সম্পাদকীয়
পুলিশ নিয়ে নেতিবাচক কথা অনেক আছে। তার মধ্যে বহুল প্রচলিত প্রবাদটি হলো ‘বাঘে ছুঁলে এক ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা’; তার মানে বাঘের হাতে পড়লে প্রাণ রক্ষা যত সহজ, পুলিশের হাতে পড়লে তত সহজে নিষ্কৃতি নেই। আসলে কি তাই? পুলিশ যদি এত খারাপই হবে তাহলে পুলিশের ওপর আমাদের এত নির্ভরতা কেন? কেন পৃথিবীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের ওপর না দিয়ে অন্য কোনো সংস্থা গড়ার বিষয়টি ভাবা হয়নি?
পুলিশ কিন্তু রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ,কোনো যন্ত্রবিশেষ নয়। অন্য সব মানুষের মধ্যে যেসব মানবিক ত্রুটি-দুর্বলতা আছে, পুলিশও তা মুক্ত নয়। সেটা হওয়া সম্ভবও নয়। অন্য সব পেশায় যেমন ভালো মানুষ, খারাপ মানুষ আছেন, পুলিশে তেমন থাকাই স্বাভাবিক। তবে পুলিশের কাছে আমাদের প্রত্যাশা শুধু ভালোটা। কারণ, তাদের হাতে আমাদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে আমরা নির্ভার থাকতে চাই। এখানে পান থেকে চুন খসলে আমরা হইচই বাধিয়ে পাড়া মাতিয়ে ফেলি। পুলিশের কেউ খারাপ কিছু করলে তা পাঁচ কান হতে সময় লাগে না, ভালো কাজ করলে সেটা তেমন প্রচার পায় না। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে, কোনো অন্যায় করলে, ঘুষ নিলে তা নিয়ে লেখালেখি হয়, নিন্দা-প্রতিবাদ হয়, অথচ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বা কাজের ক্ষেত্রে তাদের কিছু সমস্যা আছে কি না, সেসব আমাদের জানার বাইরে।
সোমবার আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘মানসিক অবসাদে পুলিশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পুলিশ সদস্যদের কারও কারও মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, ওপরের কর্মকর্তাদের খারাপ ব্যবহার, অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য হওয়া, ছুটি না পাওয়া এবং পদোন্নতিতে জটিলতা ইত্যাদি কারণে পুলিশের মধ্যে হতাশা কাজ করায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। গত তিন মাসে চারজন পুলিশ সদস্য নিজের অস্ত্রের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ম অনুযায়ী যেসব ছুটি উপভোগ করার কথা, বিভিন্ন অজুহাতে তা থেকে অনেককেই বঞ্চিত হতে হয়। থানার দরজা যেহেতু কোনো সময় বন্ধ হয় না, সেহেতু অতিরিক্ত সময় অনেককেই ডিউটি করতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার নজিরও আছে। বড় বা উচ্চপদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা কিছুটা সুযোগ-সুবিধা বেশি পেলেও নিচের পদাধিকারীদের দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই।
অতিরিক্ত খাটাখাটুনির কারণে কারও কারও শারীরিক-মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, এতে যাঁরা তাঁদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন, তাঁদের সঙ্গে হয়তো দুর্ব্যবহার করে বসেন, ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। সোয়া দুই লাখ পুলিশ সদস্যের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীকে পেশাগত ও ব্যক্তিগত চাপ সহ্য করার মতো দক্ষ ও ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কোটি কোটি সাধারণ নাগরিকের সুখ, শান্তি ও স্বস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে বাহিনীর ওপর ন্যস্ত, তাদের সুবিধা-অসুবিধা, মানসিক শান্তি, স্বস্তি, সুখ উপেক্ষিত হলে সমাজে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তো পড়বেই।
পুলিশ নিয়ে নেতিবাচক কথা অনেক আছে। তার মধ্যে বহুল প্রচলিত প্রবাদটি হলো ‘বাঘে ছুঁলে এক ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা’; তার মানে বাঘের হাতে পড়লে প্রাণ রক্ষা যত সহজ, পুলিশের হাতে পড়লে তত সহজে নিষ্কৃতি নেই। আসলে কি তাই? পুলিশ যদি এত খারাপই হবে তাহলে পুলিশের ওপর আমাদের এত নির্ভরতা কেন? কেন পৃথিবীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের ওপর না দিয়ে অন্য কোনো সংস্থা গড়ার বিষয়টি ভাবা হয়নি?
পুলিশ কিন্তু রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ,কোনো যন্ত্রবিশেষ নয়। অন্য সব মানুষের মধ্যে যেসব মানবিক ত্রুটি-দুর্বলতা আছে, পুলিশও তা মুক্ত নয়। সেটা হওয়া সম্ভবও নয়। অন্য সব পেশায় যেমন ভালো মানুষ, খারাপ মানুষ আছেন, পুলিশে তেমন থাকাই স্বাভাবিক। তবে পুলিশের কাছে আমাদের প্রত্যাশা শুধু ভালোটা। কারণ, তাদের হাতে আমাদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে আমরা নির্ভার থাকতে চাই। এখানে পান থেকে চুন খসলে আমরা হইচই বাধিয়ে পাড়া মাতিয়ে ফেলি। পুলিশের কেউ খারাপ কিছু করলে তা পাঁচ কান হতে সময় লাগে না, ভালো কাজ করলে সেটা তেমন প্রচার পায় না। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে, কোনো অন্যায় করলে, ঘুষ নিলে তা নিয়ে লেখালেখি হয়, নিন্দা-প্রতিবাদ হয়, অথচ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বা কাজের ক্ষেত্রে তাদের কিছু সমস্যা আছে কি না, সেসব আমাদের জানার বাইরে।
সোমবার আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘মানসিক অবসাদে পুলিশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পুলিশ সদস্যদের কারও কারও মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, ওপরের কর্মকর্তাদের খারাপ ব্যবহার, অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য হওয়া, ছুটি না পাওয়া এবং পদোন্নতিতে জটিলতা ইত্যাদি কারণে পুলিশের মধ্যে হতাশা কাজ করায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। গত তিন মাসে চারজন পুলিশ সদস্য নিজের অস্ত্রের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ম অনুযায়ী যেসব ছুটি উপভোগ করার কথা, বিভিন্ন অজুহাতে তা থেকে অনেককেই বঞ্চিত হতে হয়। থানার দরজা যেহেতু কোনো সময় বন্ধ হয় না, সেহেতু অতিরিক্ত সময় অনেককেই ডিউটি করতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার নজিরও আছে। বড় বা উচ্চপদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা কিছুটা সুযোগ-সুবিধা বেশি পেলেও নিচের পদাধিকারীদের দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই।
অতিরিক্ত খাটাখাটুনির কারণে কারও কারও শারীরিক-মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, এতে যাঁরা তাঁদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন, তাঁদের সঙ্গে হয়তো দুর্ব্যবহার করে বসেন, ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। সোয়া দুই লাখ পুলিশ সদস্যের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীকে পেশাগত ও ব্যক্তিগত চাপ সহ্য করার মতো দক্ষ ও ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কোটি কোটি সাধারণ নাগরিকের সুখ, শান্তি ও স্বস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে বাহিনীর ওপর ন্যস্ত, তাদের সুবিধা-অসুবিধা, মানসিক শান্তি, স্বস্তি, সুখ উপেক্ষিত হলে সমাজে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তো পড়বেই।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৫ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
৫ ঘণ্টা আগে