সম্পাদকীয়
এ রকম ভজকট যে ঘটবে, সেটা জানাই ছিল। দেশের বিভিন্ন রাজপথে, ফেরি বা লঞ্চঘাটে অস্থির মানুষের অসহায়ত্ব দেখতে হবে–সেটা ছিল অবশ্যম্ভাবী। সেটাই ঘটেছে। ঈদে ‘নাড়ির টানে’ বাড়িফেরা মানুষ আবার ফিরছেন ঢাকায়। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাঁদের কেউ কেউ না ঘরকা, না ঘাটকা হয়ে আতঙ্কিত সময় পার করেছেন। কেউ ফেরিঘাটে, লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করছিলেন। কেউ রাজধানীতে পৌঁছে হেঁটেই রওনা হয়েছেন বাসস্থানে, কেউ অপেক্ষা করেছেন–যদি কোনো বাহন মিলে যায়! এ এক বিতিকিচ্ছির অবস্থা!
২৩ জুলাই থেকে কড়া লকডাউন হবে—ঘোষণা করেছিল সরকার। এবার মোটামুটি সান্ধ্য আইনের মতো লকডাউন মান্য করা হবে—সে কথাও প্রচারিত হচ্ছিল জোরেশোরে। কিন্তু ঈদের আগের সময়টায় মানুষের যথেচ্ছ চলাচলের অনুমতি দিয়ে করোনার বিপদ বাড়ানো হয়েছিল কি না, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আরও কয়েক দিন পর। করোনা কিন্তু ঈদের উৎসবে ছুটি কাটায়নি, অবসরে যায়নি, সে কাজ করে গেছে নিজের মতোই।
ঈদের পরপরই লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল তর্ক চলছে। কেউ বলছেন, সরকারেরই উচিত ছিল ঈদের আগে থেকে সবাইকে ঘরে বেঁধে রাখা। ঈদে অন্য কোনো গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া বন্ধ করা ছিল সরকারের কাজ। অন্যরা বলছেন, সরকার তো সতর্ক করেছেই। মানুষের কি কাণ্ডজ্ঞান থাকতে হবে না? কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি–সেটাও কি সরকার নির্ধারণ করে দেবে?
এই বিতর্কের শেষ হবে না। সরকারি অনেক সিদ্ধান্তই ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’র মতো হয়ে যায়। সাধারণ মানুষও উৎসবের আনন্দ ছাড়তে চায় না, ফলাফল কী হবে, সে তো পরের ব্যাপার।
সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে, কারও কারও আয় বন্ধ হয়ে গেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ খাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেই। করোনায় মৃত্যু না হলে খিদেয় মৃত্যু হবে–এই পরিস্থিতিতে আসলেই করণীয় কী–সেটা নির্ধারণ করে দেওয়া শক্ত। দুমুঠো অন্নসংস্থান করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে পারলে মানুষকে ঘরে বন্দী করে রাখা সম্ভব। কিন্তু ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ হয়ে উঠলে কঠোর, কড়া প্রভৃতি শব্দ যোগ করে লকডাউনকে কি কার্যকর করা সম্ভব? উন্নত বিশ্বে স্বল্প আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার, আমাদের দেশে সেটা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। কিন্তু কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, সেটাও ভাবা দরকার। আর এ ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য সরকারের পাশাপাশি ধনবান মানুষদেরও যুক্ততা কাম্য।
ঈদ শেষ না হতেই লকডাউনের কারণে যাঁরা ঢাকার বিভিন্ন স্টেশনে নেমে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর পথে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তাঁরাও নিশ্চয় নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে একসময় বাড়ি পৌঁছেছেন। ১৪ দিনের এই কড়া লকডাউন ঠিকঠাকভাবে চললে ফল কী দাঁড়ায়, তা বোঝা যাবে কয়েক দিন পর। আপাতত উৎসব-পরবর্তী জীবনে সতর্কতা অবলম্বন করে সবাই চলবেন–এই কামনা করছি।
এ রকম ভজকট যে ঘটবে, সেটা জানাই ছিল। দেশের বিভিন্ন রাজপথে, ফেরি বা লঞ্চঘাটে অস্থির মানুষের অসহায়ত্ব দেখতে হবে–সেটা ছিল অবশ্যম্ভাবী। সেটাই ঘটেছে। ঈদে ‘নাড়ির টানে’ বাড়িফেরা মানুষ আবার ফিরছেন ঢাকায়। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাঁদের কেউ কেউ না ঘরকা, না ঘাটকা হয়ে আতঙ্কিত সময় পার করেছেন। কেউ ফেরিঘাটে, লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করছিলেন। কেউ রাজধানীতে পৌঁছে হেঁটেই রওনা হয়েছেন বাসস্থানে, কেউ অপেক্ষা করেছেন–যদি কোনো বাহন মিলে যায়! এ এক বিতিকিচ্ছির অবস্থা!
২৩ জুলাই থেকে কড়া লকডাউন হবে—ঘোষণা করেছিল সরকার। এবার মোটামুটি সান্ধ্য আইনের মতো লকডাউন মান্য করা হবে—সে কথাও প্রচারিত হচ্ছিল জোরেশোরে। কিন্তু ঈদের আগের সময়টায় মানুষের যথেচ্ছ চলাচলের অনুমতি দিয়ে করোনার বিপদ বাড়ানো হয়েছিল কি না, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আরও কয়েক দিন পর। করোনা কিন্তু ঈদের উৎসবে ছুটি কাটায়নি, অবসরে যায়নি, সে কাজ করে গেছে নিজের মতোই।
ঈদের পরপরই লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল তর্ক চলছে। কেউ বলছেন, সরকারেরই উচিত ছিল ঈদের আগে থেকে সবাইকে ঘরে বেঁধে রাখা। ঈদে অন্য কোনো গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া বন্ধ করা ছিল সরকারের কাজ। অন্যরা বলছেন, সরকার তো সতর্ক করেছেই। মানুষের কি কাণ্ডজ্ঞান থাকতে হবে না? কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি–সেটাও কি সরকার নির্ধারণ করে দেবে?
এই বিতর্কের শেষ হবে না। সরকারি অনেক সিদ্ধান্তই ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’র মতো হয়ে যায়। সাধারণ মানুষও উৎসবের আনন্দ ছাড়তে চায় না, ফলাফল কী হবে, সে তো পরের ব্যাপার।
সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে, কারও কারও আয় বন্ধ হয়ে গেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ খাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেই। করোনায় মৃত্যু না হলে খিদেয় মৃত্যু হবে–এই পরিস্থিতিতে আসলেই করণীয় কী–সেটা নির্ধারণ করে দেওয়া শক্ত। দুমুঠো অন্নসংস্থান করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে পারলে মানুষকে ঘরে বন্দী করে রাখা সম্ভব। কিন্তু ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ হয়ে উঠলে কঠোর, কড়া প্রভৃতি শব্দ যোগ করে লকডাউনকে কি কার্যকর করা সম্ভব? উন্নত বিশ্বে স্বল্প আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার, আমাদের দেশে সেটা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। কিন্তু কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, সেটাও ভাবা দরকার। আর এ ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য সরকারের পাশাপাশি ধনবান মানুষদেরও যুক্ততা কাম্য।
ঈদ শেষ না হতেই লকডাউনের কারণে যাঁরা ঢাকার বিভিন্ন স্টেশনে নেমে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর পথে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তাঁরাও নিশ্চয় নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে একসময় বাড়ি পৌঁছেছেন। ১৪ দিনের এই কড়া লকডাউন ঠিকঠাকভাবে চললে ফল কী দাঁড়ায়, তা বোঝা যাবে কয়েক দিন পর। আপাতত উৎসব-পরবর্তী জীবনে সতর্কতা অবলম্বন করে সবাই চলবেন–এই কামনা করছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
১৫ ঘণ্টা আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
১৫ ঘণ্টা আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে