অনেক শিক্ষার্থীই মনে করেন, পড়াশোনার ব্যয়, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে সঞ্চয় করা সম্ভব নয়। অথচ ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ নিলেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই শক্ত আর্থিক ভিত্তি গড়ে তোলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের ১০টি সহজ ও কার্যকর ধাপ তুলে ধরা হলো...
প্রযুক্তির প্রেমে পড়েছিলেন তিনি একদমই ছোটবেলায়। কিন্তু কখন যে সেই ভালোবাসা থেকে কনটেন্ট বানানোর যাত্রা শুরু হলো, টেরই পাননি তিনি। আজ যাঁরা বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাই’, তাঁদের তিনি বলেন, এই যাত্রাটা সহজ নয়, তবে অসম্ভবও নয়। কনটেন্ট নির্মাণ এখন অনেকের কাছেই স্বপ্নের ক্যারিয়ার।
একজন ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টকে অনেক কাজ করতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ভিসা আবেদন যাচাই ও মূল্যায়ন। আবেদনকারীর সব নথি (পাসপোর্ট, ছবি, ফরম, ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস ইত্যাদি) নির্ভুলভাবে যাচাই করে দেখা যে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার নিয়ম অনুযায়ী সঠিক কি না।
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো টিউশন ফি নেই। শিক্ষার্থীদের শুধু একটি ‘সেমিস্টার ফি’ দিতে হয়, যা সাধারণত ১০০-৩০০ ইউরোর মধ্যে। ব্যতিক্রম শুধু ব্যাডেন-ভুর্টেমবার্গ রাজ্যে, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিস্টার ফি ১ হাজার ৫০০ ইউরো।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট ও ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
গত ১৬ মে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের আওতাধীন ৮টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালের ভিত্তিতে সিনিয়র অফিসার পদে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ৯৭৪টি শূন্য পদের বিপরীতে এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ হাজার ৮০৫ জন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) প্রোগ্রামে ভর্তি হন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, স্নাতক শেষ করার পরও অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েট চাকরির বাজারে কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা নিয়ে প্রস্তুত থাকেন না।
বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতির যুগে একাধিক ভাষা জানা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্ট ও কর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে হলে ভাষাজ্ঞান অপরিহার্য। শুধু তা-ই নয়, ভাষা জানলে নিজেকে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারবেন।
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে শুধু বেশি পরিশ্রমে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়, এর সঙ্গে দরকার স্মার্ট পদ্ধতির অনুসরণ। কার্যকর সফল্য পেতে একজন শিক্ষার্থী বা পেশাজীবীর জন্য ফোকাস ধরে রেখে কাজ করা, মানসিক চাপ কমানো ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো জরুরি। অনেক সময় প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারে আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে...
সবারই দিন ২৪ ঘণ্টার। কিন্তু এই সময়কে কে কতটা কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারে, তার ওপরই নির্ভর করে ব্যক্তিগত উন্নতি ও সাফল্য। একজন শিক্ষার্থীর জন্য সময় ব্যবস্থাপনা শুধু প্রয়োজন নয়—এটি একান্ত অপরিহার্য। কারণ, পড়াশোনা, বিশ্রাম, সৃজনশীলতা, সামাজিকতা ও আত্ম উন্নয়নের প্রতিটি স্তরে সময়ের চাহিদা ভিন্ন।
পড়াশোনার এমন হাল ছিল যে ক্লাস ফাইভে উঠেও ঠিকঠাক পড়তে লিখতে জানতাম না। হঠাৎ একদিন স্কুল ভিজিটে আসেন এক শিক্ষা অফিসার। তাঁর কাছে মনে হলো আমি ব্রাইট স্টুডেন্ট; ভালো গাইডেনস পেলেই ভালো করতে পারব। তিনি পাশের একটা ভালো স্কুলে কিছুদিন আমাকে পড়ার সুযোগ করে দিলেন। সেটি ছিল জীবন বদলে যাওয়া মুহূর্ত।
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জার্মানি। দেশটির একটি ব্যাংকে কাজ করছেন ইকবাল হোসেন তুহিন। জার্মানিতে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার ও সম্ভাবনা জানতে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
ইন্দ্রা নুই করপোরেট জগতের আলোচিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর পেপসিকোতে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ১১তম স্থানে উঠে আসে তাঁর নাম। ২০০৭ সালে তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক মর্যাদা ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হন।
‘আমি বড় হয়ে কী হব?’ শৈশবের এই প্রশ্নটা কৈশোরে এসে হয়ে ওঠে—‘আমার কী করা উচিত?’ আর যৌবনে পৌঁছে রূপ নেয়—‘আমি কী করছি, আর সেটা ঠিক তো?’ এ যেন আত্মজিজ্ঞাসার এক অবিরাম স্রোত।
লক্ষ্যবিহীন জীবনের পথচলা একরকম দিকহীন জাহাজের মতো, যার শেষ গন্তব্য অনিশ্চিত। বিশেষ করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি তার জীবনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরি করে দেয়।
জাপান শুধু প্রযুক্তি বা সৌজন্যর দেশ নয়, তাদের সংস্কৃতিতে লুকিয়ে আছে এমন কিছু বুদ্ধিদীপ্ত অনুশীলন, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ, সুন্দর ও সচেতন করতে পারে। বাড়াতে পারে মনোযোগ ও বুদ্ধিমত্তা।
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তির ঢেউয়ে ভাসছে। বাংলাদেশও সেই স্রোতের অন্যতম একটি অংশ। প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশ্বে তরুণদের হাতে গড়া স্টার্টআপ আজ আর বিলাসিতা নয়, বরং সময়ের দাবি। কিন্তু এই যাত্রা শুরু হবে কখন, কীভাবে আর কেন?