Ajker Patrika

অতি দ্রুত জনগণের সামনে রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন, প্রধান উপদেষ্টাকে ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ১৯
অতি দ্রুত জনগণের সামনে রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন, প্রধান উপদেষ্টাকে ফখরুল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সীমিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন এবং রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই যে প্রধান উপদেষ্টা অতি দ্রুত জনগণের সামনে তিনি কী করতে চান, তা উপস্থাপন করবেন। একটা রোডম্যাপ দেবেন যে কীভাবে তিনি অতিদ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন, কীভাবে তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো ঘটিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিয়ে সামনের দিকে ‍এগোবেন নির্বাচন করার জন্য।’

এ সময় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপেরও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীনে সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা মনে করি, তাঁরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এই সরকারের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে, জনগণের আস্থা রয়েছে, সকলেরই আস্থা আছে। কিন্তু অবশ্যই সেটা (নির্বাচন অনুষ্ঠান) সীমিত সময়ের মধ্যেই করতে হবে, একটা সময়ের মধ্যে করতে হবে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই করতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশ্যে সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ব্যাহত হবে। অবশ্যই অতিদ্রুত জনগণের যে চাহিদা, সেই চাহিদাকে পূরণ করবার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে একটা নির্বাচন দ্রুত করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়—সে জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীনে সরকার কাজ করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’ 

ফখরুল বলেন, ‘আমি নির্বাচন কথাটার ওপর জোর দিতে চাই। এই যে সংস্কারের বিষয়টা এসেছে, সব সময় আসছে সেই সংস্কারের জন্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেটা কীভাবে আসবে? সেটা আসবে একটা নির্বাচিত সংসদের মধ্য দিয়ে। এর কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, কয়েকজন ব্যক্তি একটা সংস্কার করে দিলেন—এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের মাধ্যমে সেই সংস্কার আসতে হবে।’ 

সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত এই সরকারের সত্যিকার অর্থে অ্যাজেন্ডাভিত্তিক কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতি ছাড়া তো এটা হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত তো আনতে হবে। যারা রাজনীতি করছেন, তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই মতবিনিময় করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘ছাত্র নেতৃবৃন্দ যারা আজকে সহযোগিতা করছেন, তাঁদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে—এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এই বিপ্লবকে যেন সুসংহত করা যায়, প্রতিবিপ্লব যেন না ঘটে। ইতিমধ্যে যে চক্রান্তের কথাবার্তা উঠে আসছে, সেগুলোকে যেন প্রতিহত করা যায়।’ 

বিগত সরকারের দোসর সচিবদের সরানোরও দাবি জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই না, যে সমস্ত ব্যক্তিরা হাসিনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর) পাশে থেকে, তার সঙ্গে থেকে, তার দোসর হয়ে তারা মানুষের ওপরে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন, লুটপাট করেছেন, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তাদের আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশপাশে দেখতে চাই না। পত্রিকায় যখন ছবি দেখি যে এই সমস্ত লোকেরা আবার সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করছেন, তখন আমরা উদ্বিগ্ন হই। আমরা খুব চিন্তিত হই যে আজকে ১৬–১৭ দিন হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে সমস্ত সেক্রেটারিরা ওই সরকারকে এত দিন ধরে চালিয়েছে, তাদের সমস্ত কুবুদ্ধিগুলো দিয়েছে তারা এখনো এই সরকারের সচিবের দায়িত্ব পালন করছে। আমরা দেখতে চাই যে অবিলম্বে এই ব্যুরোক্রেসিতে যারা প্রো-পিপল আছেন, যারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, সেই আইন মেনে তাদের এই সরকারের পাশে দেখতে চাই। এ কথাগুলো আমরা বলতাম না। বলতে বাধ্য হচ্ছি এ জন্য যে আমরা সেগুলো দেখতে পারছি না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ আগের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। আমরা দেখতে চাই যে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যাদের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে।’ 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের আগে গণভোট নয়, বিএনপি ভেসে আসেনি— ফখরুলের কড়া হুঁশিয়ারি

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৮
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’

যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’

মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।

যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনশনরত আমজনতার তারেকের প্রতি সংহতি জানাল বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, তারেক রহমান যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই তিনি প্রাপ্য।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে অনশনরত তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘তারেকের রাজনৈতিক দল “আমজনতার দল” নিবন্ধনের জন্য কমিশনে ইতিমধ্যে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনটা গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি যে আরও গুরুত্বহীন কিছু সংগঠন আমার কাছে মনে হয়েছে তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকেরটা দেওয়া হলো না কেন, আমি এটা বুঝতে পারলাম না। তারেক এই দেশের স্বার্থে কথা বলেছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কথা বলেছে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তার বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে সে আবেদন করেছে। সে তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি। সে আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকত, তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী অনেক কার্যকলাপ করত। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ তো করেইনি বরং রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সে কথা বলেছে। কিন্তু তার নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না...তাহলে আপনারা (ইসি) কাদের নিবন্ধন দেন, আমি জানি না।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু তার যে চিন্তা এবং তার রাজনৈতিক যে সংগ্রাম এবং কর্মসূচি, সেই অনুযায়ী সে যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই সে প্রাপ্য। এই ন্যায়সংগত কারণে যে অনশন করছে...তার এই ৫০ ঘণ্টা যে অনশন করছে, এই অনশন কর্মসূচির প্রতি আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।’

গত মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তার পর থেকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে আমরণ অনশনে বসেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক। ইতিমধ্যে তারেকের অনশনে সংহতি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)।

তারেক অনশনে বসার পর নিবন্ধন না পাওয়া বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, মৌলিক বাংলাসহ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে কয়েকজন ইসির ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির মনোনয়ন ফরমের দাম ১০ হাজার টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৪
রাজধানীর বাংলামোটরে বৃহস্পতিবার এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বাংলামোটরে বৃহস্পতিবার এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্য আবেদন ফরম উন্মুক্ত করা হয়েছে; যা ১০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।

রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

তিনি বলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অনলাইন (nomination.ncpbd.org) ও সারা দেশে দলের বিভাগীয় সম্পাদকদের কাছ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আবেদন ফরমের সর্বনিম্ন মূল্য ১০ হাজার টাকা। কেউ চাইলে এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়েও ফরম কিনতে পারবেন। তবে জুলাই আন্দোলনে আহত এবং দিনমজুররা ২ হাজার টাকা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম এবং ১০ জন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমেও ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিতে চাই না। জনগণের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিতে চাই। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফরম সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলবে। ১৫ নভেম্বরের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, দেশে কিছু ব্যক্তি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের বিশ্লেষণমূলক ‘‘রি-ইমাজিনিং বাংলাদেশ’স পলিটিক্যাল ফিউচার’’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে ‘ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ’ নামের সংগঠন।

সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে কিছু ব্যক্তি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এ সংকট মোকাবিলায় নির্বাচন সফল করতে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সবচেয়ে নিরাপদ সময় হলো আগামী ফেব্রুয়ারি। এরপর রোজা চলে আসবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, তবে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে। পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) লাগবে, তবে এর ব্যাখ্যা যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে না। পিআর হলে এমন সময়ও আসতে পারে, যখন দেশে কোনো সরকার গঠন সম্ভব হবে না।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা বর্তমানে সংস্কারের জন্য উৎসাহী হয়ে উঠেছেন, তাঁদের জানা উচিত বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০-এর মাধ্যমে ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া ভিডিওবার্তায় বক্তব্য দেন সমাজকর্মী ও নেলসন ম্যান্ডেলার নাতনি এনডিলেকা ম্যান্ডেলা। অনুষ্ঠানে লন্ডনের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লিডারশিপ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি বিভাগের অধ্যাপক আলিয়ার হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত