শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে নিয়োগ ও বদলিতে আইনত বাধা নেই। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের ক্ষমতা খর্ব করে এভাবে নিয়োগ-বদলিতে জটিলতা বাড়বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাজের গতি আরও কমে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা রুলস অব বিজনেসে স্পষ্ট বলা আছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং যুগ্ম সচিব থেকে শুরু করে ওপরের পদে নিয়োগ, বদলি ও পদায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি)। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তিনটি কমিটি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিগত সরকারের আমলে চুক্তিতে নিয়োজিত ৯৯ শতাংশ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে। বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ সচিবকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অন্যদিকে অনেক আগে অবসরে যাওয়া ১৪ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিতে সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা এখন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে আছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশে কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগ কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করে। এখন এপিডি অনুবিভাগের আগের সেই ক্ষমতা আর থাকছে না। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এবং যুগ্ম সচিব থেকে ওপরের পদে নিয়োগ ও বদলি করতে হলে উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিতে হবে। এর ফলে দক্ষ অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ দিতে হলে উপসচিব পদ থেকে পদোন্নতি দিতে হবে। কিন্তু এ পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার এসএসবির। উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হলেও এসএসবি বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি। ফলে পদোন্নতিতে উপদেষ্টাদের কমিটির ভূমিকা কী হবে বা এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়।
এপিডির দায়িত্বে ছিলেন এবং পরে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া তিনজন সাবেক কর্মকর্তা মনে করেন, উপদেষ্টাদের কমিটি, এপিডি অনুবিভাগ এবং এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, প্রজ্ঞাপনে তা স্পষ্ট করে বলে দিলে কর্মকর্তাদের কাজ করতে সুবিধা হতো। এখন অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকর্তারা দ্বিধায় পড়বেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এসএসসি বাদ দিয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে কাউন্সিল গঠন করে। ওই কাউন্সিল উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল। পরে কাউন্সিল বাতিল করে এসএসবি বহাল করা হয়। তিন বছরের আগে কাউকে মাঠ প্রশাসন থেকে প্রত্যাহার করতে হলে ২০০১ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটির মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। কারণ, ওই সময় মন্ত্রী-এমপিরা মাঠপ্রশাসন থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে একজন উপদেষ্টাকে। কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তাঁর ভালো জানাশোনা নেই। অথচ সদস্যসচিবকেই কমিটিতে প্রস্তাব পেশ করতে হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরামর্শ দিতে যেকোনো কমিটি প্রধান উপদেষ্টা করতেই পারেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কাজ করতে পারে, না-ও করতে পারে। শীর্ষ আমলারা তাঁদের কাজ ঠিকমতো করছেন না বলেই এটা করা হয়েছে। অনেক আদেশ জারির পর বাতিল করতে হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে আমলাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগ ও বদলির বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হলেও যুগ্ম সচিব পদে নতুন নিয়োগ দিতে পদোন্নতি দিতে হবে। এটা এসএসবির কাজ। এসএসবি বাতিল করা হয়নি।
ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপে প্রশাসনের কাজের গতি কমে যাবে। বদলি-পদায়নের প্রক্রিয়াও মন্থর হবে। তাৎক্ষণিক বদলি করার দরকার হলে পারবে না, সমস্যা সৃষ্টি করবে। এটা প্রশাসনের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কারণ, এখন প্রশাসন রুটিন কাজই করতে পারছে না।’
অবশ্য সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, তিনি মনে করেন, এই কমিটি যৌক্তিক। কারণ, পদ-পদবির জন্য যেভাবে আন্দোলন হয়েছে এবং হচ্ছে সেটি কর্মকর্তা পর্যায়ে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিয়ে নিয়োগ ও বদলি করলে কাজের গতি কমবে কি না, তা নির্ভর করবে সচিবের ওপর। সচিব চাইলে জরুরি বিষয়ে উপদেষ্টাদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মন্ত্রী গাইড করবেন, কিন্তু কাজ দ্রুত না দেরিতে হবে; ঠিক না, বেঠিক হবে, তা সচিবের দায়। এখন ওই দায় নেওয়ার সচিব কয়জন আছেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে নিয়োগ ও বদলিতে আইনত বাধা নেই। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের ক্ষমতা খর্ব করে এভাবে নিয়োগ-বদলিতে জটিলতা বাড়বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাজের গতি আরও কমে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা রুলস অব বিজনেসে স্পষ্ট বলা আছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং যুগ্ম সচিব থেকে শুরু করে ওপরের পদে নিয়োগ, বদলি ও পদায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি)। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তিনটি কমিটি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিগত সরকারের আমলে চুক্তিতে নিয়োজিত ৯৯ শতাংশ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে। বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ সচিবকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অন্যদিকে অনেক আগে অবসরে যাওয়া ১৪ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিতে সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা এখন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে আছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশে কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগ কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করে। এখন এপিডি অনুবিভাগের আগের সেই ক্ষমতা আর থাকছে না। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এবং যুগ্ম সচিব থেকে ওপরের পদে নিয়োগ ও বদলি করতে হলে উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিতে হবে। এর ফলে দক্ষ অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ দিতে হলে উপসচিব পদ থেকে পদোন্নতি দিতে হবে। কিন্তু এ পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার এসএসবির। উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হলেও এসএসবি বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি। ফলে পদোন্নতিতে উপদেষ্টাদের কমিটির ভূমিকা কী হবে বা এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়।
এপিডির দায়িত্বে ছিলেন এবং পরে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া তিনজন সাবেক কর্মকর্তা মনে করেন, উপদেষ্টাদের কমিটি, এপিডি অনুবিভাগ এবং এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, প্রজ্ঞাপনে তা স্পষ্ট করে বলে দিলে কর্মকর্তাদের কাজ করতে সুবিধা হতো। এখন অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকর্তারা দ্বিধায় পড়বেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এসএসসি বাদ দিয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে কাউন্সিল গঠন করে। ওই কাউন্সিল উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল। পরে কাউন্সিল বাতিল করে এসএসবি বহাল করা হয়। তিন বছরের আগে কাউকে মাঠ প্রশাসন থেকে প্রত্যাহার করতে হলে ২০০১ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটির মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। কারণ, ওই সময় মন্ত্রী-এমপিরা মাঠপ্রশাসন থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে একজন উপদেষ্টাকে। কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তাঁর ভালো জানাশোনা নেই। অথচ সদস্যসচিবকেই কমিটিতে প্রস্তাব পেশ করতে হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরামর্শ দিতে যেকোনো কমিটি প্রধান উপদেষ্টা করতেই পারেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কাজ করতে পারে, না-ও করতে পারে। শীর্ষ আমলারা তাঁদের কাজ ঠিকমতো করছেন না বলেই এটা করা হয়েছে। অনেক আদেশ জারির পর বাতিল করতে হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে আমলাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগ ও বদলির বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হলেও যুগ্ম সচিব পদে নতুন নিয়োগ দিতে পদোন্নতি দিতে হবে। এটা এসএসবির কাজ। এসএসবি বাতিল করা হয়নি।
ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপে প্রশাসনের কাজের গতি কমে যাবে। বদলি-পদায়নের প্রক্রিয়াও মন্থর হবে। তাৎক্ষণিক বদলি করার দরকার হলে পারবে না, সমস্যা সৃষ্টি করবে। এটা প্রশাসনের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কারণ, এখন প্রশাসন রুটিন কাজই করতে পারছে না।’
অবশ্য সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, তিনি মনে করেন, এই কমিটি যৌক্তিক। কারণ, পদ-পদবির জন্য যেভাবে আন্দোলন হয়েছে এবং হচ্ছে সেটি কর্মকর্তা পর্যায়ে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিয়ে নিয়োগ ও বদলি করলে কাজের গতি কমবে কি না, তা নির্ভর করবে সচিবের ওপর। সচিব চাইলে জরুরি বিষয়ে উপদেষ্টাদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মন্ত্রী গাইড করবেন, কিন্তু কাজ দ্রুত না দেরিতে হবে; ঠিক না, বেঠিক হবে, তা সচিবের দায়। এখন ওই দায় নেওয়ার সচিব কয়জন আছেন?
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে নিয়োগ ও বদলিতে আইনত বাধা নেই। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের ক্ষমতা খর্ব করে এভাবে নিয়োগ-বদলিতে জটিলতা বাড়বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাজের গতি আরও কমে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা রুলস অব বিজনেসে স্পষ্ট বলা আছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং যুগ্ম সচিব থেকে শুরু করে ওপরের পদে নিয়োগ, বদলি ও পদায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি)। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তিনটি কমিটি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিগত সরকারের আমলে চুক্তিতে নিয়োজিত ৯৯ শতাংশ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে। বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ সচিবকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অন্যদিকে অনেক আগে অবসরে যাওয়া ১৪ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিতে সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা এখন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে আছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশে কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগ কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করে। এখন এপিডি অনুবিভাগের আগের সেই ক্ষমতা আর থাকছে না। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এবং যুগ্ম সচিব থেকে ওপরের পদে নিয়োগ ও বদলি করতে হলে উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিতে হবে। এর ফলে দক্ষ অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ দিতে হলে উপসচিব পদ থেকে পদোন্নতি দিতে হবে। কিন্তু এ পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার এসএসবির। উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হলেও এসএসবি বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি। ফলে পদোন্নতিতে উপদেষ্টাদের কমিটির ভূমিকা কী হবে বা এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়।
এপিডির দায়িত্বে ছিলেন এবং পরে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া তিনজন সাবেক কর্মকর্তা মনে করেন, উপদেষ্টাদের কমিটি, এপিডি অনুবিভাগ এবং এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, প্রজ্ঞাপনে তা স্পষ্ট করে বলে দিলে কর্মকর্তাদের কাজ করতে সুবিধা হতো। এখন অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকর্তারা দ্বিধায় পড়বেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এসএসসি বাদ দিয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে কাউন্সিল গঠন করে। ওই কাউন্সিল উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল। পরে কাউন্সিল বাতিল করে এসএসবি বহাল করা হয়। তিন বছরের আগে কাউকে মাঠ প্রশাসন থেকে প্রত্যাহার করতে হলে ২০০১ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটির মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। কারণ, ওই সময় মন্ত্রী-এমপিরা মাঠপ্রশাসন থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে একজন উপদেষ্টাকে। কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তাঁর ভালো জানাশোনা নেই। অথচ সদস্যসচিবকেই কমিটিতে প্রস্তাব পেশ করতে হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরামর্শ দিতে যেকোনো কমিটি প্রধান উপদেষ্টা করতেই পারেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কাজ করতে পারে, না-ও করতে পারে। শীর্ষ আমলারা তাঁদের কাজ ঠিকমতো করছেন না বলেই এটা করা হয়েছে। অনেক আদেশ জারির পর বাতিল করতে হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে আমলাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগ ও বদলির বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হলেও যুগ্ম সচিব পদে নতুন নিয়োগ দিতে পদোন্নতি দিতে হবে। এটা এসএসবির কাজ। এসএসবি বাতিল করা হয়নি।
ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপে প্রশাসনের কাজের গতি কমে যাবে। বদলি-পদায়নের প্রক্রিয়াও মন্থর হবে। তাৎক্ষণিক বদলি করার দরকার হলে পারবে না, সমস্যা সৃষ্টি করবে। এটা প্রশাসনের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কারণ, এখন প্রশাসন রুটিন কাজই করতে পারছে না।’
অবশ্য সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, তিনি মনে করেন, এই কমিটি যৌক্তিক। কারণ, পদ-পদবির জন্য যেভাবে আন্দোলন হয়েছে এবং হচ্ছে সেটি কর্মকর্তা পর্যায়ে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিয়ে নিয়োগ ও বদলি করলে কাজের গতি কমবে কি না, তা নির্ভর করবে সচিবের ওপর। সচিব চাইলে জরুরি বিষয়ে উপদেষ্টাদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মন্ত্রী গাইড করবেন, কিন্তু কাজ দ্রুত না দেরিতে হবে; ঠিক না, বেঠিক হবে, তা সচিবের দায়। এখন ওই দায় নেওয়ার সচিব কয়জন আছেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে নিয়োগ ও বদলিতে আইনত বাধা নেই। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের ক্ষমতা খর্ব করে এভাবে নিয়োগ-বদলিতে জটিলতা বাড়বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাজের গতি আরও কমে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা রুলস অব বিজনেসে স্পষ্ট বলা আছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং যুগ্ম সচিব থেকে শুরু করে ওপরের পদে নিয়োগ, বদলি ও পদায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি)। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তিনটি কমিটি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিগত সরকারের আমলে চুক্তিতে নিয়োজিত ৯৯ শতাংশ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে। বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ সচিবকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অন্যদিকে অনেক আগে অবসরে যাওয়া ১৪ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিতে সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা এখন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে আছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশে কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগ কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করে। এখন এপিডি অনুবিভাগের আগের সেই ক্ষমতা আর থাকছে না। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এবং যুগ্ম সচিব থেকে ওপরের পদে নিয়োগ ও বদলি করতে হলে উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিতে হবে। এর ফলে দক্ষ অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ দিতে হলে উপসচিব পদ থেকে পদোন্নতি দিতে হবে। কিন্তু এ পদোন্নতি দেওয়ার এখতিয়ার এসএসবির। উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হলেও এসএসবি বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি। ফলে পদোন্নতিতে উপদেষ্টাদের কমিটির ভূমিকা কী হবে বা এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়।
এপিডির দায়িত্বে ছিলেন এবং পরে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া তিনজন সাবেক কর্মকর্তা মনে করেন, উপদেষ্টাদের কমিটি, এপিডি অনুবিভাগ এবং এসএসবি কীভাবে কাজ করবে, প্রজ্ঞাপনে তা স্পষ্ট করে বলে দিলে কর্মকর্তাদের কাজ করতে সুবিধা হতো। এখন অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকর্তারা দ্বিধায় পড়বেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এসএসসি বাদ দিয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে কাউন্সিল গঠন করে। ওই কাউন্সিল উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল। পরে কাউন্সিল বাতিল করে এসএসবি বহাল করা হয়। তিন বছরের আগে কাউকে মাঠ প্রশাসন থেকে প্রত্যাহার করতে হলে ২০০১ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটির মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। কারণ, ওই সময় মন্ত্রী-এমপিরা মাঠপ্রশাসন থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে একজন উপদেষ্টাকে। কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তাঁর ভালো জানাশোনা নেই। অথচ সদস্যসচিবকেই কমিটিতে প্রস্তাব পেশ করতে হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরামর্শ দিতে যেকোনো কমিটি প্রধান উপদেষ্টা করতেই পারেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কাজ করতে পারে, না-ও করতে পারে। শীর্ষ আমলারা তাঁদের কাজ ঠিকমতো করছেন না বলেই এটা করা হয়েছে। অনেক আদেশ জারির পর বাতিল করতে হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে আমলাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে উপদেষ্টাদের কমিটিকে নিয়োগ ও বদলির বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হলেও যুগ্ম সচিব পদে নতুন নিয়োগ দিতে পদোন্নতি দিতে হবে। এটা এসএসবির কাজ। এসএসবি বাতিল করা হয়নি।
ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপে প্রশাসনের কাজের গতি কমে যাবে। বদলি-পদায়নের প্রক্রিয়াও মন্থর হবে। তাৎক্ষণিক বদলি করার দরকার হলে পারবে না, সমস্যা সৃষ্টি করবে। এটা প্রশাসনের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কারণ, এখন প্রশাসন রুটিন কাজই করতে পারছে না।’
অবশ্য সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, তিনি মনে করেন, এই কমিটি যৌক্তিক। কারণ, পদ-পদবির জন্য যেভাবে আন্দোলন হয়েছে এবং হচ্ছে সেটি কর্মকর্তা পর্যায়ে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কমিটির সুপারিশ নিয়ে নিয়োগ ও বদলি করলে কাজের গতি কমবে কি না, তা নির্ভর করবে সচিবের ওপর। সচিব চাইলে জরুরি বিষয়ে উপদেষ্টাদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মন্ত্রী গাইড করবেন, কিন্তু কাজ দ্রুত না দেরিতে হবে; ঠিক না, বেঠিক হবে, তা সচিবের দায়। এখন ওই দায় নেওয়ার সচিব কয়জন আছেন?

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৮ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৮ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৮ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির পরামর্শে জনপ্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির পদক্ষেপে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এতে পদোন্নতি ও বদলিপ্রক্রিয়ায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের সুযোগ তৈরি হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৮ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে