Ajker Patrika

ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট এখনো সচল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০৮
ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট এখনো সচল

গাজাগামী মানবিক সহায়তা বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪০টিরও বেশি জাহাজ ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর, বহরের সর্বশেষ নৌযান ‘মেরিনেট’ এখনো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী এবং ৪০টিরও বেশি জাহাজ নিয়ে গঠিত এই ফ্লোটিলা ছিল গাজার ১৮ বছরের সমুদ্র অবরোধ ভাঙার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা।

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশির ভাগ নৌযান, যার মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তাঁদের বুধবার আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল ভেতরে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করে। ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কঠোর বাধার মুখে পোলিশ পতাকাবাহী ‘মেরিনেট’ জাহাজটিই একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে গতিপথ এখনো ধরে রেখেছে। এই জাহাজটিতে মোট ছয়জন যাত্রী রয়েছেন। তাঁরা মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় পৌঁছানোর সংকল্পে অটল।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ‘মেরিনেট’ বর্তমানে গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই অবস্থান করছে। ইঞ্জিনে সৃষ্ট সমস্যার কারণে জাহাজটি মূল বহর থেকে পিছিয়ে পড়েছিল।

বর্তমানে জাহাজটির গতি অত্যন্ত ধীর, মাত্র ২ দশমিক ১৬ নট (প্রায় ৪ কিমি/ঘণ্টা)। এই ধীরগতি সত্ত্বেও ফ্লোটিলার আয়োজকেরা ‘মেরিনেট’কে ‘সুমুদ’ (Sumud), অর্থাৎ ‘অদম্যতা ও সহনশীলতার প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ফ্লোটিলার আয়োজকেরা নিশ্চিত করেছেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে জানিয়েছেন, জাহাজের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলেও ইতিমধ্যে মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রা পুনরায় শুরু হয়েছে।

আরেক জাহাজ কনসায়েন্সে আছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী। ছবি: স্ক্রিনশট
আরেক জাহাজ কনসায়েন্সে আছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী। ছবি: স্ক্রিনশট

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাহাজটি এখনো স্টারলিংক স্যাটেলাইট-ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত এবং আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) ৪টা ৩০ মিনিটের (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিট) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর নজরদারি সত্ত্বেও জাহাজটিকে এখনো আটক করা হয়নি। ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় সূর্যোদয়ের সময় ক্রুদের পথ চলার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই জাহাজকেও আটকের কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক নজর এখন এই শেষ জাহাজটির দিকে নিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত