নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ভবিষ্যতে (এই বিচার) যেন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় এবং এই যে অপরাধীরা, এই অপরাধীরা যাতে পার না পায়, সেজন্যই সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। তাহলে এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তা নাহলে ভবিষ্যতে অভিযুক্তরা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ করে বসলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সেনা আইনে বিচারে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসার বিরোধিতা করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর উপর এদেশের জনগণের এখনো সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতে আস্থা থাকবে।
গুমের বিচার সেনা আইনে সম্ভব কি— এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সেনা আইনে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু কোনো অপরাধ যদি আইনে না থাকে, সেটার বিচার কীভাবে করা যায় সেটি বলা আছে। দ্বিতীয়ত সেনা আইন কোরআন না বাইবেল নয়, যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যদি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা যায়, তাহলে প্রয়োজনে সেনা আইনও সংশোধন কর যায়।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো ও তুরস্কের ডিকটেটরদের বিচার সেনা আইন সংশোধনীর মাধ্যমে করার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হলে সমস্যা কোথায়– এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৫২ অনুযায়ী আইন পরিবর্তন করার একমাত্র অথরিটি হচ্ছে সংসদ। আমাদের সংসদ যদি না থাকে তাইলে স্পেশাল অর্ডারে করতে পারে যেটা এখন করছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরবর্তী সরকার যদি আসে এবং ওখানে সংসদে যদি ওরা আইনটা অ্যাপ্রুভ না করে তখন এই যে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, এমনভাবে বিচার করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা না যায়। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইন ও সেনা আইন— দুটোই সংবিধান স্বীকৃত। এখানে (আইসিটি আইন) সংবিধানের অনেকগুলো আর্টিকেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘যে ধরনের গুম-খুন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে, সে যদি আমার আপন ভাইও হয়, আমি তার ফাঁসি চাইব এবং সেটা জনসম্মুখে চাইব। কিন্তু আমরা এই বিচার করতে গিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’
‘আর কোনো সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই’– সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফ বলেন, ‘তাহলে যাদেরকে এখন একিউজ করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে, সেটা কি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে? যখন কোনো একটা বিষয় তদন্ত করতে যাব, আরেকজন ক্রিমিনাল বের হবে। তাই এখানে ফুল স্টপ দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ ও এলপিআরে থাকা একজনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই তথ্য জানানোর পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের বিচার ও তাদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনার মধ্যে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত তুলে ধরল।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ভবিষ্যতে (এই বিচার) যেন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় এবং এই যে অপরাধীরা, এই অপরাধীরা যাতে পার না পায়, সেজন্যই সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। তাহলে এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তা নাহলে ভবিষ্যতে অভিযুক্তরা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ করে বসলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সেনা আইনে বিচারে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসার বিরোধিতা করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর উপর এদেশের জনগণের এখনো সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতে আস্থা থাকবে।
গুমের বিচার সেনা আইনে সম্ভব কি— এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সেনা আইনে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু কোনো অপরাধ যদি আইনে না থাকে, সেটার বিচার কীভাবে করা যায় সেটি বলা আছে। দ্বিতীয়ত সেনা আইন কোরআন না বাইবেল নয়, যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যদি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা যায়, তাহলে প্রয়োজনে সেনা আইনও সংশোধন কর যায়।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো ও তুরস্কের ডিকটেটরদের বিচার সেনা আইন সংশোধনীর মাধ্যমে করার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হলে সমস্যা কোথায়– এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৫২ অনুযায়ী আইন পরিবর্তন করার একমাত্র অথরিটি হচ্ছে সংসদ। আমাদের সংসদ যদি না থাকে তাইলে স্পেশাল অর্ডারে করতে পারে যেটা এখন করছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরবর্তী সরকার যদি আসে এবং ওখানে সংসদে যদি ওরা আইনটা অ্যাপ্রুভ না করে তখন এই যে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, এমনভাবে বিচার করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা না যায়। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইন ও সেনা আইন— দুটোই সংবিধান স্বীকৃত। এখানে (আইসিটি আইন) সংবিধানের অনেকগুলো আর্টিকেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘যে ধরনের গুম-খুন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে, সে যদি আমার আপন ভাইও হয়, আমি তার ফাঁসি চাইব এবং সেটা জনসম্মুখে চাইব। কিন্তু আমরা এই বিচার করতে গিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’
‘আর কোনো সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই’– সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফ বলেন, ‘তাহলে যাদেরকে এখন একিউজ করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে, সেটা কি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে? যখন কোনো একটা বিষয় তদন্ত করতে যাব, আরেকজন ক্রিমিনাল বের হবে। তাই এখানে ফুল স্টপ দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ ও এলপিআরে থাকা একজনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই তথ্য জানানোর পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের বিচার ও তাদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনার মধ্যে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত তুলে ধরল।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ভবিষ্যতে (এই বিচার) যেন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় এবং এই যে অপরাধীরা, এই অপরাধীরা যাতে পার না পায়, সেজন্যই সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। তাহলে এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তা নাহলে ভবিষ্যতে অভিযুক্তরা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ করে বসলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সেনা আইনে বিচারে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসার বিরোধিতা করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর উপর এদেশের জনগণের এখনো সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতে আস্থা থাকবে।
গুমের বিচার সেনা আইনে সম্ভব কি— এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সেনা আইনে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু কোনো অপরাধ যদি আইনে না থাকে, সেটার বিচার কীভাবে করা যায় সেটি বলা আছে। দ্বিতীয়ত সেনা আইন কোরআন না বাইবেল নয়, যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যদি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা যায়, তাহলে প্রয়োজনে সেনা আইনও সংশোধন কর যায়।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো ও তুরস্কের ডিকটেটরদের বিচার সেনা আইন সংশোধনীর মাধ্যমে করার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হলে সমস্যা কোথায়– এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৫২ অনুযায়ী আইন পরিবর্তন করার একমাত্র অথরিটি হচ্ছে সংসদ। আমাদের সংসদ যদি না থাকে তাইলে স্পেশাল অর্ডারে করতে পারে যেটা এখন করছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরবর্তী সরকার যদি আসে এবং ওখানে সংসদে যদি ওরা আইনটা অ্যাপ্রুভ না করে তখন এই যে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, এমনভাবে বিচার করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা না যায়। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইন ও সেনা আইন— দুটোই সংবিধান স্বীকৃত। এখানে (আইসিটি আইন) সংবিধানের অনেকগুলো আর্টিকেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘যে ধরনের গুম-খুন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে, সে যদি আমার আপন ভাইও হয়, আমি তার ফাঁসি চাইব এবং সেটা জনসম্মুখে চাইব। কিন্তু আমরা এই বিচার করতে গিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’
‘আর কোনো সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই’– সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফ বলেন, ‘তাহলে যাদেরকে এখন একিউজ করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে, সেটা কি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে? যখন কোনো একটা বিষয় তদন্ত করতে যাব, আরেকজন ক্রিমিনাল বের হবে। তাই এখানে ফুল স্টপ দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ ও এলপিআরে থাকা একজনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই তথ্য জানানোর পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের বিচার ও তাদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনার মধ্যে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত তুলে ধরল।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ভবিষ্যতে (এই বিচার) যেন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় এবং এই যে অপরাধীরা, এই অপরাধীরা যাতে পার না পায়, সেজন্যই সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। তাহলে এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তা নাহলে ভবিষ্যতে অভিযুক্তরা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ করে বসলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সেনা আইনে বিচারে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসার বিরোধিতা করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর উপর এদেশের জনগণের এখনো সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতে আস্থা থাকবে।
গুমের বিচার সেনা আইনে সম্ভব কি— এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সেনা আইনে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু কোনো অপরাধ যদি আইনে না থাকে, সেটার বিচার কীভাবে করা যায় সেটি বলা আছে। দ্বিতীয়ত সেনা আইন কোরআন না বাইবেল নয়, যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যদি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা যায়, তাহলে প্রয়োজনে সেনা আইনও সংশোধন কর যায়।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো ও তুরস্কের ডিকটেটরদের বিচার সেনা আইন সংশোধনীর মাধ্যমে করার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হলে সমস্যা কোথায়– এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৫২ অনুযায়ী আইন পরিবর্তন করার একমাত্র অথরিটি হচ্ছে সংসদ। আমাদের সংসদ যদি না থাকে তাইলে স্পেশাল অর্ডারে করতে পারে যেটা এখন করছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরবর্তী সরকার যদি আসে এবং ওখানে সংসদে যদি ওরা আইনটা অ্যাপ্রুভ না করে তখন এই যে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, এমনভাবে বিচার করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা না যায়। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইন ও সেনা আইন— দুটোই সংবিধান স্বীকৃত। এখানে (আইসিটি আইন) সংবিধানের অনেকগুলো আর্টিকেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘যে ধরনের গুম-খুন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে, সে যদি আমার আপন ভাইও হয়, আমি তার ফাঁসি চাইব এবং সেটা জনসম্মুখে চাইব। কিন্তু আমরা এই বিচার করতে গিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’
‘আর কোনো সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই’– সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফ বলেন, ‘তাহলে যাদেরকে এখন একিউজ করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে, সেটা কি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে? যখন কোনো একটা বিষয় তদন্ত করতে যাব, আরেকজন ক্রিমিনাল বের হবে। তাই এখানে ফুল স্টপ দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ ও এলপিআরে থাকা একজনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই তথ্য জানানোর পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের বিচার ও তাদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনার মধ্যে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত তুলে ধরল।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
৩ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব দলের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উপনীত হতে পারব।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়। সেই খসড়ার ওপর পাওয়া মতামত যুক্ত করে জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য তৈরি করা হয়েছে। পটভূমিতে কিছু ভাষাগত পরিবর্তনের পাশাপাশি ‘ঐকমত্যের ঘোষণা’ শিরোনামে জুলাই সনদে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যের পটভূমিতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ; পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও বঞ্চনার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ; পঁচাত্তরে বাকশাল গঠন, পটপরিবর্তনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান বিষয় উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ার পটভূমিতে ‘১৯৭৬ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা ছিল। চূড়ান্ত ভাষ্যে এর স্থলে ‘১৯৭৮ সালে বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা হয়েছে।
খসড়া সনদের পটভূমির আরেক অংশে লেখা হয়েছিল, ‘২০০৬ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও তৎপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।’ চূড়ান্ত ভাষ্যে লেখা হয়, ‘২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লগি-বইঠা তাণ্ডবে দেশে কয়েকটি নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১/১১ সরকার নামে পরিচিত। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়।’
সন্নিবেশিত নতুন বাক্যে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রকাঠামোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অবারিত সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিগত ১৬ বছরে দলীয় প্রভাবকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর, জবাবদিহিবিহীন ও বিচারহীনতার সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।’
খসড়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলা হয়, শাসকগোষ্ঠীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শিশু-নারীসহ প্রায় এক হাজার নাগরিক নিহত হয়। চূড়ান্ত ভাষ্যে এক হাজারের জায়গায় ‘সহস্রাধিক’ বলা আছে। এ ছাড়া ‘জনগণের সম্মিলিত শক্তি ও প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী শাসক ও তার দোসরেরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’—এই বাক্যের ‘স্বৈরাচারী শাসকের’ স্থলে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ ও ‘পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’ শব্দগুচ্ছের আগে ‘অনেকেই’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
খসড়ায় সংস্কার কমিশন গঠন অংশে বলা হয়, বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। চূড়ান্ত ভাষ্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার প্রথমে ৩ অক্টোবর পৃথক প্রজ্ঞাপনে পাঁচটি কমিশন গঠন করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব করতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো খসড়ায় কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া উল্লেখ ছিল না। জুলাই সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব দলের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উপনীত হতে পারব।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়। সেই খসড়ার ওপর পাওয়া মতামত যুক্ত করে জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য তৈরি করা হয়েছে। পটভূমিতে কিছু ভাষাগত পরিবর্তনের পাশাপাশি ‘ঐকমত্যের ঘোষণা’ শিরোনামে জুলাই সনদে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যের পটভূমিতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ; পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও বঞ্চনার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ; পঁচাত্তরে বাকশাল গঠন, পটপরিবর্তনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের নানান বিষয় উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ার পটভূমিতে ‘১৯৭৬ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা ছিল। চূড়ান্ত ভাষ্যে এর স্থলে ‘১৯৭৮ সালে বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়’ লেখা হয়েছে।
খসড়া সনদের পটভূমির আরেক অংশে লেখা হয়েছিল, ‘২০০৬ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও তৎপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।’ চূড়ান্ত ভাষ্যে লেখা হয়, ‘২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লগি-বইঠা তাণ্ডবে দেশে কয়েকটি নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও একটি অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১/১১ সরকার নামে পরিচিত। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়।’
সন্নিবেশিত নতুন বাক্যে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রকাঠামোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অবারিত সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিগত ১৬ বছরে দলীয় প্রভাবকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর, জবাবদিহিবিহীন ও বিচারহীনতার সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।’
খসড়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলা হয়, শাসকগোষ্ঠীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শিশু-নারীসহ প্রায় এক হাজার নাগরিক নিহত হয়। চূড়ান্ত ভাষ্যে এক হাজারের জায়গায় ‘সহস্রাধিক’ বলা আছে। এ ছাড়া ‘জনগণের সম্মিলিত শক্তি ও প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী শাসক ও তার দোসরেরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’—এই বাক্যের ‘স্বৈরাচারী শাসকের’ স্থলে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ ও ‘পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’ শব্দগুচ্ছের আগে ‘অনেকেই’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
খসড়ায় সংস্কার কমিশন গঠন অংশে বলা হয়, বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। চূড়ান্ত ভাষ্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার প্রথমে ৩ অক্টোবর পৃথক প্রজ্ঞাপনে পাঁচটি কমিশন গঠন করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব করতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো খসড়ায় কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া উল্লেখ ছিল না। জুলাই সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
৩ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র নীতির পরিপন্থী এবং ন্যায়বিচারের মৌলিক মানদণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ঠিক কোন বিবেচনায় ও যুক্তিতে অন্যান্য অভিযুক্তদের থেকে পৃথক ব্যবস্থাপনায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা জানা জরুরি। একই অভিযোগের ক্ষেত্রে পরিচয় বা অবস্থানের কারণে বৈষম্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তির পেশাগত পরিচয় বা পদমর্যাদা বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলনীতি অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য নয়। বাংলাদেশ রোম স্ট্যাটিউট অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের স্বাক্ষরকারী দেশ, যার ২৭ ধারা অনুযায়ী ব্যক্তির রাজনৈতিক বা সামরিক অবস্থান বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো সুবিধা দিতে পারে না। একইভাবে নুরেমবার্গ প্রিন্সিপল অনুযায়ীও দাপ্তরিক পদ বা দায়িত্ব অপরাধ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার ভিত্তি হতে পারে না।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পারসন্স ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ এর স্বাক্ষরকারী দেশ। এই কনভেনশনে সরকার ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে। সে অনুযায়ী অভিযুক্তদের পেশাগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়, পদমর্যাদা কিংবা সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তুলে ধরেছে টিআইবি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী নিজেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, যা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। অথচ অন্য অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখার প্রয়োজন কেন হলো, তার ব্যাখ্যা সেনা কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের দেওয়া জরুরি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযুক্তদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। কোনো বিশেষ শ্রেণিকে সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বৈষম্যমূলক না করার আহ্বান করা হয় টিআইবির পক্ষ থেকে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র নীতির পরিপন্থী এবং ন্যায়বিচারের মৌলিক মানদণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ঠিক কোন বিবেচনায় ও যুক্তিতে অন্যান্য অভিযুক্তদের থেকে পৃথক ব্যবস্থাপনায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা জানা জরুরি। একই অভিযোগের ক্ষেত্রে পরিচয় বা অবস্থানের কারণে বৈষম্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তির পেশাগত পরিচয় বা পদমর্যাদা বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলনীতি অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য নয়। বাংলাদেশ রোম স্ট্যাটিউট অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের স্বাক্ষরকারী দেশ, যার ২৭ ধারা অনুযায়ী ব্যক্তির রাজনৈতিক বা সামরিক অবস্থান বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো সুবিধা দিতে পারে না। একইভাবে নুরেমবার্গ প্রিন্সিপল অনুযায়ীও দাপ্তরিক পদ বা দায়িত্ব অপরাধ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার ভিত্তি হতে পারে না।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পারসন্স ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ এর স্বাক্ষরকারী দেশ। এই কনভেনশনে সরকার ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে। সে অনুযায়ী অভিযুক্তদের পেশাগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়, পদমর্যাদা কিংবা সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তুলে ধরেছে টিআইবি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী নিজেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, যা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। অথচ অন্য অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখার প্রয়োজন কেন হলো, তার ব্যাখ্যা সেনা কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের দেওয়া জরুরি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযুক্তদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। কোনো বিশেষ শ্রেণিকে সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বৈষম্যমূলক না করার আহ্বান করা হয় টিআইবির পক্ষ থেকে।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সব চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্দিষ্ট আমলি এলাকার অপরাধগুলো আমলে নেন এবং সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পাঠানো মামলাগুলোর বিচার করেন।
আমলে নেওয়ার পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের তদন্ত তদারকি, তদন্তে সহায়তা, জামিন শুনানি, রিমান্ড শুনানি, বিভিন্ন বিশেষায়িত আইনের অধীনে সামারি কোর্ট পরিচালনা, অ্যাফিডেভিট সম্পাদনাসহ নানা ধরনের কাজ করে থাকেন।
আমলি আদালতের বিভিন্ন কর্মব্যস্ততার কারণে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা দৈনিক কর্মঘণ্টার মধ্যে তাঁদের বিচারিক কাজে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। তাই সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠন করা আবশ্যক।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সব চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্দিষ্ট আমলি এলাকার অপরাধগুলো আমলে নেন এবং সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পাঠানো মামলাগুলোর বিচার করেন।
আমলে নেওয়ার পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের তদন্ত তদারকি, তদন্তে সহায়তা, জামিন শুনানি, রিমান্ড শুনানি, বিভিন্ন বিশেষায়িত আইনের অধীনে সামারি কোর্ট পরিচালনা, অ্যাফিডেভিট সম্পাদনাসহ নানা ধরনের কাজ করে থাকেন।
আমলি আদালতের বিভিন্ন কর্মব্যস্ততার কারণে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা দৈনিক কর্মঘণ্টার মধ্যে তাঁদের বিচারিক কাজে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। তাই সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠন করা আবশ্যক।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
৩ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় ফিরে আসা।
গত ১৪ আগস্ট এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজন করে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি। মিটিংটি অনুষ্ঠিত হয় জুমে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ দেশ-বিদেশ থেকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা।
সিআইডির তদন্তে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে সরকারের পতন ঘটানো, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও ঘোষণার প্রমাণও পাওয়া যায়।
এ তথ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই করে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে সিআইডি গত মার্চে মামলাটি করে।
সিআইডি জানায়, মামলা করার পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবস্থান, বক্তব্য ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
তদন্তে শেখ হাসিনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলম, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের আওয়ামী নেতা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতারা অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন।
সিআইডি বলছে, এ পর্যন্ত এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৯১ জনকে। তাঁদের মধ্যে অনেকে অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন। অন্য ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক কাঠামো বিপন্ন করার মতো ষড়যন্ত্র আমরা প্রযুক্তিগতভাবে শনাক্ত করেছি। তদন্তের প্রতিটি ধাপ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।’
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় ফিরে আসা।
গত ১৪ আগস্ট এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজন করে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি। মিটিংটি অনুষ্ঠিত হয় জুমে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ দেশ-বিদেশ থেকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা।
সিআইডির তদন্তে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে সরকারের পতন ঘটানো, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও ঘোষণার প্রমাণও পাওয়া যায়।
এ তথ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই করে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে সিআইডি গত মার্চে মামলাটি করে।
সিআইডি জানায়, মামলা করার পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবস্থান, বক্তব্য ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
তদন্তে শেখ হাসিনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলম, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের আওয়ামী নেতা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতারা অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন।
সিআইডি বলছে, এ পর্যন্ত এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৯১ জনকে। তাঁদের মধ্যে অনেকে অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন। অন্য ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক কাঠামো বিপন্ন করার মতো ষড়যন্ত্র আমরা প্রযুক্তিগতভাবে শনাক্ত করেছি। তদন্তের প্রতিটি ধাপ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।’
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
৩ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে