ফজলুল কবির
আবারও আহাজারিময় ছবির স্রোত। আবারও নাম–ঠিকানাহীন লাশের সারি নিয়ে বিমূঢ় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ। আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব মানুষ মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হারিয়ে ফেলেছে তার মানুষ পরিচয়; তারা এখন কেবলই সংখ্যা।
এই করোনা মহামারির সময়ে আরও হাজারটা সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা এই মানুষেরা শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। এমনকি তাঁরা ছবিও হতে পারলেন না। তাঁদের স্বজনেরা হয়েছেন। তাঁদের শ্রেণি বিচারে একমাত্র আপন অন্য শ্রমিকেরা উঠে এসেছেন ছবিতে। তাঁরা বিক্ষুব্ধ। তাঁরা জানতে চান, কেন বারবার তাঁদের এমন করে মরতে হয়? কেন আগুন লাগলে শুধু শ্রমিকেরাই মরে?
বাংলাদেশের শ্রমিকেরা সেই কবে থেকে এই প্রশ্ন তুলে আসছেন। তাজরীন ফ্যাশনসে হওয়া অগ্নিকাণ্ড এবং তাতে শতাধিক মৃত্যুর কথা তো ভোলার নয়। তারপর এমন আরও কত কত মৃত্যু আমাদের চোখের সামনে দিয়ে চলে গেছে। চলে গেছে কত কত দিন। তবু এ–ই যেন একমাত্র বাস্তব হয়ে আছে যে, কারখানার আগুনে শুধু শ্রমিকই মরবেন। আর সে দায় নেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না। দায়ের হিসাব চোকানো হবে ন্যূনতম অর্থমূল্যে।
এবারও নেই। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের আওতাধীন কারখানায় আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৫২ জন মারা গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঠানো বিভিন্ন ছবিতে এমনকি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত দমকলকর্মীদেরও আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে। ইয়াসিনের অপেক্ষায় থাকা মা কিংবা মায়ের অপেক্ষায় থাকা আঁখিদের কান্না তাঁদেরও ছুঁয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও যাচ্ছেন বলে খবর এসেছে। কিন্তু যার কারখানায় আগুন লাগল, তিনি ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও একবারও যাননি। শুধু তাই নয়, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—এ ঘটনায় তাঁর কোনো দায় নেই।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম যেন এক প্রত্যাদিষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। এর আগে ঠিক একই ভূমিকায় দেখা গেছে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে। ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে লাগা আগুনে পুড়ে ১১২ জন শ্রমিক নিহত হন। এ নিয়ে মামলা চলার সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা গেছে—‘আমার কিসসু হবে না।’
ঠিক একই বক্তব্য আজ শোনা গেল সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের মুখে। কত সহজেই তিনি বললেন, ‘আগুনের ঘটনার দায় নেব না। এটা নিতান্তই একটি দুর্ঘটনা।’ তাঁর বক্তব্যের পরের অংশটা আরও তাক লাগানো। কাজের সঙ্গে তিনি আগুন লাগা এবং শ্রমিকের মৃত্যুর একটি সরল সমীকরণ দাঁড় করিয়েছেন। বলেছেন—‘জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার? আমি তো আর গিয়ে আগুন লাগাই নাই। এই দায় আমার না।’
অত্যন্ত নিপুণ সমীকরণ। কোনো ফাঁক নেই। বরং মৃত শ্রমিকদের সারির মধ্যেই হয়তো ফাঁকটি রয়ে গেছে, যা গলে বরাবরই মালিকেরা বের হয়ে যান। এবারও আবুল হাশেম সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন। অনায়াসেই নিজেকে দায়হীন বলে ঘোষণা করলেন। অথচ কারখানাটির সামনে আজ সকালে হওয়া শ্রমিক বিক্ষোভ ও এতে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ ভিন্ন বার্তা দিল।
না আবুল হাশেম আগুন লাগাননি। কিন্তু আগুন লাগলে শ্রমিকদের নিরাপদে বের হওয়ার পথটি তিনি করতে পারতেন, সেটি তিনি করেননি। শ্রমিকদের বিক্ষোভ আমাদের সে কথাই মনে করিয়ে দিল। তাঁরা অভিযোগ করলেন, কারখানাটিতে আগুন লাগার পর ভবনটিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য কোনো সিঁড়ি ছিল না। অর্থাৎ, ফায়ার এক্সিট রাখা হয়নি। শুধু তাই নয়, এমনকি কারখানার প্রধান গেট বন্ধ থাকারও অভিযোগ উঠেছে।
এ দেশে কারখানা আর কারাগারে যে খুব একটা তফাৎ নেই, তা যেকোনো দুর্ঘটনার সময় প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। যেকোনো কারখানায় আগুন লাগা বা কারখানা ভবন ধসে পড়লে সবার আগে যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো—কারখানার নিচের প্রধান গেট বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, দেখা যায় অধিকাংশ বড় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ভবনটিতে কোনো জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও ছিল না কোনো জরুরি নির্গমন পথ এবং যথারীতি বন্ধ ছিল মূল গেট। ফলে এক রকম বন্দী অবস্থায় একটু একটু করে আগুনে পুড়ে, ভারী বাতাসে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন শ্রমিকেরা।
তাই ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটকে একযোগে কাজ করতে দেখেও রূপগঞ্জে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করলেন। এই বিক্ষোভের তাৎপর্য অনেক। এই বিক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা এবং সেই সূত্রে ঊর্ধ্বতন বলে যে কর্তৃপক্ষ আছে, আছে মালিক পক্ষ, তাদের প্রতি শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। এ দেশে শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ভালো না। তারা বারবার নিজের স্বজনদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেলোয়ার হোসেনদের হাসতে দেখেছে, বলতে শুনেছে—‘আমার কিসসু হবে না।’ তারা বারবার আবুল হাশেমদের অনায়াসেই বলতে শুনেছে—‘আমার কোনো দায় নেই।’
এখানে কবি ও শিল্পী কফিল আহমেদের একটি গানের কথা উল্লেখ করা যায়, যেখানে তিনি বলছেন—‘আমারে তালাবদ্ধ রেখে, আমারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে/ প্রেসনোট, শুধু প্রেসনোট আমি চাই না।’ অথচ এই প্রেসনোটই যেন শ্রমিকদের একমাত্র বাস্তবতা। যারা অর্থনীতির চাকাটি নিজের সর্বশক্তি দিয়ে টেনে নিয়ে যান, তাঁরা বরাবরই এই দেশে তালাবদ্ধ অবস্থায় আগুনে বা ভবন ধসে মারা পড়েন। কফিল আহমেদ গানটি লিখেছিলেন ১৯৯৭ সালে একটি কারখানায় তালাবদ্ধ অবস্থায় আগুনে পুড়ে সাত শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে। তারপর কত কত শ্রমিক কত কত কারখানায় এভাবে মারা পড়লেন। তাজরীন ফ্যাশনস, রানা প্লাজা হয়ে আজকে এই সজীব গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানা—কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। নিশ্চিন্তপুর বা রূপগঞ্জ—শ্রমিকের ঠিকানা যেখানেই হোক না কেন, কপালটি একই থাকছে। ঠিক যেমন এক থাকছে মালিকপক্ষের দম্ভ ও দায় না মানা চরিত্র। এর যেন কোনো শেষ নেই।
আবারও আহাজারিময় ছবির স্রোত। আবারও নাম–ঠিকানাহীন লাশের সারি নিয়ে বিমূঢ় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ। আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব মানুষ মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হারিয়ে ফেলেছে তার মানুষ পরিচয়; তারা এখন কেবলই সংখ্যা।
এই করোনা মহামারির সময়ে আরও হাজারটা সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা এই মানুষেরা শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। এমনকি তাঁরা ছবিও হতে পারলেন না। তাঁদের স্বজনেরা হয়েছেন। তাঁদের শ্রেণি বিচারে একমাত্র আপন অন্য শ্রমিকেরা উঠে এসেছেন ছবিতে। তাঁরা বিক্ষুব্ধ। তাঁরা জানতে চান, কেন বারবার তাঁদের এমন করে মরতে হয়? কেন আগুন লাগলে শুধু শ্রমিকেরাই মরে?
বাংলাদেশের শ্রমিকেরা সেই কবে থেকে এই প্রশ্ন তুলে আসছেন। তাজরীন ফ্যাশনসে হওয়া অগ্নিকাণ্ড এবং তাতে শতাধিক মৃত্যুর কথা তো ভোলার নয়। তারপর এমন আরও কত কত মৃত্যু আমাদের চোখের সামনে দিয়ে চলে গেছে। চলে গেছে কত কত দিন। তবু এ–ই যেন একমাত্র বাস্তব হয়ে আছে যে, কারখানার আগুনে শুধু শ্রমিকই মরবেন। আর সে দায় নেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না। দায়ের হিসাব চোকানো হবে ন্যূনতম অর্থমূল্যে।
এবারও নেই। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের আওতাধীন কারখানায় আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৫২ জন মারা গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঠানো বিভিন্ন ছবিতে এমনকি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত দমকলকর্মীদেরও আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে। ইয়াসিনের অপেক্ষায় থাকা মা কিংবা মায়ের অপেক্ষায় থাকা আঁখিদের কান্না তাঁদেরও ছুঁয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও যাচ্ছেন বলে খবর এসেছে। কিন্তু যার কারখানায় আগুন লাগল, তিনি ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও একবারও যাননি। শুধু তাই নয়, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—এ ঘটনায় তাঁর কোনো দায় নেই।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম যেন এক প্রত্যাদিষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। এর আগে ঠিক একই ভূমিকায় দেখা গেছে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে। ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে লাগা আগুনে পুড়ে ১১২ জন শ্রমিক নিহত হন। এ নিয়ে মামলা চলার সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা গেছে—‘আমার কিসসু হবে না।’
ঠিক একই বক্তব্য আজ শোনা গেল সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের মুখে। কত সহজেই তিনি বললেন, ‘আগুনের ঘটনার দায় নেব না। এটা নিতান্তই একটি দুর্ঘটনা।’ তাঁর বক্তব্যের পরের অংশটা আরও তাক লাগানো। কাজের সঙ্গে তিনি আগুন লাগা এবং শ্রমিকের মৃত্যুর একটি সরল সমীকরণ দাঁড় করিয়েছেন। বলেছেন—‘জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার? আমি তো আর গিয়ে আগুন লাগাই নাই। এই দায় আমার না।’
অত্যন্ত নিপুণ সমীকরণ। কোনো ফাঁক নেই। বরং মৃত শ্রমিকদের সারির মধ্যেই হয়তো ফাঁকটি রয়ে গেছে, যা গলে বরাবরই মালিকেরা বের হয়ে যান। এবারও আবুল হাশেম সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন। অনায়াসেই নিজেকে দায়হীন বলে ঘোষণা করলেন। অথচ কারখানাটির সামনে আজ সকালে হওয়া শ্রমিক বিক্ষোভ ও এতে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ ভিন্ন বার্তা দিল।
না আবুল হাশেম আগুন লাগাননি। কিন্তু আগুন লাগলে শ্রমিকদের নিরাপদে বের হওয়ার পথটি তিনি করতে পারতেন, সেটি তিনি করেননি। শ্রমিকদের বিক্ষোভ আমাদের সে কথাই মনে করিয়ে দিল। তাঁরা অভিযোগ করলেন, কারখানাটিতে আগুন লাগার পর ভবনটিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য কোনো সিঁড়ি ছিল না। অর্থাৎ, ফায়ার এক্সিট রাখা হয়নি। শুধু তাই নয়, এমনকি কারখানার প্রধান গেট বন্ধ থাকারও অভিযোগ উঠেছে।
এ দেশে কারখানা আর কারাগারে যে খুব একটা তফাৎ নেই, তা যেকোনো দুর্ঘটনার সময় প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। যেকোনো কারখানায় আগুন লাগা বা কারখানা ভবন ধসে পড়লে সবার আগে যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো—কারখানার নিচের প্রধান গেট বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, দেখা যায় অধিকাংশ বড় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ভবনটিতে কোনো জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও ছিল না কোনো জরুরি নির্গমন পথ এবং যথারীতি বন্ধ ছিল মূল গেট। ফলে এক রকম বন্দী অবস্থায় একটু একটু করে আগুনে পুড়ে, ভারী বাতাসে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন শ্রমিকেরা।
তাই ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটকে একযোগে কাজ করতে দেখেও রূপগঞ্জে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করলেন। এই বিক্ষোভের তাৎপর্য অনেক। এই বিক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা এবং সেই সূত্রে ঊর্ধ্বতন বলে যে কর্তৃপক্ষ আছে, আছে মালিক পক্ষ, তাদের প্রতি শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। এ দেশে শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ভালো না। তারা বারবার নিজের স্বজনদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেলোয়ার হোসেনদের হাসতে দেখেছে, বলতে শুনেছে—‘আমার কিসসু হবে না।’ তারা বারবার আবুল হাশেমদের অনায়াসেই বলতে শুনেছে—‘আমার কোনো দায় নেই।’
এখানে কবি ও শিল্পী কফিল আহমেদের একটি গানের কথা উল্লেখ করা যায়, যেখানে তিনি বলছেন—‘আমারে তালাবদ্ধ রেখে, আমারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে/ প্রেসনোট, শুধু প্রেসনোট আমি চাই না।’ অথচ এই প্রেসনোটই যেন শ্রমিকদের একমাত্র বাস্তবতা। যারা অর্থনীতির চাকাটি নিজের সর্বশক্তি দিয়ে টেনে নিয়ে যান, তাঁরা বরাবরই এই দেশে তালাবদ্ধ অবস্থায় আগুনে বা ভবন ধসে মারা পড়েন। কফিল আহমেদ গানটি লিখেছিলেন ১৯৯৭ সালে একটি কারখানায় তালাবদ্ধ অবস্থায় আগুনে পুড়ে সাত শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে। তারপর কত কত শ্রমিক কত কত কারখানায় এভাবে মারা পড়লেন। তাজরীন ফ্যাশনস, রানা প্লাজা হয়ে আজকে এই সজীব গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানা—কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। নিশ্চিন্তপুর বা রূপগঞ্জ—শ্রমিকের ঠিকানা যেখানেই হোক না কেন, কপালটি একই থাকছে। ঠিক যেমন এক থাকছে মালিকপক্ষের দম্ভ ও দায় না মানা চরিত্র। এর যেন কোনো শেষ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
১১ ঘণ্টা আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
১১ ঘণ্টা আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগে