Ajker Patrika

পদোন্নতি পেতে যে ৬ নেতৃত্বগুণ দরকার

ক্যারিয়ার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কর্মক্ষেত্রে শুধু ভালো পারফরম্যান্স পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেয় না, প্রয়োজন কার্যকর নেতৃত্বগুণ। আজকের প্রতিযোগিতামূলক কর্মপরিবেশে যাঁরা শুধু নিজের সাফল্যের কথা ভাবেন না, বরং দলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান, তাঁরা হয়ে ওঠেন প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান। ইতিবাচক শক্তি ছড়ানো থেকে শুরু করে সংকটের সময় দৃঢ় থাকা, এমনকি কাজের চাপের মধ্যেও হাস্যরস ধরে রাখার দক্ষতা একজন নেতাকে আলাদা করে তোলে। ২০২৫ সালে পদোন্নতির জন্য যে ছয়টি নেতৃত্বগুণ থাকা প্রয়োজন, তা নিয়ে এই আয়োজন।

ইতিবাচক অভিব্যক্তি: এই গুণ একজন দলনেতা এবং দলের মধ্যে এক অদৃশ্য চেইন তৈরি করে। ধরুন, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে সবাই হতাশ। তখন নেতা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং উৎসাহ দেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যে দলে উদ্দীপনা ফিরে আসে এবং সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হয়।

পরিষেবামূলক নেতৃত্ব: একজন সত্যিকারের নেতা নিজ স্বার্থের চেয়ে দলের কল্যাণকে প্রাধান্য দেন। এমন নেতারা সহকর্মীদের বলেন, ‘আমি নেতৃত্ব দিই, যাতে আপনারা ভালো করতে পারেন।’ দলের সদস্যদের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করা, সাফল্য ভাগ করে নেওয়া এবং ছোট সাফল্যকে উদ্‌যাপন করাও এই ধরনের নেতার স্বভাব।

শেখার মানসিকতা এবং বিনম্র মনোভাব: নতুন কিছু শেখার জন্য সদা প্রস্তুত থাকা একজন নেতার বড় বৈশিষ্ট্য। তাঁরা ভুলকে শিক্ষণীয় হিসেবে দেখেন এবং নিজেকে উন্নত করতে থাকেন। একটি প্রকল্প ব্যর্থ হলেও তাঁরা দলের সঙ্গে বসে বিশ্লেষণ করেন। এই ব্যর্থ প্রকল্প থেকে শিক্ষা নেন এবং পরেরবার আরও ভালো কিছুর পরিকল্পনা করেন।

দৃঢ়তা ও সহনশীলতা: চ্যালেঞ্জ এলে নেতৃত্বের প্রকৃত মূল্য প্রকাশ পায়। দৃঢ়চেতা নেতারা হতাশ হন না। তাঁরা সংকটের সময় দলে আশ্বাস জোগান, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন এবং দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

হাস্যরস ও ইতিবাচক মনোভাব: কাজের চাপ ও একঘেয়েমি অনেক সময় সৃষ্টিশীল চিন্তাকে বাধাগ্রস্ত করে। একজন দক্ষ নেতা জানেন, সঠিক সময়ে সামান্য হাস্যরস দলের মধ্যে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক রসিকতা বা হালকা পরিবেশ শুধু মন ভালো করে না, বরং কর্মীদের মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়, নতুন বিষয় নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করে এবং দলগত সম্প্রীতি বাড়ায়। নেতার এই স্বভাব চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিকেও সহজ করে তোলে।

পরিচর্যা ও দায়িত্ববোধ: একজন সত্যিকারের নেতা সংস্থার সম্পদ, মূল্যবোধ ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য রক্ষা করেন। ছোট বা বড় যেকোনো সিদ্ধান্তে তাঁরা দায়িত্বশীল হন, যাতে প্রতিষ্ঠান এবং দলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকে।

২০২৫ সালের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নেতা হবেন সেই ব্যক্তি, যিনি এ ছয়টি গুণ একসঙ্গে ধারণ করবেন। এগুলো শুধু পদোন্নতির চাবিকাঠি নয়, বরং আপনাকে সংস্থার জন্য এক অনন্য অবদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তাই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে আসুন, শেখার আগ্রহ বজায় রাখুন এবং এসব নেতৃত্বগুণ আয়ত্ত করুন।

সূত্র: ফোর্বস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেটের ক্ষুধায় খেয়েছেন ২৯ চামচ, ১৯ টুথব্রাশ

জাতিসংঘে বিশাল বহর নিয়ে গিয়ে পতিত সরকারের চর্চা করল অন্তর্বর্তী সরকার: টিআইবি

স্ত্রীকে নিয়ে টানাটানি করা সেই দুই পুরুষের জামিন, কারাফটকে উত্তেজনা

উত্তর দিক থেকে সিগন্যাল নেই—শাপলা প্রতীক না পাওয়ার কারণ জানালেন হাসনাত

জোর করে বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়া বেআইনি ও সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন— ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আসক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত