সাব্বির হোসেন
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন কেবল একজনের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে এগোতে পারে না। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি কিংবা উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে দলগত চেষ্টা ছাড়া সাফল্য সম্ভব নয়। একটি দলকে কীভাবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন করা যায়, তার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিয়েছেন কেন ব্ল্যাঞ্চার্ড, ডোনাল্ড কেয়ারও এবং ইউনিস প্যারিসি-কেয়ারও তাঁদের বহুল আলোচিত বই দ্য ওয়ান মিনিট ম্যানেজার বিল্ডস হাই পারফর্মিং টিমস-এ।
নেতৃত্বের নতুন সংজ্ঞা
আগে নেতৃত্ব মানে ছিল নির্দেশ দেওয়া আর নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এখন নেতৃত্ব মানে হলো সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা, দলকে অনুপ্রাণিত করা এবং সদস্যদের দক্ষতা সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়া। বাংলাদেশে করপোরেট প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিওগুলোতে যাঁরা খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, তাঁরাই কর্মীদের মধ্যে আস্থা ও দায়বদ্ধতা গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
কেন দলগত কাজ জরুরি
একজন ম্যানেজারের সময়ের ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ চলে যায় সভা, আলোচনা আর দলগত কাজে। কার্যকর দল ছাড়া তাই কোনো প্রতিষ্ঠান টেকসই হতে পারে না। একটি ভালো দল জটিল সমস্যা সহজে সমাধান করতে পারে, নতুন আইডিয়া বের করে আনে, সদস্যদের দক্ষতা বাড়ায় এবং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাত, তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দলগত কাজের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দলের বৈশিষ্ট্য: পারফর্ম মডেল
লেখকেরা কার্যকর দল বোঝাতে ব্যবহার করেছেন পারফর্ম মডেল। এর মূল বিষয়গুলো হলো:
দলের বিকাশের চার ধাপ
লেখকদের মতে, কোনো দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে ওঠে না। এর চারটি ধাপ রয়েছে—
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ প্রেজেন্টেশনের প্রস্তুতিতে এ ধাপগুলো সহজেই চোখে পড়ে।
নেতৃত্বের ধরন
দল গঠনের প্রতিটি ধাপে নেতার আলাদা ভূমিকা থাকে। অভিমুখী ধাপে নেতাকে হতে হয় দৃঢ় নির্দেশক। অসন্তোষ ধাপে তাঁকে হতে হবে ধৈর্যশীল শ্রোতা ও সমস্যা সমাধানকারী। সমন্বয় ধাপে নেতাকে আস্থা তৈরি করে মতবিরোধ মিটিয়ে সহযোগিতা বাড়াতে হয়। আর উৎপাদনশীল ধাপে নেতা হয়ে ওঠেন সহায়ক ও প্রশিক্ষক। যেমন ক্রিকেটে দলের ক্যাপ্টেনের ক্ষেত্রেও দেখা যায়—কখনো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া, আবার কখনো শুধু মনোবল ধরে রাখাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
বাস্তব উদাহরণ
একটি সফটওয়্যার কোম্পানি নতুন মোবাইল অ্যাপ তৈরির জন্য একটি দল গঠন করল। শুরুতে উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করে। এটি অভিমুখী ধাপ। পরে ডিজাইনার ও প্রোগ্রামারের মধ্যে মতবিরোধ হলো, যা অসন্তোষ ধাপ। আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে তারা সমস্যা কাটিয়ে উঠল, এটি হলো সমন্বয় ধাপ। আর শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে কাজ সম্পন্ন করে সফলভাবে অ্যাপ বাজারে ছাড়ল, এটি উৎপাদনশীল ধাপ। অনেক স্টার্টআপ ও এনজিও প্রজেক্টেও একই অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
সবাই মিলে এগোনোর শক্তি
দল মানে শুধু একসঙ্গে কাজ করা নয়, দল মানে হলো অভিন্ন উদ্দেশ্য, স্বপ্ন আর পারস্পরিক আস্থা। দ্য ওয়ান মিনিট ম্যানেজার বিল্ডস হাই পারফর্মিং টিম শেখায়—কার্যকর নেতৃত্ব, স্পষ্ট লক্ষ্য আর পারস্পরিক বিশ্বাসই একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দলের মূল ভিত্তি। লেখকদের বিখ্যাত উক্তি—‘নান অব আস ইজ অ্যাজ স্মার্ট অ্যাজ অল অব আস।’ অর্থাৎ, আমাদের কেউই একা সবার মতো বুদ্ধিমান নয়; একসঙ্গে থাকলেই আমরা সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করতে পারি।
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন কেবল একজনের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে এগোতে পারে না। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি কিংবা উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে দলগত চেষ্টা ছাড়া সাফল্য সম্ভব নয়। একটি দলকে কীভাবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন করা যায়, তার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিয়েছেন কেন ব্ল্যাঞ্চার্ড, ডোনাল্ড কেয়ারও এবং ইউনিস প্যারিসি-কেয়ারও তাঁদের বহুল আলোচিত বই দ্য ওয়ান মিনিট ম্যানেজার বিল্ডস হাই পারফর্মিং টিমস-এ।
নেতৃত্বের নতুন সংজ্ঞা
আগে নেতৃত্ব মানে ছিল নির্দেশ দেওয়া আর নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এখন নেতৃত্ব মানে হলো সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা, দলকে অনুপ্রাণিত করা এবং সদস্যদের দক্ষতা সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়া। বাংলাদেশে করপোরেট প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিওগুলোতে যাঁরা খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, তাঁরাই কর্মীদের মধ্যে আস্থা ও দায়বদ্ধতা গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
কেন দলগত কাজ জরুরি
একজন ম্যানেজারের সময়ের ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ চলে যায় সভা, আলোচনা আর দলগত কাজে। কার্যকর দল ছাড়া তাই কোনো প্রতিষ্ঠান টেকসই হতে পারে না। একটি ভালো দল জটিল সমস্যা সহজে সমাধান করতে পারে, নতুন আইডিয়া বের করে আনে, সদস্যদের দক্ষতা বাড়ায় এবং প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাত, তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দলগত কাজের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দলের বৈশিষ্ট্য: পারফর্ম মডেল
লেখকেরা কার্যকর দল বোঝাতে ব্যবহার করেছেন পারফর্ম মডেল। এর মূল বিষয়গুলো হলো:
দলের বিকাশের চার ধাপ
লেখকদের মতে, কোনো দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে ওঠে না। এর চারটি ধাপ রয়েছে—
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ প্রেজেন্টেশনের প্রস্তুতিতে এ ধাপগুলো সহজেই চোখে পড়ে।
নেতৃত্বের ধরন
দল গঠনের প্রতিটি ধাপে নেতার আলাদা ভূমিকা থাকে। অভিমুখী ধাপে নেতাকে হতে হয় দৃঢ় নির্দেশক। অসন্তোষ ধাপে তাঁকে হতে হবে ধৈর্যশীল শ্রোতা ও সমস্যা সমাধানকারী। সমন্বয় ধাপে নেতাকে আস্থা তৈরি করে মতবিরোধ মিটিয়ে সহযোগিতা বাড়াতে হয়। আর উৎপাদনশীল ধাপে নেতা হয়ে ওঠেন সহায়ক ও প্রশিক্ষক। যেমন ক্রিকেটে দলের ক্যাপ্টেনের ক্ষেত্রেও দেখা যায়—কখনো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া, আবার কখনো শুধু মনোবল ধরে রাখাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
বাস্তব উদাহরণ
একটি সফটওয়্যার কোম্পানি নতুন মোবাইল অ্যাপ তৈরির জন্য একটি দল গঠন করল। শুরুতে উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করে। এটি অভিমুখী ধাপ। পরে ডিজাইনার ও প্রোগ্রামারের মধ্যে মতবিরোধ হলো, যা অসন্তোষ ধাপ। আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে তারা সমস্যা কাটিয়ে উঠল, এটি হলো সমন্বয় ধাপ। আর শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে কাজ সম্পন্ন করে সফলভাবে অ্যাপ বাজারে ছাড়ল, এটি উৎপাদনশীল ধাপ। অনেক স্টার্টআপ ও এনজিও প্রজেক্টেও একই অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
সবাই মিলে এগোনোর শক্তি
দল মানে শুধু একসঙ্গে কাজ করা নয়, দল মানে হলো অভিন্ন উদ্দেশ্য, স্বপ্ন আর পারস্পরিক আস্থা। দ্য ওয়ান মিনিট ম্যানেজার বিল্ডস হাই পারফর্মিং টিম শেখায়—কার্যকর নেতৃত্ব, স্পষ্ট লক্ষ্য আর পারস্পরিক বিশ্বাসই একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দলের মূল ভিত্তি। লেখকদের বিখ্যাত উক্তি—‘নান অব আস ইজ অ্যাজ স্মার্ট অ্যাজ অল অব আস।’ অর্থাৎ, আমাদের কেউই একা সবার মতো বুদ্ধিমান নয়; একসঙ্গে থাকলেই আমরা সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করতে পারি।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশের আটটি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এবার মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্য থেকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে ৩ হাজার ৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পে জনবল নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকল্পটিতে ৫ ধরনের শূন্য পদে মোট ১২৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৮ সেপ্টেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন
১৫ ঘণ্টা আগেইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ৬ ধরনের শূন্য পদে মোট ২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪ সেপ্টেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হলো দীর্ঘ পথের প্রথম ধাপ। এখানে ভালো প্রস্তুতি যেমন জরুরি, তেমনি শেষ মুহূর্তের বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও দিকনির্দেশনা পরীক্ষার ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। ৪১তম বিসিএসে ট্যাক্স এবং ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ নাফিস সাদিক তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে...
১ দিন আগে