Ajker Patrika

পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহ

কুমিল্লায় দুই ট্যাংকে পানি, তদন্ত শেষ হয়নি ১ মাসে

  • তদন্ত কমিটিকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
  • দুটি ট্যাংকে ৮ ও ৭ মিলিমিটার পানির উপস্থিতি পাওয়া যায়।
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সুরক্ষিত ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন প্রকল্পে’র (সিডিপিএল) কুমিল্লা ডিপোর দুটি ট্যাংকে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে আলোড়ন সৃষ্টি হয় জ্বালানি খাতে।

এ ঘটনায় প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে গত ১৬ জুলাই ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রকৌশলী মো. সাকিল আহাম্মেদকে। কমিটিকে কুমিল্লার ডিপোতে বিদ্যমান ট্যাংকে পানির পরিমাণ ও সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের পর এক মাস পার হলেও গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।

তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সিনিয়র প্রকৌশলী দিবস কান্তি দাস, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সঞ্জয় কান্তি দে, যমুনা অয়েলের কুমিল্লা ডিপো ইনচার্জ উজায়ের আহাম্মেদ, পদ্মা অয়েলের সিনিয়র কর্মকর্তা প্রনয় চাকমা, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান ও বিপিসির মনোনীত সার্ভেয়ার।

বিপিসি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন প্রকল্পের (সিডিপিএল) কুমিল্লার ডিপোর সিনিয়র অফিসার মো. উজায়ের আহাম্মেদ ১০৫ ও ১০৬ নম্বর ট্যাংকে পানির উপস্থিতি দেখতে পান। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। লিখিত পত্রে কুমিল্লার ডিপোর ১০৫ নম্বর ট্যাংকে ২৫ হাজার ১৯৯ লিটার এবং ১০৬ নম্বর ট্যাংকে ২০ হাজার ৮৩ লিটারসহ মোট ৪৫ হাজার ২৮২ লিটার পানি রয়েছে বলে জানানো হয়।

বিপিসির একটি সূত্র জানায়, গঠিত তদন্ত কমিটির সবাইকে নিয়ে গত ২৪ জুলাই কুমিল্লার ডিপোর ১০৫ নম্বর ট্যাংক এবং ১০৬ নম্বর ট্যাংকে পুনরায় গভীরতা নির্ণয় করার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতেও যথাক্রমে ৮ ও ৭ মিলিমিটার পানির উপস্থিতি পাওয়া যায়।

যমুনা অয়েলে কুমিল্লার ডিপো ইনচার্জ ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. উজায়ের আহাম্মেদ সিডিপিএলের কুমিল্লার ডিপোর ১০৫ নম্বর ট্যাংক এবং ১০৬ নম্বর ট্যাংকে পানি থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এখনো প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি।

পানি কীভাবে ঢুকল এবং কীভাবে তা অপসারণ করা হবে জানতে চাইলে উজায়ের আহাম্মেদ কোনো উত্তর দেননি।

পরিবেশবান্ধব, ঝুঁকিমুক্ত, পরিবহন ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২৪২ কিলোমিটার পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ মেট্রিক টন ডিজেল যাওয়ার কথা নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে। প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা পাইপলাইন প্রকল্পে বছরে সাশ্রয় হবে ২২৬ কোটি।

গত ১৬ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় এ প্রকল্পটি। উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

বিপিসি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অঞ্চলে তেল পরিবহনে দেড় শতাধিক কোস্টাল ট্যাংকারে আগে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন ১২ ঘণ্টায় জ্বালানি তেল নারায়ণগঞ্জের ডিপোতে পৌঁছায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে নৌপথে ট্যাংকারে তেল পরিবহন বিঘ্নিত হতো। ছিল দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত