সম্পাদকীয়
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছেন, সঙ্গে গোপাল। হাঁটতে হাঁটতে পথের পাশের একটি শীর্ণ কুটির থেকে কান্নার শব্দ শুনে গোপালকে কান্নার কারণ জেনে আসতে বললে গোপাল কুটিরের ভেতর গেলেন। একটু পর ফিরে এসে বললেন, ভাত খেতে না পেয়ে একজন কাঁদছে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘ভাত খেতে না পেয়ে কাঁদছে কেন? আমিও তো মাঝে মাঝে ভাত না খেয়ে পোলাও খাই। ওকেও পোলাও খেতে বলো।’
অনেক পুরোনো এই কৌতুকটি মনে পড়ল কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের একটি বক্তৃতা শুনে। তিনি ২৪ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশে খাদ্যের সংকট নেই, খাবার নিয়ে হাহাকার নেই। তবে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ভাত খায়, এটি কমানো গেলে দেশে চালের চাহিদা অনেক কমে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি রয়েছে, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যের কষ্ট হয়নি, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। কোনো মানুষের মাঝে হাহাকার নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যদি ভাতের ভোগ কমাতে পারি তাহলে আমাদের চালের যে দরকার, এটা অনেক কমে যাবে। প্রায় ৪০০ গ্রাম চাল আমরা প্রতিদিন খাই। পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০ গ্রাম চালও খায় না। আমরা অনেক বেশি ভাত খাই। কাজেই বাংলাদেশ কিন্তু সত্যিকার অর্থে দানাজাতীয় খাদ্যে অনেক আগেই সফল হয়েছে। সেটাকে যদি আমরা পুষ্টিজাতীয় খাবারে নিতে পারি, পুষ্টিজাতীয় খাবার—দুধ, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ফলমূল এটিই আমাদের লক্ষ্য। কৃষির প্রতিটা ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের কৃষি ধানভিত্তিক, এখনো ৭৪-৭৫ ভাগ জমিতে ধান হয়। কিন্তু আমাদের শাকসবজি, ফলমূল, চাল বাদেও আমাদের তেল, ডাল, শাকসবজি প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে।
মন্ত্রীর কথা শুনে কারও মনে হতে পারে, বাংলাদেশে বুঝি দুধ মাছ মাংস ফলমূল ইত্যাদি পুষ্টকর খাবারের নহর বইছে। চাল কিনতে পয়সা লাগে কিন্তু এগুলো কিনতে পয়সা লাগে না বা এগুলো পানির দামে পাওয়া যায়! মন্ত্রী বচন অমৃত সমান। পেঁয়াজের দাম বাড়লে বলা হবে পেঁয়াজ না খেলে কী হয়? তেলের দাম বাড়লে বলা হবে, তেল কম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এতে শরীরে তেলতেলে ভাব আসে না। চালের সমস্যা হলে বলা হবে বাঙালি ভাত বেশি খায়। একবার বলা হবে ‘বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান’ আবার বলা হবে পুষ্টিকর খাবার খান, ভাত কম খান। মানুষ আসলে করবে কী?
মন্ত্রী মহোদয় কি এই কবিতাটি কখনো শুনেছেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন’। নুন ভাত জোটে না এমন মানুষ দেশে এখনো আছে এবং এদের সংখ্যা করোনাকালে বেড়েছে। মানুষের হাহাকার মন্ত্রী-নেতাদের কানে পৌঁছায় না বলেই হাহাকার নেই বলাটা সত্যের অপলাপ। অনেক মানুষ কষ্টে আছে। যারা নুন-ভাত জোটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তাদের সামনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কথা বলা বা পরামর্শ দেওয়া তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছেন, সঙ্গে গোপাল। হাঁটতে হাঁটতে পথের পাশের একটি শীর্ণ কুটির থেকে কান্নার শব্দ শুনে গোপালকে কান্নার কারণ জেনে আসতে বললে গোপাল কুটিরের ভেতর গেলেন। একটু পর ফিরে এসে বললেন, ভাত খেতে না পেয়ে একজন কাঁদছে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘ভাত খেতে না পেয়ে কাঁদছে কেন? আমিও তো মাঝে মাঝে ভাত না খেয়ে পোলাও খাই। ওকেও পোলাও খেতে বলো।’
অনেক পুরোনো এই কৌতুকটি মনে পড়ল কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের একটি বক্তৃতা শুনে। তিনি ২৪ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশে খাদ্যের সংকট নেই, খাবার নিয়ে হাহাকার নেই। তবে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ভাত খায়, এটি কমানো গেলে দেশে চালের চাহিদা অনেক কমে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি রয়েছে, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যের কষ্ট হয়নি, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। কোনো মানুষের মাঝে হাহাকার নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যদি ভাতের ভোগ কমাতে পারি তাহলে আমাদের চালের যে দরকার, এটা অনেক কমে যাবে। প্রায় ৪০০ গ্রাম চাল আমরা প্রতিদিন খাই। পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০ গ্রাম চালও খায় না। আমরা অনেক বেশি ভাত খাই। কাজেই বাংলাদেশ কিন্তু সত্যিকার অর্থে দানাজাতীয় খাদ্যে অনেক আগেই সফল হয়েছে। সেটাকে যদি আমরা পুষ্টিজাতীয় খাবারে নিতে পারি, পুষ্টিজাতীয় খাবার—দুধ, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ফলমূল এটিই আমাদের লক্ষ্য। কৃষির প্রতিটা ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের কৃষি ধানভিত্তিক, এখনো ৭৪-৭৫ ভাগ জমিতে ধান হয়। কিন্তু আমাদের শাকসবজি, ফলমূল, চাল বাদেও আমাদের তেল, ডাল, শাকসবজি প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে।
মন্ত্রীর কথা শুনে কারও মনে হতে পারে, বাংলাদেশে বুঝি দুধ মাছ মাংস ফলমূল ইত্যাদি পুষ্টকর খাবারের নহর বইছে। চাল কিনতে পয়সা লাগে কিন্তু এগুলো কিনতে পয়সা লাগে না বা এগুলো পানির দামে পাওয়া যায়! মন্ত্রী বচন অমৃত সমান। পেঁয়াজের দাম বাড়লে বলা হবে পেঁয়াজ না খেলে কী হয়? তেলের দাম বাড়লে বলা হবে, তেল কম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এতে শরীরে তেলতেলে ভাব আসে না। চালের সমস্যা হলে বলা হবে বাঙালি ভাত বেশি খায়। একবার বলা হবে ‘বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান’ আবার বলা হবে পুষ্টিকর খাবার খান, ভাত কম খান। মানুষ আসলে করবে কী?
মন্ত্রী মহোদয় কি এই কবিতাটি কখনো শুনেছেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন’। নুন ভাত জোটে না এমন মানুষ দেশে এখনো আছে এবং এদের সংখ্যা করোনাকালে বেড়েছে। মানুষের হাহাকার মন্ত্রী-নেতাদের কানে পৌঁছায় না বলেই হাহাকার নেই বলাটা সত্যের অপলাপ। অনেক মানুষ কষ্টে আছে। যারা নুন-ভাত জোটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তাদের সামনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কথা বলা বা পরামর্শ দেওয়া তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
সমাপ্তপ্রায় অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, এ সময়ে দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে ২৮.৭৯ শতাংশ ও মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ২৫.৫৬ শতাংশ। প্রায় একই ধরনের অর্থনৈতিক প্রবণতার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যরোও (বিবিএস)।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে একসময় একটি গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল—প্রজাপতিটা যখন তখন উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে রাঙা মেঘের মতন/বসে আমার আকাশজুড়ে/ বসে আমার আকাশজুড়ে যখন তখন। প্রজাপতি নিয়ে অবশ্য আমাদের মধ্যে মজার গল্পও প্রচলিত আছে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের সমুদ্র অর্থনীতির বড় একটি অংশ জুড়ে আছে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ। এই সম্পদ আহরণে নিবেদিত মৎস্যজীবীদের প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিকূল পরিবেশের। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারাতে হচ্ছে তাঁদের।
৮ ঘণ্টা আগেযাঁর কাছে শিক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকার কথা, তিনি যদি দুর্নীতিকে বাড়তি আয়ের উৎস মনে করে দায়িত্বকে অবহেলা করেন, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা তিমিরে থেকে যাবে, সেটা স্পষ্ট। নৈতিকতা, মূল্যবোধ-বিবর্জিত এ ধরনের অসৎ শিক্ষা কর্মকর্তার কারণে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা রসাতলে যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে