নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ প্রসঙ্গে দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখানে অভিযোগ করা হয়, শাপলা প্রতীক না দেওয়া এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। দলটি মনে করে, প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
দলটি আরও বলছে, শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে কিছুটা মিল থাকার কারণ দেখিয়ে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া বৈষম্যমূলক এবং স্বেচ্ছাচারী।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে এই ব্যাখ্যা নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাহিদ ইসলামের বরাতে ব্যাখ্যায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের তালিকায় প্রতীক যুক্ত করতে কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। ওই কমিটির একজন সদস্যের সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল গত ৪ জুন নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি চূড়ান্ত তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক থাকার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন। এরপর গত ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।
নাহিদ ইসলাম জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ এনসিপির প্রতীক হিসেবে শাপলাকে চিনতে শুরু করে। গণমানুষের সঙ্গে এনসিপির শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক এক অভূতপূর্ব আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কিন্তু গত ৯ জুলাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে এনসিপি জানতে পারে, নির্বাচন কমিশন শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরপর গত ১৩ জুলাই এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের আলোচনায় এবং একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেন, শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইনানুগভাবে সঠিক নয় এবং এই বিষয়ে কমিশনের গৃহীত অবস্থানের আইনি ভিত্তি নেই।
এনসিপির যুক্তি হলো, শাপলা জাতীয় প্রতীকের চারটি স্বতন্ত্র উপাদানের একটি মাত্র উপাদান। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে জাতীয় প্রতীকের চারটি উপাদানের একটি উপাদান ‘ধানের শীষ’ বরাদ্দ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডিকে আরেকটি উপাদান ‘তারা’ প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। সেহেতু নির্বাচন কমিশন শাপলাকে প্রতীকের তালিকাভুক্ত করে রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দিতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন জাতীয় ফল ‘কাঁঠাল’কে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে এবং তৃণমূল বিএনপি নামের আরেকটি দলকে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। সুতরাং, শাপলা জাতীয় ফুল হলেও দলের প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘এনসিপির প্রতিনিধিদল দফায় দফায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয় এবং কমিশনের কাছে থেকে উক্ত ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখের আবেদনের অগ্রগতি জানতে চাইলেও কমিশন উক্ত বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা ও অবস্থান স্পষ্ট করে নাই। উল্লেখ্য, ১৩ জুলাইয়ের বৈঠকের পরবর্তী কোনো বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শাপলা প্রতীক বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বাধার বিষয়টি আর উল্লেখ করা হয় নাই এবং সংবাদমাধ্যমেও আইনি বাধার বিষয়ে কমিশন কোনো বক্তব্য প্রদান করেননি। অর্থাৎ শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কোনো আইনি ভিত্তি দ্বারা গঠিত নয়, বরং এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ বলে প্রতীয়মান হয়।’
নাহিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘৩ আগস্টের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও আশ্চর্যজনকভাবে ডিজিএফআইসহ আরও বেশ কিছু সংস্থার লোগোতে শাপলা রয়েছে এবং এ কারণে আইনগত কোনো বাধা না থাকলেও এনসিপিকে শাপলা বরাদ্দ না দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন। কিন্তু উক্ত বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল স্পষ্ট করে উল্লেখ করে যে বাংলাদেশ পুলিশের লোগোর উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে ধানের শীষ প্রতীক বর্তমান থাকা, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর লোগোর উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে ইগল প্রতীক বর্তমান থাকা এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের লোগোর পুরোটা অংশজুড়ে দাড়িপাল্লা প্রতীক থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রতীক হিসেবে ইগল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক হিসেবে দাড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে।’
নাহিদ আরও বলেন, কিন্তু শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য থাকার কারণ দেখিয়ে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া বৈষম্যমূলক এবং স্বেচ্ছাচারী। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের মনোভাব প্রকাশের ফলে তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রীয় কোনো বাহিনীর কাছে নতি স্বীকার করছে কি না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে এবং তাদের কারও কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্ন জনমনে তৈরি হয়। উল্লেখ্য, এনসিপিকে যেন প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ না দেওয়া হয়, এ বিষয়ে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের তৎপরতা জনপরিসরে দৃশ্যমান এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত রয়েছে।’
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিশনের সিনিয়র সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার প্রতীক তালিকায় শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং এ কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। এই বক্তব্য তুলে ধরে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত এবং উক্তরূপ বক্তব্য অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের এহেন একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
সবশেষে নাহিদ বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে এবং এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বের স্বেচ্ছাচারী ও একরোখা মনোভাব পরিত্যাগ করবে এবং এমনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ প্রসঙ্গে দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখানে অভিযোগ করা হয়, শাপলা প্রতীক না দেওয়া এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। দলটি মনে করে, প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
দলটি আরও বলছে, শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে কিছুটা মিল থাকার কারণ দেখিয়ে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া বৈষম্যমূলক এবং স্বেচ্ছাচারী।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে এই ব্যাখ্যা নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাহিদ ইসলামের বরাতে ব্যাখ্যায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের তালিকায় প্রতীক যুক্ত করতে কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। ওই কমিটির একজন সদস্যের সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল গত ৪ জুন নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি চূড়ান্ত তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক থাকার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন। এরপর গত ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।
নাহিদ ইসলাম জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ এনসিপির প্রতীক হিসেবে শাপলাকে চিনতে শুরু করে। গণমানুষের সঙ্গে এনসিপির শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক এক অভূতপূর্ব আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কিন্তু গত ৯ জুলাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে এনসিপি জানতে পারে, নির্বাচন কমিশন শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরপর গত ১৩ জুলাই এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের আলোচনায় এবং একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেন, শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইনানুগভাবে সঠিক নয় এবং এই বিষয়ে কমিশনের গৃহীত অবস্থানের আইনি ভিত্তি নেই।
এনসিপির যুক্তি হলো, শাপলা জাতীয় প্রতীকের চারটি স্বতন্ত্র উপাদানের একটি মাত্র উপাদান। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে জাতীয় প্রতীকের চারটি উপাদানের একটি উপাদান ‘ধানের শীষ’ বরাদ্দ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডিকে আরেকটি উপাদান ‘তারা’ প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। সেহেতু নির্বাচন কমিশন শাপলাকে প্রতীকের তালিকাভুক্ত করে রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দিতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন জাতীয় ফল ‘কাঁঠাল’কে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে এবং তৃণমূল বিএনপি নামের আরেকটি দলকে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। সুতরাং, শাপলা জাতীয় ফুল হলেও দলের প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘এনসিপির প্রতিনিধিদল দফায় দফায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয় এবং কমিশনের কাছে থেকে উক্ত ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখের আবেদনের অগ্রগতি জানতে চাইলেও কমিশন উক্ত বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা ও অবস্থান স্পষ্ট করে নাই। উল্লেখ্য, ১৩ জুলাইয়ের বৈঠকের পরবর্তী কোনো বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শাপলা প্রতীক বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বাধার বিষয়টি আর উল্লেখ করা হয় নাই এবং সংবাদমাধ্যমেও আইনি বাধার বিষয়ে কমিশন কোনো বক্তব্য প্রদান করেননি। অর্থাৎ শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কোনো আইনি ভিত্তি দ্বারা গঠিত নয়, বরং এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ বলে প্রতীয়মান হয়।’
নাহিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘৩ আগস্টের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও আশ্চর্যজনকভাবে ডিজিএফআইসহ আরও বেশ কিছু সংস্থার লোগোতে শাপলা রয়েছে এবং এ কারণে আইনগত কোনো বাধা না থাকলেও এনসিপিকে শাপলা বরাদ্দ না দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন। কিন্তু উক্ত বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল স্পষ্ট করে উল্লেখ করে যে বাংলাদেশ পুলিশের লোগোর উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে ধানের শীষ প্রতীক বর্তমান থাকা, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর লোগোর উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে ইগল প্রতীক বর্তমান থাকা এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের লোগোর পুরোটা অংশজুড়ে দাড়িপাল্লা প্রতীক থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রতীক হিসেবে ইগল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক হিসেবে দাড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে।’
নাহিদ আরও বলেন, কিন্তু শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য থাকার কারণ দেখিয়ে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া বৈষম্যমূলক এবং স্বেচ্ছাচারী। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের মনোভাব প্রকাশের ফলে তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রীয় কোনো বাহিনীর কাছে নতি স্বীকার করছে কি না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে এবং তাদের কারও কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্ন জনমনে তৈরি হয়। উল্লেখ্য, এনসিপিকে যেন প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ না দেওয়া হয়, এ বিষয়ে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের তৎপরতা জনপরিসরে দৃশ্যমান এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত রয়েছে।’
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিশনের সিনিয়র সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার প্রতীক তালিকায় শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং এ কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। এই বক্তব্য তুলে ধরে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত এবং উক্তরূপ বক্তব্য অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের এহেন একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
সবশেষে নাহিদ বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে এবং এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বের স্বেচ্ছাচারী ও একরোখা মনোভাব পরিত্যাগ করবে এবং এমনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
সাবেক মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি নাকি অবনতি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ভর্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থার খুব যে উন্নতি হয়েছে, তা বলা যাবে না; আবার অবনতিও হয়নি। অপরিবর্তিত অবস্থায় আছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে। দেশকে গুম-খুনের রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্বের মাঝে দেশকে লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
৪ ঘণ্টা আগেধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, দলটি একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক ও উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। শিগগির আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য সবুজসংকেত দেব।’
৪ ঘণ্টা আগে