নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাথা নিচু করে শরীফুল ইসলামকে সম্মান জানালেন নুরুল হাসান সোহান। না, বোলিংয়ের জন্য নয়, আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে শেষ ওভারের প্রথম বলে মিড অন দিয়ে মারা চারের কারণে। সেই চার হৃদয়ের ধুঁকপুকানি বন্ধ করে এনে দিয়েছে সিরিজ জয়ের স্বাদ।
শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রোমাঞ্চকর এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ। বিদেশের মাটিতে আফগানিস্তানে বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় এটি।
জয়ের জন্য লক্ষ্যটা ছিল ১৪৮ রানের। প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও বুকে কাঁপুনি ধরায় বাংলাদেশ। পরশু রাতের মতো গতকালও ভরসা হয়ে থাকেন সোহান। ব্যাটিংয়ের চিত্রটা কি বদলেছে। সেই গল্প যত বলা হবে ততই হতাশা বাড়বে বরং।
প্রথম ম্যাচে শতরানের উদ্বোধনী জুটি দেওয়া দুই ওপেনার ফিরে যান অল্পতেই। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার আগে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দুজনেই করেন ২ রান। এক চার ও দুই ছক্কায় হাল ধরার বার্তা দেন সাইফ হাসান। তাঁকেও ঝরে পড়তে হয় ১৪ বলে ১৮ রানে।
বিরুদ্ধ পরিবেশে জুটি গড়ার পথে হাঁটেন জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারী। নিজেকে প্রমোশন দিয়ে জাকের ছিলেন রানে ফেরার চেষ্টায়। দুটি ছক্কাও আসে তাঁর ব্যাট থেকে। শামীম সেই তুলনায় কিছুটা আক্রমণাত্মক। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি ৫০ পেরোনোর পর জয় মনে হচ্ছিল অবশ্যম্ভাবী। ঠিক তখনই বিপদ আরও বাড়তে শুরু করে।
জাকেরকে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলে ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ২৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান আসে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সোহানের সঙ্গে শামীম এগোচ্ছিলেন ঠিকঠাকমতোই। কিন্তু উচ্চাভিলাষী হওয়া থেকে আটকাতে পারেননি নিজেকে। নুর আহমেদকে অপ্রয়োজনীয় রির্ভাস সুইপ খেলতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি। ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রানে ফেরেন এই বাঁহাতি।
১৭তম ওভারে নাসুমকে (১০) রশিদ ও ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিন-রিশাদ হোসেনকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই শিকার করলেও হারের শঙ্কাই বরং জেগে ওঠে বেশি। তা দূরে ঠেলে স্মার্ট ব্যাটিংয়ে ৫ বল হাতে রেখে জয় এনে দেন সোহান-শরীফুল। ২১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
চমক দেখানো শরীফুলের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ২ চারে ১১ রান। এর আগে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। বাঁহাতি এই পেসার অবশ্য ছিলেন না প্রথম ম্যাচের একাদশে। তাঁর মতো একাদশে ঢুকেন সাইফউদ্দিন।
বিশ্রামে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম আহমেদ। তাঁদের ছাড়াও বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখে বাংলাদেশ। যে কারণে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে। এছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ করেন ৩০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ ও নাসুম। রিশাদ অবশ্য ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৪৫ রান দেন তিনি। নাসুম ২৫ রানেই নিজেকে আবদ্ধ রাখেন। সাইফউদ্দিন কোনো উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ২২ রান।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত একবারই আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ঘরের মাটিতে। শারজায় পরশু শেষ টি-টোয়েন্টিতে আবারও সেই সুযোগ জাকের-শরীফুলদের সামনে।
মাথা নিচু করে শরীফুল ইসলামকে সম্মান জানালেন নুরুল হাসান সোহান। না, বোলিংয়ের জন্য নয়, আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে শেষ ওভারের প্রথম বলে মিড অন দিয়ে মারা চারের কারণে। সেই চার হৃদয়ের ধুঁকপুকানি বন্ধ করে এনে দিয়েছে সিরিজ জয়ের স্বাদ।
শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রোমাঞ্চকর এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ। বিদেশের মাটিতে আফগানিস্তানে বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় এটি।
জয়ের জন্য লক্ষ্যটা ছিল ১৪৮ রানের। প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও বুকে কাঁপুনি ধরায় বাংলাদেশ। পরশু রাতের মতো গতকালও ভরসা হয়ে থাকেন সোহান। ব্যাটিংয়ের চিত্রটা কি বদলেছে। সেই গল্প যত বলা হবে ততই হতাশা বাড়বে বরং।
প্রথম ম্যাচে শতরানের উদ্বোধনী জুটি দেওয়া দুই ওপেনার ফিরে যান অল্পতেই। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার আগে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দুজনেই করেন ২ রান। এক চার ও দুই ছক্কায় হাল ধরার বার্তা দেন সাইফ হাসান। তাঁকেও ঝরে পড়তে হয় ১৪ বলে ১৮ রানে।
বিরুদ্ধ পরিবেশে জুটি গড়ার পথে হাঁটেন জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারী। নিজেকে প্রমোশন দিয়ে জাকের ছিলেন রানে ফেরার চেষ্টায়। দুটি ছক্কাও আসে তাঁর ব্যাট থেকে। শামীম সেই তুলনায় কিছুটা আক্রমণাত্মক। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি ৫০ পেরোনোর পর জয় মনে হচ্ছিল অবশ্যম্ভাবী। ঠিক তখনই বিপদ আরও বাড়তে শুরু করে।
জাকেরকে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলে ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ২৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান আসে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সোহানের সঙ্গে শামীম এগোচ্ছিলেন ঠিকঠাকমতোই। কিন্তু উচ্চাভিলাষী হওয়া থেকে আটকাতে পারেননি নিজেকে। নুর আহমেদকে অপ্রয়োজনীয় রির্ভাস সুইপ খেলতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি। ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রানে ফেরেন এই বাঁহাতি।
১৭তম ওভারে নাসুমকে (১০) রশিদ ও ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিন-রিশাদ হোসেনকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই শিকার করলেও হারের শঙ্কাই বরং জেগে ওঠে বেশি। তা দূরে ঠেলে স্মার্ট ব্যাটিংয়ে ৫ বল হাতে রেখে জয় এনে দেন সোহান-শরীফুল। ২১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
চমক দেখানো শরীফুলের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ২ চারে ১১ রান। এর আগে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। বাঁহাতি এই পেসার অবশ্য ছিলেন না প্রথম ম্যাচের একাদশে। তাঁর মতো একাদশে ঢুকেন সাইফউদ্দিন।
বিশ্রামে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম আহমেদ। তাঁদের ছাড়াও বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখে বাংলাদেশ। যে কারণে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে। এছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ করেন ৩০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ ও নাসুম। রিশাদ অবশ্য ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৪৫ রান দেন তিনি। নাসুম ২৫ রানেই নিজেকে আবদ্ধ রাখেন। সাইফউদ্দিন কোনো উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ২২ রান।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত একবারই আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ঘরের মাটিতে। শারজায় পরশু শেষ টি-টোয়েন্টিতে আবারও সেই সুযোগ জাকের-শরীফুলদের সামনে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ১৬ সদস্যের দলে নতুন মুখ সাইফ হাসান। টি-টোয়েন্টির ফর্ম তাঁকে সুখবর এনে দিল ওয়ানডেতেও।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রথম ম্যাচে গতকাল শুরুটা হয়েছিল দারুণ। তবুও ১৫১ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল। ৪ উইকেটে জয়ের স্বাদ নিয়ে আজই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বড় সংগ্রহ করতে পারেনি আফগানিস্তান। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে থামে তারা। সিরিজ নিশ্চিতের জন্য ১৪৮ রান করতে...
৪ ঘণ্টা আগেলামিনে ইয়ামালকে রেখে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জর্জিয়া ও বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের দল দিয়েছিলেন স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্ত। যদিও দল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের দুঃসংবাদ দিল বার্সেলোনা।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বাকি মাত্র তিন দিন। এরই মধ্যে নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ততা বাড়ছে বিসিবি ভবনে। এখন আলোচনায় থাকার কথা কে কাকে হারাবেন, কোন প্যানেল এগিয়ে—কিন্তু সবার মুখে ঘুরেফিরে আসছে এক বিষয়ই, সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তাঁর সঙ্গে থাকা ১৬ ক্লাব সংগঠকের প্রার্থীতা প্রত্যাহার
৬ ঘণ্টা আগে