ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইসরায়েল ‘অপারেশন নার্নিয়া’ (Operation Narnia) নামে একটি অভিযানের আওতায় নয়জন ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকে ‘একযোগে’ হত্যা করেছে। এর পরপরই দশম ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করেছে তারা। ইসরায়েলি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ‘গোপন...
কুদস ফোর্স হচ্ছে আইআরজিসির একটি বিশেষ শাখা, যাদের প্রধান দায়িত্ব হলো ইরানের বাইরে বিভিন্ন সশস্ত্র ও মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় রক্ষা। এর মধ্যে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের হামাস।
এশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। ইরানেও সম্প্রতি হামলা করেছে ইসরায়েল। এই দুই সংকটই থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া, ইউরোপে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
বিগত কয়েক দশক ধরে ইরান-ইসরায়েল শত্রুতা ছিল অন্তরালে, কখনোই তেমন প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এই দুই দেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে তিন তিনবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ সংঘর্ষ টানা ৮ দিন ধরে চলছে। ইসরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি।
গাজা উপত্যকা ভয়াবহ ‘মানবসৃষ্ট খরা’র মুখোমুখি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। পানির সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শিশুরা এখন তৃষ্ণায় মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র জেমস এল্ডার।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েল আজ তাদের হাসপাতাল ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। এই ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় এ পর্যন্ত ৭০০টির বেশি হাসপাতাল-চিকিৎসা স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
জাতিসংঘের শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো যুক্ত হলো ইসরায়েলের নাম। শিশু হত্যা, পঙ্গুত্ব, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর হামলা এবং শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে নিয়োগ—এসব গুরুতর লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকার ভিত্তিতেই তাদের এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সারা বিশ্বের নজর যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে তখন ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ। ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া বুভুক্ষু ফিলিস্তিনিদের প্রায় প্রতিদিনই নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাড়িঘরে নিয়মিত তল্লাশি চালাচ্ছে।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও গাজায় নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আগের তুলনায় হামলার মাত্রাও কয়েকগুণ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ৯২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী—আইডিএফ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ইসরায়েলে কয়েক মাস আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারপরও আল জাজিরা আরবি ও আল জাজিরা মুবারাশ দেশটিতে অল্প কিছু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার পুরো আল জাজিরা পরিবারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।
গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আরও অন্তত ২১ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গাজার চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের সব নাগরিকেরই জননিরাপত্তামূলক সুবিধা—যেমন বোমা আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের সমান অধিকার থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামগুলোতে ইহুদি জনপদের তুলনায় নিরাপদ আশ্রয়স্থলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
ধুলোমাখা মেঝেতে বসে চিৎকার করে কাঁদছে ছোট্ট একটি মেয়ে, বিসান কুয়াইদার। ছোট ছোট হাতে বুকে জড়িয়ে ধরা তাঁর বাবার এক জোড়া জুতো। বিসানকে কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছে না। বাবাকে হারিয়েছে সে। বিসান ও তার ১০ ক্ষুধার্ত ভাইবোনের জন্য খাবার জোগাড় করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা, শাদি কুয়াইদার।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যেন বন্দুক তাক করে পাখির মতো ফিলিস্তিনিদের গুলি করে মারছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবারও গাজায় একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গুলিতে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলের একটি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের কাছ থেকে ‘উল্লাস ধ্বনি’ শোনা গেছে। এই ঘটনার পর ইসরায়েলের কারা বাহিনীর বিশেষ ‘মেটজাদা’ ইউনিটকে ডেকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট সেলগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে আক্রমণ চালানোর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংঘাতের সূচনা করে। এরপর দুদিন ইরান খুব ছোট পরিসরে জবাব দিলেও তৃতীয় দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর যেন স্রেফ নরক নামিয়ে এনেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মুহুর্মুহু আঘাত হানছে ইসরায়েলি শহরগুলোতে। বেশির ভাগ বাসিন্দাকেই আশ্রয় নি