গল্প

বৃষ্টিহীন সোমবারের উষ্ণ সকাল। হাতুড়ে দাঁতের ডাক্তার অরিলিও এস্কোবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সকাল ৬টায় তার চেম্বার খুলল। গ্লাসকেস থেকে কিছু নকল দাঁত হাতে নিল যেগুলোর শরীরের উঁচু অংশে এখনো কিছুটা চুনকামের ছাঁচ অবশিষ্ট আছে। অন্যান্য যন্ত্রপাতি রাখা টেবিলের ওপর দাঁতগুলো বড় থেকে ছোট আকারে সাজাল, দেখে মনে হ

ভাষায় রূপকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক রায়হান রাইন ‘এক মুঠো রূপক’ প্রবন্ধে লেখেন, ‘ইতিহাসের একটা পর্যায় পর্যন্ত শিল্পের অঙ্গনে ধর্মীয় রূপক ও আখ্যানের বিচরণই ছিল প্রধান।... তবে পরবর্তীকালে শিল্প-সাহিত্যে কিছু রূপকের তাৎপর্য বদলে গেছে। এমন একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ধীরে ধীরে ঘটে গেছে যে শিল্প-সা

আজ আমি অনেক খুশি। কারণটা কী তোমরা জানো? জানবেই বা কেমন করে? আমি তো তোমাদের বলিইনি। হি হি হি হি! আজকে আমি তুবার সঙ্গে পেট মোটা করে ইশকুলে যাব। ইয়ে! কী মজা! কী মজা! ও হ্যাঁ, আমার পরিচয়টা তো তোমাদের দেওয়াই হলো না।

কই যাস? পথিক থমকে দাঁড়ায়। চারদিকে তাকায়, কাউকে দেখে না কোথাও। দূরের আকাশে কালো কাক উড়ছে, ডানা মেলে। কোন শালায় কথা কয়? খিক খিক হাসি কানে আসে পথিকের, আমি, আমি কথা কই! আবার ঘুরে তাকায় পথিক, দেখি না তো কাউরে। কোন শালায় কয় কথা? ওপরের দিকে না তাকাইয়া নিচের দিকে তাকা।

-নাম কী তোর? -রানা। -বয়স কত? -সতারো। -পড়াশোনা করোস? -ক্লাস সেবেন পর্যন্ত করসি। এহন ইস্কুলে যাই না। -বাড়িতে কে কে আছে? -মা আর রুবেল ভাইজান। -তোর একটাই ভাই?

ড্রয়ার খুলে চিঠির স্তূপ বের করল চৈতি। গুনে গুনে দেখল মোট ৪৮টি চিঠি। এই ৪৮টি চিঠি ৪৮ জনের পাঠানো বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কোনো ছেলেকেই মনে ধরেনি চৈতির। তাই সবিনয়ে সবগুলো প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সৌরভকে দেখার পর তার বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠল। ফলে সে বুঝতে পেরেছে এই পৃথিবীতে প্রেম বলে সত্যি সত্যি

একজন লোক, বিমানবাহিনীর সদস্য। প্রশিক্ষণে যুদ্ধবিমান চালনায় খুব দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর বিমান হামলার দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে। দীর্ঘ পথ বিমান চালনার অনুমতি পেয়ে সে খুশি। শব্দের গতিতে ফাইটার ছুটল। দ্রুতই সে উঁচুতে উঠে গেল, আর দেখা গেল না। এত উঁচুতে উঠে যে, সে মেঘের প্রেমে পড়ে যায়।

লোকটা এক মুহূর্ত চিন্তা করল। যেন বিশেষ কেউ কি না—এ ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তারপর দ্বিধা কাটিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, বিশেষ তো অবশ্যই... বৃষ্টির মতো সুন্দর সময়ে কারও কথা মনে পড়লে সে তো বিশেষই, তাই না?’

কী মুশকিল! সল্ট ছাড়া ছোট্ট রাইয়ানের কান্না থামছেই না। এখন ওর সল্ট কোথায় পাবে! সেই কখন থেকে মা বলছে ফ্রেঞ্চফ্রাই খাও, এটাতে সল্ট আছে। স্যুপ খাও, এটাতেও সল্ট আছে। কত্তগুলা খাবার রাইয়ানের সামনে। ওর চাচা, ফুপি, দাদি সবাই বুঝিয়ে বলছে, এখানে সবগুলো খাবারেই সল্ট আছে। উঁহু! তাতেও লাভ হচ্ছে না কিছু। রাইয়ানের

বলবে এখন আবার রাজা এল কোত্থেকে? আগের সেই দিন আর আছে? ঠাকুরমার গল্পের রাজাদের সঙ্গে তাদের রাজ্যও তো সে কবে উধাও হয়ে গেছে! সে তুমি যাই বলো; এই রাজা কিন্তু দিব্যি রাজ্য পরিচালনা করছেন।

লোকটা চা চাইল। কিন্তু কনুই দিয়ে খাবে কি করে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় বসলাম। চায়ের দোকানদারকে ইশারা দিল গরম চায়ের কাপটা পাশে রাখতে। লোকটা যে বেঞ্চটার শেষ মাথায় বসেছে সেখানে যে কিঞ্চিৎ জায়গা ফাঁকা ছিল ওখানেই কাপটা রাখল চাওয়ালা। আবার শুরু করল কথা।