সম্পাদকীয়
ওরা পাসপোর্ট করবে, ভোগান্তি। ওরা ভিসা নেবে, জালিয়াতি। ওরা বিদেশে যাবে, টিকিট নেই। ওরা যেখানেই যাবে, দুর্ভোগ ওদের পিছু ছাড়ে না। ওরা প্রবাসী। বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচিয়েরাখার শক্তি জোগায় ওরা। অথচ ওদের সমস্যাগুলোর সমাধান হয় না যথাসময়ে। এখন ওদের ভোগান্তি করোনার টিকা নিয়ে। বিদেশে যেতে প্রবাসীদের টিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক। শুধু তা-ই নয়; টিকাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কিছু কিছু দেশ। ফলে ওই টিকা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই ফ্লাইট ধরতে হবে ওদের।
এই করোনাকালে যখন সব বন্ধ, অচল; তখন প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। নিজেরা খেয়ে না-খেয়ে সংকটের মধ্যেও পরিবারের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন। তাঁরা বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কত রকমের শারীরিক, মানসিক নির্যাতন সহ্য করেও যা আয় করেন, তার প্রায় অধিকাংশ অর্থই দেশে পাঠিয়ে দেন। এই টাকায় দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়ে। সরকার এই বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানির খরচ মেটায়, মেগা প্রকল্পের সরঞ্জাম কেনে। কত কিছুই না হয় তাঁদের টাকায়।
প্রবাসীরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেন দেশের জন্য। অথচ সেবা পাওয়ার বেলায় তাঁরা থাকেন তলানিতে। করোনাকালে তাঁদের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনাকালে অনেকের ভিসা বাতিল হয়ে যায়, অনেক দেশ বাংলাদেশের কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। অনেকে বেকার হয়ে যান। এরপর আবারও তাঁরা জমিজমা বন্ধক রেখে ভাগ্যের খোঁজে বিদেশে যাওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে ভিসা সংগ্রহ করেন। এভাবে নিজেরা যখন সব প্রস্তুতি শেষ করে আনেন, তখনই নতুন নতুন বিপত্তিতে পড়েন তাঁরা। এখন ভুগছেন টিকা নিয়ে।
জানা যায়, নিবন্ধন করেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে পারছেন না তাঁরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী চার সপ্তাহ পর এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক প্রবাসী। অনেকের ফ্লাইটের সময় কাছে এলেও মিলছে না টিকা। ফলে সময়মতো কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। চার সপ্তাহের স্থলে আট সপ্তাহের কথা বলা হচ্ছে। তাঁরা নিয়মের দোহাই দিচ্ছেন। অথচ নিয়ম হচ্ছে, চার সপ্তাহের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটেই বলা আছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ। মানে, প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ হলেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে কোনো ধরনের বাধা নেই। অথচ এই অজুহাতে চরম ভোগান্তির মুখে প্রবাসীরা। টিকা না পেলে আর তাঁদের বিদেশ যাওয়া বাতিল হলে এর ফল কী হবে?
তাঁরা আবারও বেকার হবেন, পরিবারের বোঝা হবেন। এই ভোগান্তির শেষ হওয়া উচিত। প্রবাসীদের সেবার দিক থেকে তলানিতে না রেখে তাঁদের বিষয়গুলো অগ্রাধিকারে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাঁরা টাকা পাঠান বলেই দেশের অর্থনীতির সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তাঁরা কষ্ট করেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এতটা অবজ্ঞার চোখে না দেখে তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত। তাঁদের টিকা সমস্যার সমাধান করে অবিলম্বে কর্মস্থলে ফেরার উদ্যোগ নিতে হবে।
ওরা পাসপোর্ট করবে, ভোগান্তি। ওরা ভিসা নেবে, জালিয়াতি। ওরা বিদেশে যাবে, টিকিট নেই। ওরা যেখানেই যাবে, দুর্ভোগ ওদের পিছু ছাড়ে না। ওরা প্রবাসী। বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচিয়েরাখার শক্তি জোগায় ওরা। অথচ ওদের সমস্যাগুলোর সমাধান হয় না যথাসময়ে। এখন ওদের ভোগান্তি করোনার টিকা নিয়ে। বিদেশে যেতে প্রবাসীদের টিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক। শুধু তা-ই নয়; টিকাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কিছু কিছু দেশ। ফলে ওই টিকা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই ফ্লাইট ধরতে হবে ওদের।
এই করোনাকালে যখন সব বন্ধ, অচল; তখন প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। নিজেরা খেয়ে না-খেয়ে সংকটের মধ্যেও পরিবারের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন। তাঁরা বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কত রকমের শারীরিক, মানসিক নির্যাতন সহ্য করেও যা আয় করেন, তার প্রায় অধিকাংশ অর্থই দেশে পাঠিয়ে দেন। এই টাকায় দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়ে। সরকার এই বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানির খরচ মেটায়, মেগা প্রকল্পের সরঞ্জাম কেনে। কত কিছুই না হয় তাঁদের টাকায়।
প্রবাসীরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেন দেশের জন্য। অথচ সেবা পাওয়ার বেলায় তাঁরা থাকেন তলানিতে। করোনাকালে তাঁদের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনাকালে অনেকের ভিসা বাতিল হয়ে যায়, অনেক দেশ বাংলাদেশের কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। অনেকে বেকার হয়ে যান। এরপর আবারও তাঁরা জমিজমা বন্ধক রেখে ভাগ্যের খোঁজে বিদেশে যাওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে ভিসা সংগ্রহ করেন। এভাবে নিজেরা যখন সব প্রস্তুতি শেষ করে আনেন, তখনই নতুন নতুন বিপত্তিতে পড়েন তাঁরা। এখন ভুগছেন টিকা নিয়ে।
জানা যায়, নিবন্ধন করেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে পারছেন না তাঁরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী চার সপ্তাহ পর এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক প্রবাসী। অনেকের ফ্লাইটের সময় কাছে এলেও মিলছে না টিকা। ফলে সময়মতো কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। চার সপ্তাহের স্থলে আট সপ্তাহের কথা বলা হচ্ছে। তাঁরা নিয়মের দোহাই দিচ্ছেন। অথচ নিয়ম হচ্ছে, চার সপ্তাহের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটেই বলা আছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ। মানে, প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ হলেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে কোনো ধরনের বাধা নেই। অথচ এই অজুহাতে চরম ভোগান্তির মুখে প্রবাসীরা। টিকা না পেলে আর তাঁদের বিদেশ যাওয়া বাতিল হলে এর ফল কী হবে?
তাঁরা আবারও বেকার হবেন, পরিবারের বোঝা হবেন। এই ভোগান্তির শেষ হওয়া উচিত। প্রবাসীদের সেবার দিক থেকে তলানিতে না রেখে তাঁদের বিষয়গুলো অগ্রাধিকারে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাঁরা টাকা পাঠান বলেই দেশের অর্থনীতির সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তাঁরা কষ্ট করেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এতটা অবজ্ঞার চোখে না দেখে তাঁদের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত। তাঁদের টিকা সমস্যার সমাধান করে অবিলম্বে কর্মস্থলে ফেরার উদ্যোগ নিতে হবে।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৯ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
৯ ঘণ্টা আগে