অনলাইন ডেস্ক
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি চলাকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে উদ্দেশ করে বিচারক বিচার বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। একপর্যায়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা কেটে যাবে।’
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ দৃশ্য দেখা যায়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয় আজ। শুনানির সময় আনিসুল হককে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
অন্যান্য মামলার শুনানি চলায় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বিচারক আনিসুল হককে কাঠগড়ায় থাকা বেঞ্চে বসতে বলেন। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হলে দুদকের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলার বিস্তারিত আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
একপর্যায়ে বিচারক আনিসুলকে উদ্দেশ করে বিচার বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। মামলা জটের চিত্র তুলে ধরে বিচারক বলেন, ‘ঢাকায় লক্ষাধিক নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের মামলা পরিচালনা করার জন্য মাত্র সাতটি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রয়েছে, যা মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য অপ্রতুল। অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারকদের টিনশেড ভবনে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগের তেমন কোনো সংস্কার হয়নি।’
এ সময় আনিসুল হক আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমি আইনমন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রতি বছর বিচারকসহ সহায়ক লোকবল নিয়োগের জন্য রিকুইজিশন দিতাম। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। যে কারণে যথেষ্ট বিচারক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।’
সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের যত ইম্প্রুভমেন্ট (উন্নতি) হয়েছে তা আমার করা। তবে আমার একটাই দুঃখ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জন্য আলাদা একটি ভবন করতে পারিনি। ইনশা আল্লাহ, সামনে ভবন নির্মিত হবে, এই সংকট, সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠব।’
এরপর বিচারক আবারও বলেন, ‘সব কথা তো বলা যায় না। একটা টিভি সেন্টারের জন্য যে বাজেট সেই বাজেটও এই মন্ত্রণালয় পায় না। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য কাজ তেমন আগায় না। বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমলাতন্ত্র একটা বড় বাধা। এখনো আমরা পুরোনো আইন যেসব ব্রিটিশরা তৈরি করে দিয়েছিল সেসবের মধ্যে আটকে আছি। আইনগুলো আপডেট করা দরকার। দেওয়ানি কার্যবিধি এমন যে একটা দেওয়ানি মামলা দিয়ে ১০০ বছরও ঘোরানো যায়। সারা দেশে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক দেওয়ানি মামলা চলমান। আর বিচারক মাত্র তিন শ জন।’
পরে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি চলাকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে উদ্দেশ করে বিচারক বিচার বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। একপর্যায়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা কেটে যাবে।’
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ দৃশ্য দেখা যায়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয় আজ। শুনানির সময় আনিসুল হককে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
অন্যান্য মামলার শুনানি চলায় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বিচারক আনিসুল হককে কাঠগড়ায় থাকা বেঞ্চে বসতে বলেন। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হলে দুদকের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলার বিস্তারিত আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
একপর্যায়ে বিচারক আনিসুলকে উদ্দেশ করে বিচার বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। মামলা জটের চিত্র তুলে ধরে বিচারক বলেন, ‘ঢাকায় লক্ষাধিক নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের মামলা পরিচালনা করার জন্য মাত্র সাতটি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রয়েছে, যা মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য অপ্রতুল। অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারকদের টিনশেড ভবনে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগের তেমন কোনো সংস্কার হয়নি।’
এ সময় আনিসুল হক আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমি আইনমন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রতি বছর বিচারকসহ সহায়ক লোকবল নিয়োগের জন্য রিকুইজিশন দিতাম। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। যে কারণে যথেষ্ট বিচারক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।’
সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের যত ইম্প্রুভমেন্ট (উন্নতি) হয়েছে তা আমার করা। তবে আমার একটাই দুঃখ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জন্য আলাদা একটি ভবন করতে পারিনি। ইনশা আল্লাহ, সামনে ভবন নির্মিত হবে, এই সংকট, সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠব।’
এরপর বিচারক আবারও বলেন, ‘সব কথা তো বলা যায় না। একটা টিভি সেন্টারের জন্য যে বাজেট সেই বাজেটও এই মন্ত্রণালয় পায় না। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য কাজ তেমন আগায় না। বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমলাতন্ত্র একটা বড় বাধা। এখনো আমরা পুরোনো আইন যেসব ব্রিটিশরা তৈরি করে দিয়েছিল সেসবের মধ্যে আটকে আছি। আইনগুলো আপডেট করা দরকার। দেওয়ানি কার্যবিধি এমন যে একটা দেওয়ানি মামলা দিয়ে ১০০ বছরও ঘোরানো যায়। সারা দেশে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক দেওয়ানি মামলা চলমান। আর বিচারক মাত্র তিন শ জন।’
পরে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৮ মিনিট আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
২৮ মিনিট আগেদেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৪ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
১০ ঘণ্টা আগে