মেহেদী উল্লাহ
লোকটা চা চাইল। কিন্তু কনুই দিয়ে খাবে কি করে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় বসলাম। চায়ের দোকানদারকে ইশারা দিল গরম চায়ের কাপটা পাশে রাখতে। লোকটা যে বেঞ্চটার শেষ মাথায় বসেছে সেখানে যে কিঞ্চিৎ জায়গা ফাঁকা ছিল ওখানেই কাপটা রাখল চাওয়ালা। আবার শুরু করল কথা।
শ্রোতারা বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে। কথার ফাঁকে লোকটা যেই বলে উঠল, ‘কি আর কমু!’ তখন সকলে যেন নির্বাক হয়ে গেল, যেই বলে উঠল, ‘তারপর হইছে কী’, অমনি সবাই চোখ বড় বড় করে দেখার চেষ্টা করল, যেই বলে উঠল, ‘ভাইরে ভাই, শোনেন ঘটনা’, অমনি সবাই কান খাড়া করে শুনতে শুরু করল, যেই বলে উঠল, ‘বড় বড় ঢেউ আইতে আছে, আইতে আছে, খালি আইতে আছে’, অমনি সবাই সামনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করল...। এবার চা প্রায় ঠান্ডা হয়ে এলে লোকটা দুই কনুই জড়ো করে কাপটা ধরে চুকচুক করে চাটা এক টানে শেষ করে কাপটা আবার রেখে দিল।
লোকটাকে বললাম, ‘আপনি খুব সুন্দর করে গল্প বলেন!’ লোকটা নির্বিকারভাবে উত্তর দিল, ‘গল্প না, এইটা সত্য ঘটনা, তবে সুন্দর গল্পও বলতে পারি, খালি লিখতে পারি না, এই দেখেন হাত নাই।’
কনুই পর্যন্ত নেই! কিছু জানতে চাওয়ার আগেই বললেন, ‘আমি এখানেই চা খাই, গল্প শোনাই। আসলে এখানেই পাবেন। না আসলেও ক্ষতি নাই। ফোন নম্বর নিয়া যান। হেড ফোন ব্যবহার করি। গল্প শোনাতে পারব আপনারে, কোনো অসুবিধা নাই।’ বেশি কথা বলে!
২.করোনার সংক্রমণের কারণে সব বন্ধ, চা দোকান তো অবশ্যই। বাসায় সময় কাটছে না। লোকটাকে ফোন দিলাম। ভাবছি একটু গল্প করব। বন্ধ। পরপর দুই-তিন দিন ফোন করেও বন্ধ পেলাম। এর মধ্যে হঠাৎ তার ফোন! ধরতেই বলল,‘ভাই একটা ভালো গল্প জমছে। শুনাই আপনাকে? চতুর্দিকে ব্যাপক হারে হাত ধোয়াধুয়ি চলতেছে, এর মধ্যে এই ঘটনা। গল্পটা আমার হাত নিয়া!’ বলেই লোকটা হাসতে শুরু করল। তার হাসির শব্দ সইতে না পেরে আমি ফোনটা কেটে দিলাম!
লোকটা চা চাইল। কিন্তু কনুই দিয়ে খাবে কি করে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় বসলাম। চায়ের দোকানদারকে ইশারা দিল গরম চায়ের কাপটা পাশে রাখতে। লোকটা যে বেঞ্চটার শেষ মাথায় বসেছে সেখানে যে কিঞ্চিৎ জায়গা ফাঁকা ছিল ওখানেই কাপটা রাখল চাওয়ালা। আবার শুরু করল কথা।
শ্রোতারা বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে। কথার ফাঁকে লোকটা যেই বলে উঠল, ‘কি আর কমু!’ তখন সকলে যেন নির্বাক হয়ে গেল, যেই বলে উঠল, ‘তারপর হইছে কী’, অমনি সবাই চোখ বড় বড় করে দেখার চেষ্টা করল, যেই বলে উঠল, ‘ভাইরে ভাই, শোনেন ঘটনা’, অমনি সবাই কান খাড়া করে শুনতে শুরু করল, যেই বলে উঠল, ‘বড় বড় ঢেউ আইতে আছে, আইতে আছে, খালি আইতে আছে’, অমনি সবাই সামনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করল...। এবার চা প্রায় ঠান্ডা হয়ে এলে লোকটা দুই কনুই জড়ো করে কাপটা ধরে চুকচুক করে চাটা এক টানে শেষ করে কাপটা আবার রেখে দিল।
লোকটাকে বললাম, ‘আপনি খুব সুন্দর করে গল্প বলেন!’ লোকটা নির্বিকারভাবে উত্তর দিল, ‘গল্প না, এইটা সত্য ঘটনা, তবে সুন্দর গল্পও বলতে পারি, খালি লিখতে পারি না, এই দেখেন হাত নাই।’
কনুই পর্যন্ত নেই! কিছু জানতে চাওয়ার আগেই বললেন, ‘আমি এখানেই চা খাই, গল্প শোনাই। আসলে এখানেই পাবেন। না আসলেও ক্ষতি নাই। ফোন নম্বর নিয়া যান। হেড ফোন ব্যবহার করি। গল্প শোনাতে পারব আপনারে, কোনো অসুবিধা নাই।’ বেশি কথা বলে!
২.করোনার সংক্রমণের কারণে সব বন্ধ, চা দোকান তো অবশ্যই। বাসায় সময় কাটছে না। লোকটাকে ফোন দিলাম। ভাবছি একটু গল্প করব। বন্ধ। পরপর দুই-তিন দিন ফোন করেও বন্ধ পেলাম। এর মধ্যে হঠাৎ তার ফোন! ধরতেই বলল,‘ভাই একটা ভালো গল্প জমছে। শুনাই আপনাকে? চতুর্দিকে ব্যাপক হারে হাত ধোয়াধুয়ি চলতেছে, এর মধ্যে এই ঘটনা। গল্পটা আমার হাত নিয়া!’ বলেই লোকটা হাসতে শুরু করল। তার হাসির শব্দ সইতে না পেরে আমি ফোনটা কেটে দিলাম!
একজন শিল্পী সারা জীবন কেবল পালিয়েই বেড়ালেন। খ্যাতি, যশ, অর্থ এমনকি সংসারজীবন থেকে পালিয়ে হয়ে উঠলেন বোহিমিয়ান। শিল্প সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন শিল্পী এস এম সুলতান। বেঁচে থাকলে তিনি হতেন শতবর্ষী।
২ দিন আগেরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নামগুলোর একটি হলেও কেন বাঙালি মুসলমানদের একটি বৃহৎ অংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য? কেন দেড় শ বছর আগের এক কবির সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের রয়ে গেছে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক? এই দ্বন্দ্বের শুরুটা কোথায়?
৬ দিন আগেবাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অনুবাদক মশিউল আলম ইতালির চিভিতেলা রানিয়েরি ফেলোশিপে ভূষিত হয়েছেন। এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রতিবছর বিশ্বের খ্যাতিমান ভিজ্যুয়াল শিল্পী, লেখক ও সংগীতজ্ঞদের দেওয়া হয়। মশিউল আলম এই ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশি লেখক।
৯ দিন আগেরাউলিং বলেন, ‘হ্যারি পটার আর হগওয়ার্টস হঠাই আমার মাথায় চলে আসে। প্লট আর চরিত্র মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠিক করে ফেলি এটা লিখতেই হবে। অসাধারণ এক রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম।’
১২ দিন আগে