অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান
প্রায় প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যু আর আক্রান্তের রেকর্ড দেখছি আমরা। কিছুদিন আগে যখন দেশে কঠোর লকডাউন চলছিল, তখনো করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার যথেষ্ট বেশি ছিল। আর এখন আট দিনের জন্য সব শিথিল করার ফলে অবস্থা যে আরও ভয়াবহ হবে তা খুব সহজেই বোঝা যায়।
লকডাউন ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে। যে শিথিলতা আনা হয়েছে এর ফলে এখন বিধিনিষেধ বলে আর কিছু নাই। করোনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি আমরা। অনেকে আবার এই শিথিলতা ২৩ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ২৭ জুলাই পর্যন্ত করারও দাবি করছেন।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, গরুর হাটে বিপণি বিতানে, ফেরি ঘাটে, লঞ্চ ঘাটে মানুষের ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক না পড়ার প্রবণতা আমাদের বিপদকে ভয়াবহ রূপ দেবে।
এ অবস্থায় দ্রুতগতির সংক্রমণসম্পন্ন যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট সেটা যে কি পরিমাণে বিস্তার লাভ করবে সেটা খুব সহজেই অনুধাবন করা যায়। ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ রোগীর মধ্যে পাওয়া গেছে। এটা আরও ছড়িয়ে পড়লে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোভিড আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যদি ২ শতাংশের হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এবং তাদের হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলার প্রয়োজন পড়ে তবে সেটা সবাইকে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই। গত বছর আমরা দেখছি হাসপাতালে হাসপাতালে মানুষ ছোটাছুটি করছে এবং পথিমধ্যে মানুষ মারা যাচ্ছে। এবার এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
নাটাই থেকে আমরা নিজেরাই সুতো ছেড়ে দিয়েছি। ঘুড়ি ছুটে গেছে। করোনা ভয়ংকর অবস্থাটা আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি। মানুষ দল বেঁধে গ্রামে যাচ্ছে। যারা মনস্থির করেছে যাবে, তাদের আর ঠেকানো যাবে না। এই মুহূর্তে মানুষকে একটাই সতর্কবাণী দেওয়া যায়, সেটা হচ্ছে তারা যেন স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানেন। মাস্ক পরলে, সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে প্রতিপালন করলে কিছুটা হলেও সংক্রমণের গতিটা কম থাকবে। ঈদ শেষে সবাই যখন শহরে ফিরবে তখন তারা যাতে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে। হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার এগুলো যাতে সঠিকভাবে করেন সবাই। এর কোনো বিকল্প আমাদের সামনে আপাতত নেই।
অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, সভাপতি, স্বাচিপ
প্রায় প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যু আর আক্রান্তের রেকর্ড দেখছি আমরা। কিছুদিন আগে যখন দেশে কঠোর লকডাউন চলছিল, তখনো করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার যথেষ্ট বেশি ছিল। আর এখন আট দিনের জন্য সব শিথিল করার ফলে অবস্থা যে আরও ভয়াবহ হবে তা খুব সহজেই বোঝা যায়।
লকডাউন ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে। যে শিথিলতা আনা হয়েছে এর ফলে এখন বিধিনিষেধ বলে আর কিছু নাই। করোনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি আমরা। অনেকে আবার এই শিথিলতা ২৩ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ২৭ জুলাই পর্যন্ত করারও দাবি করছেন।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, গরুর হাটে বিপণি বিতানে, ফেরি ঘাটে, লঞ্চ ঘাটে মানুষের ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক না পড়ার প্রবণতা আমাদের বিপদকে ভয়াবহ রূপ দেবে।
এ অবস্থায় দ্রুতগতির সংক্রমণসম্পন্ন যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট সেটা যে কি পরিমাণে বিস্তার লাভ করবে সেটা খুব সহজেই অনুধাবন করা যায়। ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ রোগীর মধ্যে পাওয়া গেছে। এটা আরও ছড়িয়ে পড়লে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোভিড আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যদি ২ শতাংশের হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এবং তাদের হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলার প্রয়োজন পড়ে তবে সেটা সবাইকে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই। গত বছর আমরা দেখছি হাসপাতালে হাসপাতালে মানুষ ছোটাছুটি করছে এবং পথিমধ্যে মানুষ মারা যাচ্ছে। এবার এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
নাটাই থেকে আমরা নিজেরাই সুতো ছেড়ে দিয়েছি। ঘুড়ি ছুটে গেছে। করোনা ভয়ংকর অবস্থাটা আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি। মানুষ দল বেঁধে গ্রামে যাচ্ছে। যারা মনস্থির করেছে যাবে, তাদের আর ঠেকানো যাবে না। এই মুহূর্তে মানুষকে একটাই সতর্কবাণী দেওয়া যায়, সেটা হচ্ছে তারা যেন স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানেন। মাস্ক পরলে, সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে প্রতিপালন করলে কিছুটা হলেও সংক্রমণের গতিটা কম থাকবে। ঈদ শেষে সবাই যখন শহরে ফিরবে তখন তারা যাতে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে। হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার এগুলো যাতে সঠিকভাবে করেন সবাই। এর কোনো বিকল্প আমাদের সামনে আপাতত নেই।
অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, সভাপতি, স্বাচিপ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
১৭ ঘণ্টা আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
১৭ ঘণ্টা আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
১৭ ঘণ্টা আগে