মো. আশিকুর রহমান
ডিজিটাল যুগে ডিগ্রির পাশাপাশি দক্ষতা হয়ে উঠছে ক্যারিয়ার গঠনের প্রধান চাবিকাঠি। দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বুঝে গেছে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে কর্মীদের বহুমাত্রিক ডিজিটাল দক্ষতা থাকা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞান নয়, যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান ও অভিযোজনশীলতার মতো সফট স্কিলও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগদাতারা যেসব ডিজিটাল দক্ষতার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন—চলুন এমন ১০টি দক্ষতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রোগ্রামিং, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
প্রতিটি ডিজিটাল পণ্য বা সেবার ভিত্তি হলো কোডিং। পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট, অ্যাঙ্গুলার বা মাইএসকিউএলের মতো ভাষার চাহিদা সব সময়ই বেশি। বাস্তব কাজের পোর্টফোলিও যেমন: মোবাইল অ্যাপ বা রেসপনসিভ ওয়েবসাইট—এসব দক্ষতা একজন প্রার্থীকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে ধরে। এমনকি অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মতো নতুন প্রযুক্তির জন্যও কোডিং অপরিহার্য।
ডিজিটাল বিজনেস অ্যানালাইসিস
ডিজিটাল রূপান্তরের যুগে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্লেষকের ওপর ভরসা করতে হয়। বিজনেস অ্যানালিস্টরা প্রযুক্তি ও ব্যবসার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেন এবং বিনিয়োগের যৌক্তিকতা প্রমাণে সহায়তা করেন।
ডিজিটাল ডিজাইন ও ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন
ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা যেকোনো সেবার মূল হলো ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস। দক্ষ ডিজাইনাররা শুধু আকর্ষণীয় ডিজাইনই করেন না, জটিল তথ্য সহজে উপস্থাপনও করতে পারেন। ট্যাবলিউ, পাওয়ার বিআইয়ের মতো টুল ব্যবহারে দক্ষতা এখানে বড় সম্পদ।
ডিজিটাল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
আইডিয়া থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পণ্য—ডিজিটাল প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করতে দরকার দক্ষ ব্যবস্থাপনা। অ্যাজাইল, স্ক্রামের মতো পদ্ধতির জ্ঞান প্রার্থীদের আলাদা করে তোলে।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট
সফটওয়্যার বা সেবার পূর্ণাঙ্গ লাইফসাইকেল পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সফটওয়্যার-অ্যাজ-এ-সার্ভিসের (SaaS) বিস্তারের কারণে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট এখন শীর্ষ দক্ষতার একটি।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল যুগে বাজারজাতকরণের কার্যকর উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), কনটেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি ও অ্যানালিটিকসে দক্ষতা চাকরির বাজারে বড় সুবিধা এনে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের (আগের টুইটার) মতো প্ল্যাটফর্মে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি গড়ে তোলাই আধুনিক জনসংযোগের প্রধান হাতিয়ার। তাই দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাহিদার তালিকায় শীর্ষে।
ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিকস
তথ্য এখন নতুন জ্বালানি। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচুর ডেটা সংগ্রহ করে; কিন্তু সেটিকে বিশ্লেষণ করে মূল্যবান সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেবল দক্ষ ডেটা সায়েন্টিস্ট বা অ্যানালিস্টরা। বিশ্বব্যাপী এ দক্ষতার চাহিদা অনেক বেশি।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগেও জটিল সমস্যা সমাধান ও সৃজনশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প নেই। নেতৃত্ব পর্যায়ের জন্য এটি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন
সমান যোগ্যতার মধ্য থেকে নিয়োগদাতা সাধারণত খুঁজে নেন কিছু ব্যতিক্রমী দক্ষতা—হোক তা কোনো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ, আন্তর্জাতিক টিমে অভিজ্ঞতা বা সৃজনশীল প্রকল্প। এ বিশেষত্বই প্রার্থীদের আলাদা করে তোলে।
তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকায়নের এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের তরুণদের হাতে আসছে নতুন নতুন সুযোগ। ফ্রিল্যান্সিং, স্টার্টআপ বা করপোরেট—সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল দক্ষতার কদর বাড়ছে। এই শীর্ষ ১০ দক্ষতা আয়ত্ত করলে শুধু বৈশ্বিক চাকরির বাজারের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।
ডিজিটাল যুগে ডিগ্রির পাশাপাশি দক্ষতা হয়ে উঠছে ক্যারিয়ার গঠনের প্রধান চাবিকাঠি। দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বুঝে গেছে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে কর্মীদের বহুমাত্রিক ডিজিটাল দক্ষতা থাকা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞান নয়, যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান ও অভিযোজনশীলতার মতো সফট স্কিলও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগদাতারা যেসব ডিজিটাল দক্ষতার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন—চলুন এমন ১০টি দক্ষতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রোগ্রামিং, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
প্রতিটি ডিজিটাল পণ্য বা সেবার ভিত্তি হলো কোডিং। পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট, অ্যাঙ্গুলার বা মাইএসকিউএলের মতো ভাষার চাহিদা সব সময়ই বেশি। বাস্তব কাজের পোর্টফোলিও যেমন: মোবাইল অ্যাপ বা রেসপনসিভ ওয়েবসাইট—এসব দক্ষতা একজন প্রার্থীকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে ধরে। এমনকি অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মতো নতুন প্রযুক্তির জন্যও কোডিং অপরিহার্য।
ডিজিটাল বিজনেস অ্যানালাইসিস
ডিজিটাল রূপান্তরের যুগে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্লেষকের ওপর ভরসা করতে হয়। বিজনেস অ্যানালিস্টরা প্রযুক্তি ও ব্যবসার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেন এবং বিনিয়োগের যৌক্তিকতা প্রমাণে সহায়তা করেন।
ডিজিটাল ডিজাইন ও ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন
ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা যেকোনো সেবার মূল হলো ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস। দক্ষ ডিজাইনাররা শুধু আকর্ষণীয় ডিজাইনই করেন না, জটিল তথ্য সহজে উপস্থাপনও করতে পারেন। ট্যাবলিউ, পাওয়ার বিআইয়ের মতো টুল ব্যবহারে দক্ষতা এখানে বড় সম্পদ।
ডিজিটাল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
আইডিয়া থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পণ্য—ডিজিটাল প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করতে দরকার দক্ষ ব্যবস্থাপনা। অ্যাজাইল, স্ক্রামের মতো পদ্ধতির জ্ঞান প্রার্থীদের আলাদা করে তোলে।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট
সফটওয়্যার বা সেবার পূর্ণাঙ্গ লাইফসাইকেল পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সফটওয়্যার-অ্যাজ-এ-সার্ভিসের (SaaS) বিস্তারের কারণে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট এখন শীর্ষ দক্ষতার একটি।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল যুগে বাজারজাতকরণের কার্যকর উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), কনটেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি ও অ্যানালিটিকসে দক্ষতা চাকরির বাজারে বড় সুবিধা এনে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের (আগের টুইটার) মতো প্ল্যাটফর্মে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি গড়ে তোলাই আধুনিক জনসংযোগের প্রধান হাতিয়ার। তাই দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাহিদার তালিকায় শীর্ষে।
ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিকস
তথ্য এখন নতুন জ্বালানি। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচুর ডেটা সংগ্রহ করে; কিন্তু সেটিকে বিশ্লেষণ করে মূল্যবান সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেবল দক্ষ ডেটা সায়েন্টিস্ট বা অ্যানালিস্টরা। বিশ্বব্যাপী এ দক্ষতার চাহিদা অনেক বেশি।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগেও জটিল সমস্যা সমাধান ও সৃজনশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প নেই। নেতৃত্ব পর্যায়ের জন্য এটি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন
সমান যোগ্যতার মধ্য থেকে নিয়োগদাতা সাধারণত খুঁজে নেন কিছু ব্যতিক্রমী দক্ষতা—হোক তা কোনো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ, আন্তর্জাতিক টিমে অভিজ্ঞতা বা সৃজনশীল প্রকল্প। এ বিশেষত্বই প্রার্থীদের আলাদা করে তোলে।
তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকায়নের এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের তরুণদের হাতে আসছে নতুন নতুন সুযোগ। ফ্রিল্যান্সিং, স্টার্টআপ বা করপোরেট—সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল দক্ষতার কদর বাড়ছে। এই শীর্ষ ১০ দক্ষতা আয়ত্ত করলে শুধু বৈশ্বিক চাকরির বাজারের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একাধিক পদের ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির উপসচিব সুজিৎ দেবনাথ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ৩টি ব্যাংকে ২০২২ সালভিত্তিক ‘সিনিয়র অফিসার’ (আইটি) পদের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৩৫টি শূন্য পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় ৮ হাজার ৪৫৩ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষকতা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পেশাগুলোর একটি। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি, টিউশনি শিক্ষার্থীদের কাছে শুধু একটি আয়ের উৎস নয়; বরং এটি আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার এক অনন্য সুযোগ। একজন টিউটরের হাতে তৈরি হয় শিক্ষার্থীর শৃঙ্খলা, চিন্তাভাবনা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি...
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিস সহায়ক (গ্রেড-২০) পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর এ পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষায় ২৪০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
১ দিন আগে