Ajker Patrika

একটি রাজনৈতিক দলের মুখে আল্লাহর নাম, নির্বাচনে জিততে করে মিথ্যাচার: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৪
একটি রাজনৈতিক দলের মুখে আল্লাহর নাম, নির্বাচনে জিততে করে মিথ্যাচার: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

জাকসু নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন সদস্যের ছত্রচ্ছায়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার ও নির্বাচনী অনিয়মের নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে।

‘অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই যে ওই সময় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে শুধু ব্যালট বাক্সসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন, অর্থাৎ পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। এ ধরনের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়। এই বিশেষ রাজনৈতিক দল যদিও মুখে মুখে সব সময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়, কিন্তু একটি নির্বাচনে জয়ের জন্য তারা মিথ্যাচারের মতো পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হয়নি।

‘নির্বাচন কমিশনের ওই ‘‘বিশেষ রাজনৈতিক মতাবলম্বী সদস্যদের” ও তাদের দোসর প্রভোস্টদের অপতৎপরতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও বিভিন্ন হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। জাল ভোট দেওয়া ও প্রার্থী/প্রতিনিধি/সাংবাদিকদের হয়রানি (মব) করার অভিযোগ ওঠে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫ নম্বর হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে। ১৫ নম্বর হলের প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ও পর্যবেক্ষক দল ওই হলে ব্যালট পড়ে থাকাসহ নানান অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে।

‘এ ছাড়াও বিস্ময়করভাবে হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ক্রমিক নম্বর ও মুড়ি থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিল না। অথচ ‘‘ক্রমিক নম্বর’’ হলো ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালট পেপারে থাকা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, যা গণনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এমনকি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকাও ছবিসহ সরবরাহ করা হয়নি, যা ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকায় বহু শিক্ষার্থী নিজ হলে ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদানের মতো নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য নির্বাচনী অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই।

‘আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ও নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম একই সূত্রে গাঁথা। আমরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আয়োজিত এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানাই ও অভিযোগগুলো সুষ্ঠু সুরাহার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানাই।’

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষে এই বিবৃতি দেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক ড. মাহবুব কবির, অধ্যাপক ড. এম নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, অধ্যাপক ড. নাজমুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল হুদা, অধ্যাপক ড. মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মনজুর ইলাহী, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মামুন হোসেন, অধ্যাপক ড. এ এন এম ফখরুদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক ড. আবেদা সুলতানা, অধ্যাপক ড. গাজী মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক ড. নাহিদ আখতার, অধ্যাপক ড. আবু ফয়েজ মো. আসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, অধ্যাপক ড. নাসরীন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. কে এম জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এমাদুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. তাসমিনা রহমান, অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার, অধ্যাপক ড. আবদুর রাশিদ, অধ্যাপক ড. জেসমিন আকতার, অধ্যাপক ড. মো. সালেকুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান, অধ্যাপক চৌধুরী গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. তাসলিমা নাহার, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ রায়হান শরীফ, ড. সোমা মুমতাজ, মোহাম্মাদ সালাহউদ্দীন ভূঁইয়া, তমালিকা সুলতানা, কামরুন নেছা খন্দকার, মো. নূরুল হক, মোহাম্মাদ রেজাউল রকিব, এস এম মাহমুদুল হাসান ও মো. আল-আমিন খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এক-দুইটা দলের মন জুগিয়ে চললে জুলাই শহীদের অভিশাপ পেতে হবে: সরকারকে মঞ্জু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে রোববার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে রোববার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এক-দুইটা রাজনৈতিক দলের মন জুগিয়ে চললে জুলাই শহীদ এবং আহতদের কাছে আজীবন ভিলেন হিসেবে অভিশাপ পেতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘তিন দলের চাপে পড়ে বারবার সিদ্ধান্ত বদল করছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো সেটা করতে হবে; কোনো দলের স্বার্থ হাসিল নয়।

আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশ এই সভার আয়োজন করে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন—এটা ভালো। তবে তাঁর কাছে প্রশ্ন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায়, বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’

সভায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অনেক মতভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে এক হয়ে নতুন রাজনীতির জন্য কাজ করতে হবে। এখনই রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়েছে, তার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট হওয়ার উপাদান নিহিত আছে। অতীতে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারার কারণে সফলতা এসেছে। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বকে কিছু বুড়ো মানুষ ভুল পথে পরিচালিত করেছে এবং টাকাওয়ালাদের কাছে নিয়ে গেছে। ফলে রাষ্ট্রের সংস্কার আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড. মুশতাক হোসেন খান বলেন, আস্থার অভাবে ঝগড়া করে এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ আস্থাশীল হলে সবাই লাভবান হতে পারত। এ দেশের মানুষের সহজে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবণতার কারণে আওয়ামী লীগ বেঁচে গেছে। স্বার্থবাদী দলগুলো ‘ভাই ভাই রাজনীতি’ করে বলেই স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট বারবার আসে। অপরাধ করলে কোনো না কোনোভাবে শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।

তিনি বলেন, ‘গোটা দুনিয়ায় ভারত পরাস্ত শক্তি হলেও বাংলাদেশে সে প্রভাব বিস্তার করে। কারণ, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর চরম আস্থাহীনতা আছে এবং প্রভাবশালীদের অনেকের হাঁড়ির খবর ভারতের কাছে আছে। তা ছাড়া নিজেদের সুবিধার জন্য অনেকে ভারতপন্থী হচ্ছে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘শাপলা কলি’ প্রতীক মেনে নিচ্ছে এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৪
রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

অবশেষে শাপলা কলি মেনে নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে তাদের নিবন্ধনের আবেদনে সংশোধনী এনে ‘লাল শাপলার’ পরিবর্তে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে।

আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—আপনারা কি ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নেবেন? জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি নেব। তবে শাপলা কেন দেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা আমরা এখনো পাইনি।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরপিও ইস্যুতে এনসিপির চিঠি, আইন উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি।

দলটির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস প্রদান করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।’

চিঠিতে আখতার উল্লেখ করেন, ‘আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয়। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর (consultative) ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। অতএব সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা আপনার প্রশাসনের প্রতি জন-আস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আপনি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বিপরীতে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’

তিনটি ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়—

প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।

দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।

অতএব, আমরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন—যেকোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট নিবন্ধন করতে হবে।

এমন সংশোধন রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করবে না, বরং প্রকৃত গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করবে। কারণ, এতে প্রতিটি দলকে নিজের নাম, নীতি ও নেতৃত্বের দায় নিজেকেই নিতে হবে। এটি ভোটারের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম শর্ত।

উল্লিখিত বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে দলগুলোর প্রার্থীদের ইচ্ছেমতো প্রতীক নেওয়ার সুযোগ বহাল চেয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের জোটের প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার বিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টা তাঁদের এই সংশোধনের দাবি মেনেছেন কি না—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৭
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

আজ রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পাটওয়ারী।

প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি প্রতীকের জন্য ইসিতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত