আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। সেই টুইটের জবাবে ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসু শশী থারুরের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখেন। মেঘমল্লার ওই চিঠিতে অভিযোগ করেন, শশী থারুর শিবিরের বিজয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে গিয়ে পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মেঘমল্লারের খোলাচিঠি নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে এই নিয়ে শশী থারুরকে ট্রল করেছেন। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে শশী থারুরের। তবে তিনি মেঘের দাবি অস্বীকার করে আরেক টুইটে বলেছেন, ‘আমি “জামায়াতের প্রশংসা” করেছি বলে বেশ কিছু ট্রল করা হয়েছে। অথচ আমি আমার টুইটে তাদের (শিবির) বিজয়কে বলেছিলাম, “ভবিষ্যতের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত” (it is a worrying portent of things to come)—যদি এটিকেই কেউ “প্রশংসা” বলে ধরে নেয়, তাহলে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে ইংরেজি ভাষা আর আগের মতো নেই, যখন আমি এটি শিখেছিলাম।’
এরপর এ নিয়ে এনডিটিভিতে তিনি ‘দ্য ঢাকা ব্লিপ: হোয়াই ইন্ডিয়া ক্যান নট অ্যাফর্ড টু লুক অ্যাওয়’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণও লিখেছেন। লেখাটি তিনি এক্সে দেওয়া পাল্টা জবাবের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন। বিশ্লেষণটি আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হলো:
আমাদের পূর্বের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা এ খবর ভারতের সংবাদমাধ্যমে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের এই বিশাল জয় এক অভাবনীয় ঘটনা। ১৯৭১ সালের পর এটাই প্রথমবার কোনো ইসলামপন্থী ছাত্রসংগঠন এই প্রভাবশালী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিল। অনেকের কাছে এটি শুধু বিদেশের এক ছাত্র সংসদের নির্বাচন। কিন্তু নয়াদিল্লির কাছে এটি নিছক কোনো খবর নয়; এটি অনাগত সময়ের এক অশনিসংকেত, এক রাজনৈতিক ভূকম্পন, যার অভিঘাত শিগগির সীমান্তের এপাশেও অনুভূত হতে পারে।
প্রসঙ্গটি বোঝার জন্য আগে প্রেক্ষাপটটা দেখা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নির্বাচন শুধু একটি ক্যাম্পাসের ভোট নয়, ঐতিহাসিকভাবে তা দেশটির একটি রাজনৈতিক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয় স্পষ্ট বার্তা দেয় যে দেশের দুই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক শক্তি (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অন্যতম প্রধান দল বিএনপি) নিয়ে মানুষের গভীর হতাশা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দশক ধরে এই দুই দলই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ফলে ভোটারদের একটি বড় অংশ এখন বিমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনের এ বিজয়কে ধর্মান্ধ মৌলবাদের প্রতি প্রবল সমর্থন হিসেবে দেখার চেয়ে বরং তা একধরনের বিকল্প খোঁজার মরিয়া আকুতি হিসেবে দেখাটা ভালো। ভোটাররা ধর্মীয় উগ্রপন্থার অনুসারী নন; তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে নয়, বরং একে এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখছেন, যেটি এখনো পুরোনো নেতৃত্বের গভীর পচন-দূষণে কলঙ্কিত হয়নি।
এই হতাশা আরও বেড়েছে সম্প্রতি ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকার অপসারণে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী নাজুক প্রশাসনের মধ্য দিয়ে এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছে দেশ আর জনগণ খুঁজছে নতুন দিকনির্দেশনা।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকালে দমন ও হয়রানির শিকার জামায়াতে ইসলামী এখন পুনরায় আত্মপ্রকাশ এবং প্রভাব শক্তিশালী করার জন্য উর্বর ভূমি পাচ্ছে। ঢাকার মতো ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল রাজনীতির জমিনে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের এ জয় দলটির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রমাণ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে, যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দলটির বিতর্কিত ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেনি।
এখন প্রশ্ন হলো, ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে এর অর্থ ভারতের কাছে কী হতে পারে? বাংলাদেশে পরম্পরাগত যে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত ছিল, তা এখন পরিবর্তনের মুখে। আওয়ামী লীগ একসময় নয়াদিল্লির সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার থাকলেও বর্তমানে অস্থির অবস্থায় রয়েছে। দলটির নেতারা নির্বাসনে এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যা-ই হোক, বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার কারণে দলটি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের অন্যতম প্রধান দল হলেও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এবং জনমনে অনাস্থার মুখে পড়েছে তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরেছেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ এবং রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তাঁর অবর্তমানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে—যিনি বহু বছর লন্ডনে অবস্থান করছেন; ব্যাপকভাবে দূরদর্শী ও জনবান্ধব বলে দেখা হচ্ছে।
এটি স্পষ্টভাবে জামায়াতের জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে। বছরের পর বছর সামাজিক ও কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ইসলামি দলটির তৃণমূলভিত্তিক নেটওয়ার্ক ও রাজনীতির ময়দানে তাদের ‘পরিচ্ছন্ন’ ইমেজ—অন্তত হতাশ ভোটারদের চোখে—আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে জামায়াত নেতৃত্বের সরকার বা নতুন জোটে জামায়াতের প্রভাবশালী উপস্থিতি ভারতের জন্য জটিল ও সম্ভাব্য শত্রুতাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ভারতের বৈদেশিক নীতি ‘অ-হস্তক্ষেপমূলক’ হলেও বাস্তবে আমাদের নিকট প্রতিবেশের ঘটনা কখনোই সম্পূর্ণভাবে শুধুই তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ নয়। ঢাকায় আরও কট্টর সরকার গঠন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতবিরোধী উপাদানগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে; বিশেষ করে, পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে।
জামায়াতের উত্থান বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুর জন্যও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিহাসে দেখা গেছে, ইসলামি দলগুলোর রাজনৈতিক উত্থানের সময় হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঝুঁকি বেশি থাকে। জামায়াতের ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং এর আদর্শিক ভিত্তি, যা ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ইসলামের একটি আরও কট্টর, অনেকের মতে চরমপন্থী ব্যাখ্যার ওপর দাঁড়িয়ে; এর ভবিষ্যৎ আচরণ সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
এই অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ভারতের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এটি দেখাচ্ছে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায় ভারতের অপ্রস্তুত হয়ে পড়া সমীচীন হবে না। নয়াদিল্লিকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সব উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে, এমনকি জামায়াতের মধ্যে থাকা পক্ষের সঙ্গেও সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি আমরা হয়তো আর ঢাকায় বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্থিতিশীল সরকার পাব না—এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
এত দিন আমরা যে কৌশলগত অংশীদারত্বের ওপর নির্ভর করেছি, তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং যত দ্রুত আমরা এই নতুন বাস্তবতা স্বীকার করে প্রস্তুতি নেব, ততই আমরা সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে সক্ষম হব।

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। সেই টুইটের জবাবে ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসু শশী থারুরের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখেন। মেঘমল্লার ওই চিঠিতে অভিযোগ করেন, শশী থারুর শিবিরের বিজয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে গিয়ে পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মেঘমল্লারের খোলাচিঠি নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে এই নিয়ে শশী থারুরকে ট্রল করেছেন। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে শশী থারুরের। তবে তিনি মেঘের দাবি অস্বীকার করে আরেক টুইটে বলেছেন, ‘আমি “জামায়াতের প্রশংসা” করেছি বলে বেশ কিছু ট্রল করা হয়েছে। অথচ আমি আমার টুইটে তাদের (শিবির) বিজয়কে বলেছিলাম, “ভবিষ্যতের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত” (it is a worrying portent of things to come)—যদি এটিকেই কেউ “প্রশংসা” বলে ধরে নেয়, তাহলে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে ইংরেজি ভাষা আর আগের মতো নেই, যখন আমি এটি শিখেছিলাম।’
এরপর এ নিয়ে এনডিটিভিতে তিনি ‘দ্য ঢাকা ব্লিপ: হোয়াই ইন্ডিয়া ক্যান নট অ্যাফর্ড টু লুক অ্যাওয়’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণও লিখেছেন। লেখাটি তিনি এক্সে দেওয়া পাল্টা জবাবের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন। বিশ্লেষণটি আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হলো:
আমাদের পূর্বের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা এ খবর ভারতের সংবাদমাধ্যমে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের এই বিশাল জয় এক অভাবনীয় ঘটনা। ১৯৭১ সালের পর এটাই প্রথমবার কোনো ইসলামপন্থী ছাত্রসংগঠন এই প্রভাবশালী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিল। অনেকের কাছে এটি শুধু বিদেশের এক ছাত্র সংসদের নির্বাচন। কিন্তু নয়াদিল্লির কাছে এটি নিছক কোনো খবর নয়; এটি অনাগত সময়ের এক অশনিসংকেত, এক রাজনৈতিক ভূকম্পন, যার অভিঘাত শিগগির সীমান্তের এপাশেও অনুভূত হতে পারে।
প্রসঙ্গটি বোঝার জন্য আগে প্রেক্ষাপটটা দেখা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নির্বাচন শুধু একটি ক্যাম্পাসের ভোট নয়, ঐতিহাসিকভাবে তা দেশটির একটি রাজনৈতিক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয় স্পষ্ট বার্তা দেয় যে দেশের দুই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক শক্তি (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অন্যতম প্রধান দল বিএনপি) নিয়ে মানুষের গভীর হতাশা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দশক ধরে এই দুই দলই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ফলে ভোটারদের একটি বড় অংশ এখন বিমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনের এ বিজয়কে ধর্মান্ধ মৌলবাদের প্রতি প্রবল সমর্থন হিসেবে দেখার চেয়ে বরং তা একধরনের বিকল্প খোঁজার মরিয়া আকুতি হিসেবে দেখাটা ভালো। ভোটাররা ধর্মীয় উগ্রপন্থার অনুসারী নন; তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে নয়, বরং একে এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখছেন, যেটি এখনো পুরোনো নেতৃত্বের গভীর পচন-দূষণে কলঙ্কিত হয়নি।
এই হতাশা আরও বেড়েছে সম্প্রতি ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকার অপসারণে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী নাজুক প্রশাসনের মধ্য দিয়ে এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছে দেশ আর জনগণ খুঁজছে নতুন দিকনির্দেশনা।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকালে দমন ও হয়রানির শিকার জামায়াতে ইসলামী এখন পুনরায় আত্মপ্রকাশ এবং প্রভাব শক্তিশালী করার জন্য উর্বর ভূমি পাচ্ছে। ঢাকার মতো ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল রাজনীতির জমিনে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের এ জয় দলটির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রমাণ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে, যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দলটির বিতর্কিত ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেনি।
এখন প্রশ্ন হলো, ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে এর অর্থ ভারতের কাছে কী হতে পারে? বাংলাদেশে পরম্পরাগত যে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত ছিল, তা এখন পরিবর্তনের মুখে। আওয়ামী লীগ একসময় নয়াদিল্লির সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার থাকলেও বর্তমানে অস্থির অবস্থায় রয়েছে। দলটির নেতারা নির্বাসনে এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যা-ই হোক, বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার কারণে দলটি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের অন্যতম প্রধান দল হলেও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এবং জনমনে অনাস্থার মুখে পড়েছে তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরেছেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ এবং রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তাঁর অবর্তমানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে—যিনি বহু বছর লন্ডনে অবস্থান করছেন; ব্যাপকভাবে দূরদর্শী ও জনবান্ধব বলে দেখা হচ্ছে।
এটি স্পষ্টভাবে জামায়াতের জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে। বছরের পর বছর সামাজিক ও কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ইসলামি দলটির তৃণমূলভিত্তিক নেটওয়ার্ক ও রাজনীতির ময়দানে তাদের ‘পরিচ্ছন্ন’ ইমেজ—অন্তত হতাশ ভোটারদের চোখে—আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে জামায়াত নেতৃত্বের সরকার বা নতুন জোটে জামায়াতের প্রভাবশালী উপস্থিতি ভারতের জন্য জটিল ও সম্ভাব্য শত্রুতাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ভারতের বৈদেশিক নীতি ‘অ-হস্তক্ষেপমূলক’ হলেও বাস্তবে আমাদের নিকট প্রতিবেশের ঘটনা কখনোই সম্পূর্ণভাবে শুধুই তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ নয়। ঢাকায় আরও কট্টর সরকার গঠন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতবিরোধী উপাদানগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে; বিশেষ করে, পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে।
জামায়াতের উত্থান বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুর জন্যও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিহাসে দেখা গেছে, ইসলামি দলগুলোর রাজনৈতিক উত্থানের সময় হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঝুঁকি বেশি থাকে। জামায়াতের ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং এর আদর্শিক ভিত্তি, যা ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ইসলামের একটি আরও কট্টর, অনেকের মতে চরমপন্থী ব্যাখ্যার ওপর দাঁড়িয়ে; এর ভবিষ্যৎ আচরণ সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
এই অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ভারতের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এটি দেখাচ্ছে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায় ভারতের অপ্রস্তুত হয়ে পড়া সমীচীন হবে না। নয়াদিল্লিকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সব উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে, এমনকি জামায়াতের মধ্যে থাকা পক্ষের সঙ্গেও সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি আমরা হয়তো আর ঢাকায় বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্থিতিশীল সরকার পাব না—এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
এত দিন আমরা যে কৌশলগত অংশীদারত্বের ওপর নির্ভর করেছি, তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং যত দ্রুত আমরা এই নতুন বাস্তবতা স্বীকার করে প্রস্তুতি নেব, ততই আমরা সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে সক্ষম হব।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার এই দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে জামায়াত।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাঁকে দেশের আইনের মুখোমুখির ব্যবস্থা করে দিন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
শনিবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুরোনো সংবাদ সম্মেলনের ছবি ও বক্তব্য এডিট করে কিংবা কেউ কেউ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিবের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে একটি অসত্য ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে—যেখানে বিএনপি মহাসচিব আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের এমপি পদের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করছেন। এ ধরনের ভিডিও শুধু অসত্যই নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করার জন্যই কিছু কুচক্রী মহল গণমাধ্যমে বিএনপি মহাসচিবের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক ভিডিও প্রচার করেছে। দেশের জনগণসহ দলের নেতা-কর্মী ও এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ ধরনের এডিটকৃত ভিডিওতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আহ্বান জানাচ্ছে।’

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
শনিবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুরোনো সংবাদ সম্মেলনের ছবি ও বক্তব্য এডিট করে কিংবা কেউ কেউ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিবের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে একটি অসত্য ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে—যেখানে বিএনপি মহাসচিব আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের এমপি পদের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করছেন। এ ধরনের ভিডিও শুধু অসত্যই নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করার জন্যই কিছু কুচক্রী মহল গণমাধ্যমে বিএনপি মহাসচিবের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক ভিডিও প্রচার করেছে। দেশের জনগণসহ দলের নেতা-কর্মী ও এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ ধরনের এডিটকৃত ভিডিওতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আহ্বান জানাচ্ছে।’

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বড় ব্যবধানে বিজয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। সেই টুইটের জবাবে ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসু শশী থারুরের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখেন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার এই দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে জামায়াত।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাঁকে দেশের আইনের মুখোমুখির ব্যবস্থা করে দিন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক ধাপে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষে চলতি মাসে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেককেই চূড়ান্ত সুখবর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই অনেকটাই ঠিক করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অনেক আসন আছে, যেখানে সমস্যা আছে, সেখানে কোন প্রার্থী দেওয়া যায়, তা নিয়ে তিনিই চিন্তা-ভাবনা করছেন। অনেকেই বলছেন, তাঁরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েছেন, আমরাও শুনছি। তবে ঠিক কতজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমন সুখবর দিয়েছেন, তা বলতে পারছি না।’
দলীয় সূত্র বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অন্তত ৭০ ভাগ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। লন্ডন থেকে ফোনে যোগাযোগ করে বেশ কিছু আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীকে জনসংযোগ করতে বলেছেন তারেক রহমান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কবে নাগাদ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ঘোষণা দেবে, সে বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না দলের নীতিনির্ধারকেরা। তবে চলতি মাসেই সেটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে সেলিমা রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট করে দিন-ক্ষণ বলা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, সে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে দলটির ভেতর-বাইরে। দলটির সূত্রগুলো বলছে, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রার্থী হচ্ছেন—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁদের সবার জন্য একটি আসনই বরাদ্দ থাকবে, একাধিক আসনের সুযোগ নেই। অন্যদিকে দলের মধ্যম সারির নেতাদের মধ্যে সবদিক বিবেচনা করে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করেছেন তারেক রহমান। তাঁদের মধ্যে অনেককে ফোনে আশ্বস্তও করেছেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুণ, বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ মীর শাহ আলম, চাঁদপুর-১ সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও শরীয়তপুর-৩ মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।
এর মধ্যে তারেক রহমানের ফোনে মনোনয়নের নিশ্চয়তা পেয়ে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেছেন। তাঁর নির্দেশমতো আমি এলাকায় প্রচারের কাজ শুরু করেছি।’
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকের সঙ্গেই কথা বলছেন। নির্বাচনী মাঠে তাঁদের কাজ করতে বলেছেন। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘সবুজসংকেত’।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি শরিক দল ও সমমনা সংগঠনের সঙ্গেও আসন সমঝোতার আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। এই আলোচনার মধ্যে তারেক রহমানের কাছ থেকে সুখবর পেয়েছেন বলে দাবি করছেন ওই দলগুলোর অনেক নেতা। এরপর তাঁরা ভোটের মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
শরিক দলগুলোর এমন নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা-১৭), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ (ঢাকা-১৩), গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ-৫), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-৪), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-২), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬) এবং ন্যাশলাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের (নড়াইল-২) নাম শোনা যাচ্ছে।
এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। ’১৮-তে যেহেতু জোটের সঙ্গে ছিলাম, আশা করছি আমাকেই প্রার্থী করা হবে। আমি মনে করি, এলাকায় আমাকে পরাজিত করার মতো কোনো প্রার্থী নেই।’
এঁদের বাইরে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়নের ব্যাপারে তারেক রহমানের কাছ থেকে সুখবর পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সানজিদা ইসলাম গতকাল বলেন, ‘অফিশিয়াল ঘোষণার আগে এ বিষয়ে কিছু বলাটা ঠিক হবে না। অফিশিয়ালি সবার বিষয়ে যখন ঘোষণা আসবে, তখন এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক ধাপে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষে চলতি মাসে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেককেই চূড়ান্ত সুখবর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই অনেকটাই ঠিক করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অনেক আসন আছে, যেখানে সমস্যা আছে, সেখানে কোন প্রার্থী দেওয়া যায়, তা নিয়ে তিনিই চিন্তা-ভাবনা করছেন। অনেকেই বলছেন, তাঁরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েছেন, আমরাও শুনছি। তবে ঠিক কতজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমন সুখবর দিয়েছেন, তা বলতে পারছি না।’
দলীয় সূত্র বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অন্তত ৭০ ভাগ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। লন্ডন থেকে ফোনে যোগাযোগ করে বেশ কিছু আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীকে জনসংযোগ করতে বলেছেন তারেক রহমান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কবে নাগাদ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ঘোষণা দেবে, সে বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না দলের নীতিনির্ধারকেরা। তবে চলতি মাসেই সেটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে সেলিমা রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট করে দিন-ক্ষণ বলা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, সে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে দলটির ভেতর-বাইরে। দলটির সূত্রগুলো বলছে, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রার্থী হচ্ছেন—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁদের সবার জন্য একটি আসনই বরাদ্দ থাকবে, একাধিক আসনের সুযোগ নেই। অন্যদিকে দলের মধ্যম সারির নেতাদের মধ্যে সবদিক বিবেচনা করে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করেছেন তারেক রহমান। তাঁদের মধ্যে অনেককে ফোনে আশ্বস্তও করেছেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুণ, বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ মীর শাহ আলম, চাঁদপুর-১ সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও শরীয়তপুর-৩ মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।
এর মধ্যে তারেক রহমানের ফোনে মনোনয়নের নিশ্চয়তা পেয়ে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেছেন। তাঁর নির্দেশমতো আমি এলাকায় প্রচারের কাজ শুরু করেছি।’
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকের সঙ্গেই কথা বলছেন। নির্বাচনী মাঠে তাঁদের কাজ করতে বলেছেন। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘সবুজসংকেত’।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি শরিক দল ও সমমনা সংগঠনের সঙ্গেও আসন সমঝোতার আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। এই আলোচনার মধ্যে তারেক রহমানের কাছ থেকে সুখবর পেয়েছেন বলে দাবি করছেন ওই দলগুলোর অনেক নেতা। এরপর তাঁরা ভোটের মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
শরিক দলগুলোর এমন নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা-১৭), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ (ঢাকা-১৩), গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ-৫), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-৪), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-২), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬) এবং ন্যাশলাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের (নড়াইল-২) নাম শোনা যাচ্ছে।
এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। ’১৮-তে যেহেতু জোটের সঙ্গে ছিলাম, আশা করছি আমাকেই প্রার্থী করা হবে। আমি মনে করি, এলাকায় আমাকে পরাজিত করার মতো কোনো প্রার্থী নেই।’
এঁদের বাইরে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়নের ব্যাপারে তারেক রহমানের কাছ থেকে সুখবর পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সানজিদা ইসলাম গতকাল বলেন, ‘অফিশিয়াল ঘোষণার আগে এ বিষয়ে কিছু বলাটা ঠিক হবে না। অফিশিয়ালি সবার বিষয়ে যখন ঘোষণা আসবে, তখন এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।’

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বড় ব্যবধানে বিজয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। সেই টুইটের জবাবে ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসু শশী থারুরের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখেন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার এই দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে জামায়াত।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাঁকে দেশের আইনের মুখোমুখির ব্যবস্থা করে দিন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার এই দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে জামায়াত। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম আজ শনিবার (১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে আবদুল হালিম বলেন, ‘আজ পহেলা নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ‘‘একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে’’ মর্মে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জাতীয় ঐক্যবিনষ্টকারী, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর এ ধরনের মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায়, তিনি কাউকে খুশি করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার বক্তব্যে কর্তৃত্ববাদী ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সুর ধ্বনিত হচ্ছে। আমি তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বা ‘একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততা’ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ‘রাজনৈতিক হীনমন্যতা থেকেই বিভিন্ন সময়ে কেউ কেউ এমনটি করে থাকেন। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে জামায়াতকে টার্গেট করে এই ধরনের প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে। কিন্তু জাতি এখন এসব মিথ্যাচার সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন।’
জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আলালের এ ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী। আমি তাদের নিজেদের নেতৃবৃন্দের অতীত ভূমিকা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমানে যখন দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য ও পারস্পরিক সহনশীলতার প্রয়োজন, তখন তাঁর এই উসকানিমূলক মন্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি।’
আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, যার নীতি ও আদর্শ ইসলামী মূল্যবোধ, ন্যায়নীতি ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। অতএব, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপ্রসূত।
ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্য ও ‘বিভাজন সৃষ্টিকারী’ এবং ‘বিদ্বেষপ্রসূত, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার এই দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে জামায়াত। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম আজ শনিবার (১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে আবদুল হালিম বলেন, ‘আজ পহেলা নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ‘‘একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে’’ মর্মে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জাতীয় ঐক্যবিনষ্টকারী, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর এ ধরনের মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায়, তিনি কাউকে খুশি করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার বক্তব্যে কর্তৃত্ববাদী ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সুর ধ্বনিত হচ্ছে। আমি তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বা ‘একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততা’ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ‘রাজনৈতিক হীনমন্যতা থেকেই বিভিন্ন সময়ে কেউ কেউ এমনটি করে থাকেন। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে জামায়াতকে টার্গেট করে এই ধরনের প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে। কিন্তু জাতি এখন এসব মিথ্যাচার সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন।’
জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আলালের এ ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী। আমি তাদের নিজেদের নেতৃবৃন্দের অতীত ভূমিকা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমানে যখন দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য ও পারস্পরিক সহনশীলতার প্রয়োজন, তখন তাঁর এই উসকানিমূলক মন্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি।’
আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, যার নীতি ও আদর্শ ইসলামী মূল্যবোধ, ন্যায়নীতি ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। অতএব, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপ্রসূত।
ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্য ও ‘বিভাজন সৃষ্টিকারী’ এবং ‘বিদ্বেষপ্রসূত, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বড় ব্যবধানে বিজয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। সেই টুইটের জবাবে ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসু শশী থারুরের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখেন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাঁকে দেশের আইনের মুখোমুখির ব্যবস্থা করে দিন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারত সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাঁকে দেশের আইনের মুখোমুখির ব্যবস্থা করে দিন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভারতে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা বিভিন্ন মিডিয়াকে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। একবারের জন্য উনি অনুশোচনা করেনি...সেই মহিলা আজকে অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতে বসে। আপনারা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে দিন এবং দেশের যে আইন তা বিচারের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করে দিন। সব সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করবেন না, দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না। আমরা সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিব।’
বিএনপি নির্বাচন পেছাচ্ছে—এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মহাসচিব বলেন, ‘কোনো একটা দল বলে বিএনপি নাকি নির্বাচন পেছাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনীমুখী দল। প্রথম থেকেই আমরা নির্বাচনের কথা বলছি। গণ-অভ্যুত্থানের পরে তিন-চার মাসের মধ্যে আমরা নির্বাচন চাই, সেটাই বলেছিলাম। কেন বলেছিলাম? নির্বাচন হলে আজকে যে অপশক্তিগুলো মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, সেই অপশক্তিগুলো মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ পেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে জুলাই সনদ পাস করা হয়েছে, আমরা স্বাক্ষর করেছি। সেখানে বলা হয়েছে যে সব রাজনৈতিক দল, যেগুলোতে একমত সেগুলো সব সই হয়ে গেল, এমনকি যে সমস্ত বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে না, সেটাকে আপত্তি দিবে (নট অব ডিসেন্ট), সেটি লিপিবদ্ধ করা হবে এবং সেটা এখানে রাখা হবে। রাখা হয়েছে? আর এখন যেটা প্রস্তাব উত্থাপন করলেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্টের কোনো কথায় নাই, বরং নতুন করে কিছু নিয়ে আসছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সাথে, এটা একটা নিঃসন্দেহের প্রতারণামূলক কাজ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, আমরা যেটাতে সই করেছি, সেটা অবশ্যই সেটার দায়দায়িত্বটা গ্রহণ করব, কিন্তু যেটাতে আমরা সই করিনি, সেটাতে আমাদের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করব না।’
মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিভক্তি আনতে চাই না, কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু কিছু শক্তি, কিছু কিছু মানুষ এখানে বিভক্তি আনতে চায়...বাংলাদেশ একটা স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হয়েছে লড়াই করে, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, সেটাকে তারা অস্বীকার করতে চায়। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালকে ভুলে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কারণ, ওটাই আমাদের জন্মের ঠিকানা। ’৭১ হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের পরিচিতির কথা, আমাদের স্বতন্ত্র বা স্বাধীনের কথা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম ধরে বলব না। কিন্তু একবার অতীতটা স্মরণ করে দেখুন, ১৯৭১ সালে আপনাদের কী ভূমিকা ছিল। সেদিন আপনারা মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলে আখ্যায়িত করেছেন।’

ভারত সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাঁকে দেশের আইনের মুখোমুখির ব্যবস্থা করে দিন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভারতে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা বিভিন্ন মিডিয়াকে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। একবারের জন্য উনি অনুশোচনা করেনি...সেই মহিলা আজকে অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতে বসে। আপনারা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে দিন এবং দেশের যে আইন তা বিচারের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করে দিন। সব সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করবেন না, দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না। আমরা সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিব।’
বিএনপি নির্বাচন পেছাচ্ছে—এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মহাসচিব বলেন, ‘কোনো একটা দল বলে বিএনপি নাকি নির্বাচন পেছাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনীমুখী দল। প্রথম থেকেই আমরা নির্বাচনের কথা বলছি। গণ-অভ্যুত্থানের পরে তিন-চার মাসের মধ্যে আমরা নির্বাচন চাই, সেটাই বলেছিলাম। কেন বলেছিলাম? নির্বাচন হলে আজকে যে অপশক্তিগুলো মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, সেই অপশক্তিগুলো মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ পেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে জুলাই সনদ পাস করা হয়েছে, আমরা স্বাক্ষর করেছি। সেখানে বলা হয়েছে যে সব রাজনৈতিক দল, যেগুলোতে একমত সেগুলো সব সই হয়ে গেল, এমনকি যে সমস্ত বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে না, সেটাকে আপত্তি দিবে (নট অব ডিসেন্ট), সেটি লিপিবদ্ধ করা হবে এবং সেটা এখানে রাখা হবে। রাখা হয়েছে? আর এখন যেটা প্রস্তাব উত্থাপন করলেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্টের কোনো কথায় নাই, বরং নতুন করে কিছু নিয়ে আসছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সাথে, এটা একটা নিঃসন্দেহের প্রতারণামূলক কাজ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, আমরা যেটাতে সই করেছি, সেটা অবশ্যই সেটার দায়দায়িত্বটা গ্রহণ করব, কিন্তু যেটাতে আমরা সই করিনি, সেটাতে আমাদের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করব না।’
মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিভক্তি আনতে চাই না, কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু কিছু শক্তি, কিছু কিছু মানুষ এখানে বিভক্তি আনতে চায়...বাংলাদেশ একটা স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হয়েছে লড়াই করে, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, সেটাকে তারা অস্বীকার করতে চায়। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালকে ভুলে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কারণ, ওটাই আমাদের জন্মের ঠিকানা। ’৭১ হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের পরিচিতির কথা, আমাদের স্বতন্ত্র বা স্বাধীনের কথা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম ধরে বলব না। কিন্তু একবার অতীতটা স্মরণ করে দেখুন, ১৯৭১ সালে আপনাদের কী ভূমিকা ছিল। সেদিন আপনারা মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলে আখ্যায়িত করেছেন।’

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বড় ব্যবধানে বিজয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন কংগ্রেস এমপি শশী থারুর। সেই টুইটের জবাবে ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) মেঘমল্লার বসু শশী থারুরের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখেন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার এই দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে জামায়াত।
১৩ ঘণ্টা আগে