কাউসার লাবীব
ইসলাম মানুষের জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গের দিকনির্দেশনা দেয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতিও সমান গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। খেলাধুলাকে ইসলাম কেবল চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং শরীরচর্চা, সুস্থ মন ও সামরিক প্রস্তুতির এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দেখে। ইসলাম খেলাধুলার অনুমতি দিয়েছে, তবে তা শর্তসাপেক্ষে। কারণ, এর মূল উদ্দেশ্য হলো জীবনের মহৎ লক্ষ্য অর্জন করা।
ইসলামে খেলাধুলার উদ্দেশ্য ও উপকারিতা
খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। ইসলামের দৃষ্টিতে এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
সাহাবিদের আমলে প্রচলিত কিছু খেলাধুলা
ইসলাম সেসব খেলাকে সমর্থন করে, যাতে কোনো দ্বীনি বা দুনিয়াবি বৈধ উপকারিতা রয়েছে। এই নীতির আলোকে রাসুল (সা.) ও সাহাবিদের আমলে প্রচলিত কিছু খেলা নিচে তুলে ধরা হলো:
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা: রাসুল (সা.) স্বয়ং ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণহীন ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ২৮৭০)।
ইসলামে খেলাধুলার সীমারেখা ও মূলনীতি
ইসলামে খেলাধুলা বৈধ হলেও কিছু সুস্পষ্ট সীমারেখা মেনে চলতে হয়। এই মূলনীতিগুলো লঙ্ঘিত হলে খেলাধুলা আর বৈধ থাকে না, বরং তা আপত্তিকর হয়ে ওঠে:
আল্লাহর ইবাদত থেকে উদাসীন না হওয়া: খেলাধুলা কোনোভাবেই যেন মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালন থেকে বিরত না রাখে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একশ্রেণির মানুষ এমন আছে, যারা খেলাধুলা-কৌতুকাবহ কথা ক্রয় করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার জন্য। আর এগুলো নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।’ (সুরা লোকমান: ৬)।
আধুনিক খেলা ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অনেক খেলায় উপরিউক্ত শর্তগুলোর প্রায় সব কটিই লঙ্ঘিত হয়। আধুনিক খেলাধুলা, যেমন ক্রিকেট ও ফুটবলে—জুয়া, বেপর্দা, গানবাজনা এবং নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করতে গিয়ে বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করা হয়। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪০৩১)
খেলা দেখা বা সমর্থন করার ক্ষেত্রেও এই মূলনীতিগুলো প্রযোজ্য। যেখানে অশ্লীলতা, সময় নষ্ট, আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন এবং অর্থ অপচয়ের মতো বিষয় জড়িত থাকে, সেখানে সমর্থন করা বা খেলা দেখা জায়েজ নয়।
ইসলাম মানুষের জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গের দিকনির্দেশনা দেয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতিও সমান গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। খেলাধুলাকে ইসলাম কেবল চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং শরীরচর্চা, সুস্থ মন ও সামরিক প্রস্তুতির এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দেখে। ইসলাম খেলাধুলার অনুমতি দিয়েছে, তবে তা শর্তসাপেক্ষে। কারণ, এর মূল উদ্দেশ্য হলো জীবনের মহৎ লক্ষ্য অর্জন করা।
ইসলামে খেলাধুলার উদ্দেশ্য ও উপকারিতা
খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। ইসলামের দৃষ্টিতে এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
সাহাবিদের আমলে প্রচলিত কিছু খেলাধুলা
ইসলাম সেসব খেলাকে সমর্থন করে, যাতে কোনো দ্বীনি বা দুনিয়াবি বৈধ উপকারিতা রয়েছে। এই নীতির আলোকে রাসুল (সা.) ও সাহাবিদের আমলে প্রচলিত কিছু খেলা নিচে তুলে ধরা হলো:
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা: রাসুল (সা.) স্বয়ং ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণহীন ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ২৮৭০)।
ইসলামে খেলাধুলার সীমারেখা ও মূলনীতি
ইসলামে খেলাধুলা বৈধ হলেও কিছু সুস্পষ্ট সীমারেখা মেনে চলতে হয়। এই মূলনীতিগুলো লঙ্ঘিত হলে খেলাধুলা আর বৈধ থাকে না, বরং তা আপত্তিকর হয়ে ওঠে:
আল্লাহর ইবাদত থেকে উদাসীন না হওয়া: খেলাধুলা কোনোভাবেই যেন মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালন থেকে বিরত না রাখে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একশ্রেণির মানুষ এমন আছে, যারা খেলাধুলা-কৌতুকাবহ কথা ক্রয় করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার জন্য। আর এগুলো নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।’ (সুরা লোকমান: ৬)।
আধুনিক খেলা ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অনেক খেলায় উপরিউক্ত শর্তগুলোর প্রায় সব কটিই লঙ্ঘিত হয়। আধুনিক খেলাধুলা, যেমন ক্রিকেট ও ফুটবলে—জুয়া, বেপর্দা, গানবাজনা এবং নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করতে গিয়ে বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করা হয়। ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪০৩১)
খেলা দেখা বা সমর্থন করার ক্ষেত্রেও এই মূলনীতিগুলো প্রযোজ্য। যেখানে অশ্লীলতা, সময় নষ্ট, আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন এবং অর্থ অপচয়ের মতো বিষয় জড়িত থাকে, সেখানে সমর্থন করা বা খেলা দেখা জায়েজ নয়।
ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউস সানি মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, মাসের প্রথম জুমা মুসলিমদের জন্য আল্লাহর রহমত, নেক আমল ও ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। জুমা নিজেই সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রাখে। এ দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভ, গুনাহ মাফ এবং নেক কাজের প্রতিশ্রুতি অনেক বেশি।
২ ঘণ্টা আগেঅনেক সময় গরমের কারণে আমরা হাফ হাতা শার্ট, গেঞ্জি বা টি-শার্ট পরে নামাজ আদায় করি। কেউ কেউ আবার স্যান্ডো গেঞ্জি পরে নামাজ আদায় করে থাকেন, যেখানে কাঁধ খোলা থাকে। এই অবস্থায় নামাজ আদায় করলে তা কি শুদ্ধ হবে?
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে ইসলামি বইমেলা-২০২৫। মেলায় আসছে নতুন নতুন বই। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে আসছে পাঠকেরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষ আসছে বইমেলায়। তারা নতুন-পুরোনো সব ধরনের বই নেড়েচেড়ে দেখছে। পছন্দের বই কিনতে ভুলছে না।
২ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের চতুর্থ মাস রবিউস সানি। হাদিসে এই মাসের বিশেষ কোনো ফজিলত, নির্দিষ্ট কোনো আমল বা ইবাদতের কথা বর্ণিত হয়নি। কিন্তু ‘বারো চান্দের আমল’-জাতীয় কিছু কিতাবে রবিউস সানি মাসের ইবাদত হিসেবে কিছু নামাজ ও আমল আবিষ্কার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
২ ঘণ্টা আগে