ক্রীড়া ডেস্ক
ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন সেঞ্চুরি জুটি গড়লে মনে হয়েছিল সহজেই জিতবে বাংলাদেশ। এই জুটির ওপর ভর করে ১১তম ওভারে যখন দলীয় সেঞ্চুরিতে পা রাখে বাংলাদেশ, জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল ৫৪ বলে ৪৮ রান। সে সময় দলের রানরেট ছিল ৯.৪৫। আর প্রয়োজনীয় রানরেট ছিল মাত্র ৫.৩৩। এমন সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও এক পর্যায়ে ‘জিততে পারবে তো’ শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
দলীয় ১০৯ রানে ওপেনিং জুটি ছিন্ন হওয়ার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পুরোনো ভূত ভর করে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে। বিনা উইকেটে ১০৯ থেকে একপর্যায়ে দলের স্কোর হয়ে যায়—৬ উইকেটে ১১৮! অর্থাৎ ৯ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ!
দুই ওপেনারই আউট হওয়ার আগে ফিফটি করেছেন। ৩৫ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৩৭ বলে ৫৪ করেছেন ইমন। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। আর তানজিদ ৩৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৩টি চার ও সমান ছয়ে ৩৭ বলে করেছেন ৫১ রান।
দুই ওপেনারের পর আউট হওয়া চার ব্যাটারের রান—০ (সাইফ হাসান), ৬ (জাকের আলী), ০ (শামীম হোসেন), ০ তানজিম সাকিব। দ্রুত ছয় উইকেটের পতনে মন্থর হয়ে পড়ে রান তোলার গতি। এক সময় বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে আফগানরাও। কিন্তু শেষ ওভারে যাওয়ার আগেই নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জিতে যায় বাংলাদেশ।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৬ রান। তবে সমর্থকদের বেশি উদ্বেগের মধ্যে না ফেলে নুরুল হাসান সোহান আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের করা ১৯ তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা ও তৃতীয় বলে ১ রান নেন। চতুর্থ বলে রিশাদ হোসেন চার মারলে ৮ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ২৩* করেন রান করেন সোহান। ৯ বলে ১৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন তারা। সপ্তম উইকেটে ১৮ বলে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তাঁরা।
বল হাতে রশিদ খান ১৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫১ রান তোলে আফগানিস্তান। আফগান ইনিংসের শুরুটা দেখে মনেই হয়নি তারা দেড় শ রান করতে পারবে। কিন্তু ৪০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে আফগানিদের দেড় শ পেরোনো স্কোর পেতে অবদান রেখেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৪০ ও সাত নম্বরে উইকেটে আসা মোহাম্মদ নবির ৩৮ রানের ইনিংসের।
চতুর্থ ওভারে ব্রেক-থ্রু এনে দেন নাসুম। ফেরান ইব্রাহিম জাদরানকে (১৫)। পরের ওভারে আরেক ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকে (১০) আউট করেন তানজিম হাসান সাকিব। দারউইশ রাসুলি রান আউটের শিকার হলে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে আফগানদের স্কোর—৩৩ /৩। মাঝের ওভারে এবারও করেননি রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ ইশাককে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই থিতু হওয়ার আপ্রান চেষ্টা করেছেন। হাত খুলে খেলতে যাওয়ার আগে ফিরিয়েছেন রিশাদই।
আফগান ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও। মাত্র ১টি করে উইকেট পেলেও কম রান দিয়েছেন তারা। আফগান শেষ দিকে রানের গতি বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ নবি। ২৫ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে।
ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন সেঞ্চুরি জুটি গড়লে মনে হয়েছিল সহজেই জিতবে বাংলাদেশ। এই জুটির ওপর ভর করে ১১তম ওভারে যখন দলীয় সেঞ্চুরিতে পা রাখে বাংলাদেশ, জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল ৫৪ বলে ৪৮ রান। সে সময় দলের রানরেট ছিল ৯.৪৫। আর প্রয়োজনীয় রানরেট ছিল মাত্র ৫.৩৩। এমন সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও এক পর্যায়ে ‘জিততে পারবে তো’ শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
দলীয় ১০৯ রানে ওপেনিং জুটি ছিন্ন হওয়ার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পুরোনো ভূত ভর করে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে। বিনা উইকেটে ১০৯ থেকে একপর্যায়ে দলের স্কোর হয়ে যায়—৬ উইকেটে ১১৮! অর্থাৎ ৯ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ!
দুই ওপেনারই আউট হওয়ার আগে ফিফটি করেছেন। ৩৫ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৩৭ বলে ৫৪ করেছেন ইমন। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। আর তানজিদ ৩৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৩টি চার ও সমান ছয়ে ৩৭ বলে করেছেন ৫১ রান।
দুই ওপেনারের পর আউট হওয়া চার ব্যাটারের রান—০ (সাইফ হাসান), ৬ (জাকের আলী), ০ (শামীম হোসেন), ০ তানজিম সাকিব। দ্রুত ছয় উইকেটের পতনে মন্থর হয়ে পড়ে রান তোলার গতি। এক সময় বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে আফগানরাও। কিন্তু শেষ ওভারে যাওয়ার আগেই নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জিতে যায় বাংলাদেশ।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৬ রান। তবে সমর্থকদের বেশি উদ্বেগের মধ্যে না ফেলে নুরুল হাসান সোহান আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের করা ১৯ তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা ও তৃতীয় বলে ১ রান নেন। চতুর্থ বলে রিশাদ হোসেন চার মারলে ৮ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ২৩* করেন রান করেন সোহান। ৯ বলে ১৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন তারা। সপ্তম উইকেটে ১৮ বলে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তাঁরা।
বল হাতে রশিদ খান ১৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫১ রান তোলে আফগানিস্তান। আফগান ইনিংসের শুরুটা দেখে মনেই হয়নি তারা দেড় শ রান করতে পারবে। কিন্তু ৪০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে আফগানিদের দেড় শ পেরোনো স্কোর পেতে অবদান রেখেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৪০ ও সাত নম্বরে উইকেটে আসা মোহাম্মদ নবির ৩৮ রানের ইনিংসের।
চতুর্থ ওভারে ব্রেক-থ্রু এনে দেন নাসুম। ফেরান ইব্রাহিম জাদরানকে (১৫)। পরের ওভারে আরেক ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকে (১০) আউট করেন তানজিম হাসান সাকিব। দারউইশ রাসুলি রান আউটের শিকার হলে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে আফগানদের স্কোর—৩৩ /৩। মাঝের ওভারে এবারও করেননি রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ ইশাককে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই থিতু হওয়ার আপ্রান চেষ্টা করেছেন। হাত খুলে খেলতে যাওয়ার আগে ফিরিয়েছেন রিশাদই।
আফগান ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও। মাত্র ১টি করে উইকেট পেলেও কম রান দিয়েছেন তারা। আফগান শেষ দিকে রানের গতি বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ নবি। ২৫ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের ম্যাচে এখন রোমাঞ্চকর সমাপ্তি হয়ে গেছে নিয়মিত চিত্র। ভক্ত-সমর্থকদের যখনই মনে হয় ম্যাচটা জাকের আলী অনিক-পারভেজ হোসেন ইমনরা সহজে জিতবেন, তখনই ম্যাচের ভোল পাল্টাতে শুরু করে। শারজায় গত রাতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে এমন ঘটনা।
১ ঘণ্টা আগেহাতের নাগালে থাকা ম্যাচ ফস্কে যাওয়া, সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতা—বাংলাদেশের ক্রিকেটে এ আর নতুন কী! এশিয়া কাপ, আইসিসি ইভেন্ট তো বটেই, দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও জাকের আলী অনিক-তানজিদ হাসান তামিমদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে অহরহ।
১ ঘণ্টা আগেসপ্তাহ খানেক আগেও দুবাইয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের খেলায় গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। আজ শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেখা গেল ব্যতিক্রমী চিত্র। গ্যালারি প্রায় ফাঁকাই ছিল বলা যায়। এশিয়া কাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারের ছাপই হয়তো এটি।
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্দান্ত বোলিং, অতঃপর লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ ব্যাটিং—শ্রেয়তর দল হিসেবে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা হারালেন পাকিস্তানকে। ৭ উইকেটের জয় দিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করলেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
১৪ ঘণ্টা আগে