নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সন্ধ্যা নামার আগে আগে রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানঘাটের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে কান্নার রোলে। শেষবারের মতো কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন সহকর্মী ও সহযোদ্ধারা। নীরবে দাঁড়িয়ে বারবার চোখ মুছছিলেন স্ত্রী-কন্যা ও স্বজনেরা।
আজ শনিবার প্রথিতযশা সাংবাদিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকারের শেষকৃত্য সম্পন্নকালে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। ধর্মীয় আচার শেষে এই কীর্তিমানের মুখাগ্নি করেন তাঁর ছেলে ঋত সরকার।
শ্মশানে দাঁড়িয়ে বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ক্ষতটির জন্য আমাদের পরিবার দায়ী, এর জন্য আমাদের সমাজ, রাজনীতি দায়ী, যে প্রতিষ্ঠানে আমরা একেকজন চাকরি করি, তারাও দায়ী। আমরা কেউ শুশ্রূষার দায় নিই না। আমরা ওপরে ওপরে ভালো থাকার, ভালো রাখার চেষ্টা করি।’
বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর ‘অপ্সরা’ নামের ভাড়া বাসায় বিভুরঞ্জনের মরদেহ আনা হয়। স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় মুহূর্তেই ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। স্ত্রী শেফালী সরকার ভেঙে পড়েন স্বামীর নিথর দেহের সামনে। প্রতিবেশী, বন্ধু আর সহকর্মীদের ভিড়ে বাড়িটি তখন হয়ে ওঠে শোকের সমুদ্র।
খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ তখন আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, ‘আমরা তো উনার লেখার ভক্ত। তাঁর মতো খ্যাতিমান সাংবাদিকের এমন বিদায়, মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টের।’
সুদূর বগুড়া থেকে এসেছিলেন বিভুরঞ্জনের ছোট বোন ভারতী সরকার। চোখ মুছতে মুছতে তিনি শুধু বলতে পারলেন, ‘আমার ভাই কীভাবে মরলো, এখনো কিছুই জানি না।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয় ময়নাতদন্ত। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ মো. এহসানুল ইসলাম জানান, শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি ও পাকস্থলী সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে পরিবারের কাছে।
ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকারসহ সহকর্মীরা কাঁপা হাতে গ্রহণ করেন সেই লাশ। ফ্রিজিং গাড়িতে করে লাশ ফিরিয়ে আনা হয় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসায়।
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন ছিলেন সাংবাদিকতার এক নিরলস সৈনিক। আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পরিবার সেদিন রাতেই রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরদিন মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যে মানুষটি মানুষের শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকারের জন্য লিখেছেন নিরন্তর, আজ তিনিই হয়ে গেলেন এক মর্মন্তুদ বেদনার কাহিনি। সহকর্মী, বন্ধু, পরিবার—সবাই শুধু একটাই কথা বলছেন, সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
সন্ধ্যা নামার আগে আগে রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানঘাটের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে কান্নার রোলে। শেষবারের মতো কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন সহকর্মী ও সহযোদ্ধারা। নীরবে দাঁড়িয়ে বারবার চোখ মুছছিলেন স্ত্রী-কন্যা ও স্বজনেরা।
আজ শনিবার প্রথিতযশা সাংবাদিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকারের শেষকৃত্য সম্পন্নকালে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। ধর্মীয় আচার শেষে এই কীর্তিমানের মুখাগ্নি করেন তাঁর ছেলে ঋত সরকার।
শ্মশানে দাঁড়িয়ে বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ক্ষতটির জন্য আমাদের পরিবার দায়ী, এর জন্য আমাদের সমাজ, রাজনীতি দায়ী, যে প্রতিষ্ঠানে আমরা একেকজন চাকরি করি, তারাও দায়ী। আমরা কেউ শুশ্রূষার দায় নিই না। আমরা ওপরে ওপরে ভালো থাকার, ভালো রাখার চেষ্টা করি।’
বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর ‘অপ্সরা’ নামের ভাড়া বাসায় বিভুরঞ্জনের মরদেহ আনা হয়। স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় মুহূর্তেই ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। স্ত্রী শেফালী সরকার ভেঙে পড়েন স্বামীর নিথর দেহের সামনে। প্রতিবেশী, বন্ধু আর সহকর্মীদের ভিড়ে বাড়িটি তখন হয়ে ওঠে শোকের সমুদ্র।
খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ তখন আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, ‘আমরা তো উনার লেখার ভক্ত। তাঁর মতো খ্যাতিমান সাংবাদিকের এমন বিদায়, মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টের।’
সুদূর বগুড়া থেকে এসেছিলেন বিভুরঞ্জনের ছোট বোন ভারতী সরকার। চোখ মুছতে মুছতে তিনি শুধু বলতে পারলেন, ‘আমার ভাই কীভাবে মরলো, এখনো কিছুই জানি না।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয় ময়নাতদন্ত। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ মো. এহসানুল ইসলাম জানান, শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি ও পাকস্থলী সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে পরিবারের কাছে।
ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকারসহ সহকর্মীরা কাঁপা হাতে গ্রহণ করেন সেই লাশ। ফ্রিজিং গাড়িতে করে লাশ ফিরিয়ে আনা হয় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসায়।
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন ছিলেন সাংবাদিকতার এক নিরলস সৈনিক। আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পরিবার সেদিন রাতেই রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরদিন মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যে মানুষটি মানুষের শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকারের জন্য লিখেছেন নিরন্তর, আজ তিনিই হয়ে গেলেন এক মর্মন্তুদ বেদনার কাহিনি। সহকর্মী, বন্ধু, পরিবার—সবাই শুধু একটাই কথা বলছেন, সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান...
২৩ মিনিট আগেবাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় পাকিস্তান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গতকাল শনিবার ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে দায়ের করা দাবি-আপত্তির ওপর শুনানি শুরু করতে যাচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দীন কমিশন। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুনানি শুরু হবে।
৭ ঘণ্টা আগেদেশে এখন বাক্ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেছেন, ‘দেশে এখন বাক্ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আপনারা কিন্তু আগে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারেন নাই। এখন সবাই যাঁর যাঁর মতো করে প্রকাশ করতে পারেন।’
৭ ঘণ্টা আগে