওয়া হয়, তাই ২০২৫ সালে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা সীমিত বলেই অনেকে মনে করছেন। তবে ভবিষ্যতে যদি তাঁর প্রচেষ্টা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থায়ী প্রভাব তৈরি করে, তখন তাঁর নাম আবারও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, নিউজউইক ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
লেখক: আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক
গত ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদি দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা করেন, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্য একটি ‘উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন’ গঠন করা হবে। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশই নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয় না।
১ দিন আগেদুই বছর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে আসছে।
২ দিন আগেরুশ প্রচারণা যেসব দাবি ছড়াচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাস্তবে তার উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে রণক্ষেত্রে। ইউক্রেন এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে এগিয়ে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এবার স্বীকার করেছেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ‘লড়াই চালিয়ে যেতে এবং জয়লাভ করতে সক্ষম।’
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই এইচ-১বি ভিসার ফি ১ লাখ ডলার নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর চীনের দেখাদেখি দিল্লির নীতিনির্ধারকেরাও দক্ষ ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। ট্রাম্পের ভিসা নীতিতে কাড়াকাড়ি আরোপের পর অনেক চীনা শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিজ্ঞানী নিজ
২ দিন আগে