ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউস সানি মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, মাসের প্রথম জুমা মুসলিমদের জন্য আল্লাহর রহমত, নেক আমল ও ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। জুমা নিজেই সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রাখে। এ দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভ, গুনাহ মাফ এবং নেক কাজের প্রতিশ্রুতি অনেক বেশি।
পবিত্র কোরআনে জুমার দিনে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিন (নামাজের জন্য) আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা ব্যবসা-বাণিজ্য পরিত্যাগ করো এবং আল্লাহর নাম স্মরণে মগ্ন হও।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত খোদার প্রতি মনোযোগী হয় এবং দোয়া ও নেক কাজ করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৯৮)
জুমার বিশেষ আমল
জুমা উপলক্ষে এ দিনে আমাদের কিছু বিশেষ আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত:
১. সালাতুল জুমা ও পবিত্রতা: সময়মতো মসজিদে পৌঁছে জুমার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা এবং খুতবা মনোযোগে শোনা। এর আগে গোসল করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া ও সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি: ৮৮১ ও ৮৭৬)
২. দোয়া ও কোরআন পাঠ: বেশি বেশি দরুদে ইবরাহিম ও কোরআন পাঠ করা। জুমার দিনে আন্তরিকভাবে আল্লাহর নিকট গুনাহ ক্ষমা, সুস্থতা ও ইমানের দৃঢ়তার জন্য দোয়া করা।
৩. দান ও সদকা: দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা, কেননা ‘সদকা পাপ মুছে দেয়—যেমন পানি আগুন নিভিয়ে দেয়’। (সহিহ্ মুসলিম: ১০৪০)
৪. নফল ইবাদত ও তাসবিহ: জুমার আগে বা পরে নফল নামাজ পড়া এবং দরুদ ও তাসবিহ (যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার) পাঠ করা আত্মার প্রশান্তি এনে দেয়।
৫. আন্তরিকতা ও মনোযোগ: নামাজ, দোয়া ও খুতবার সময় মনের পুরো মনোযোগ দেওয়া। ছোট নেক কাজও আল্লাহর কাছে বড় পুরস্কার এনে দেয়।
এই বিশেষ দিনে আমাদের সচেতন প্রচেষ্টা ও আন্তরিক ইবাদত আল্লাহর কাছ থেকে অসীম বরকত ও নেক আমলের ধারাকে স্থায়ী করবে। এটি কেবল একটি দিন নয়, বরং আত্মিক উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পরিণত হওয়ার সুযোগ।
ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউস সানি মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, মাসের প্রথম জুমা মুসলিমদের জন্য আল্লাহর রহমত, নেক আমল ও ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। জুমা নিজেই সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রাখে। এ দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভ, গুনাহ মাফ এবং নেক কাজের প্রতিশ্রুতি অনেক বেশি।
পবিত্র কোরআনে জুমার দিনে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিন (নামাজের জন্য) আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা ব্যবসা-বাণিজ্য পরিত্যাগ করো এবং আল্লাহর নাম স্মরণে মগ্ন হও।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত খোদার প্রতি মনোযোগী হয় এবং দোয়া ও নেক কাজ করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৯৮)
জুমার বিশেষ আমল
জুমা উপলক্ষে এ দিনে আমাদের কিছু বিশেষ আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত:
১. সালাতুল জুমা ও পবিত্রতা: সময়মতো মসজিদে পৌঁছে জুমার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা এবং খুতবা মনোযোগে শোনা। এর আগে গোসল করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া ও সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি: ৮৮১ ও ৮৭৬)
২. দোয়া ও কোরআন পাঠ: বেশি বেশি দরুদে ইবরাহিম ও কোরআন পাঠ করা। জুমার দিনে আন্তরিকভাবে আল্লাহর নিকট গুনাহ ক্ষমা, সুস্থতা ও ইমানের দৃঢ়তার জন্য দোয়া করা।
৩. দান ও সদকা: দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা, কেননা ‘সদকা পাপ মুছে দেয়—যেমন পানি আগুন নিভিয়ে দেয়’। (সহিহ্ মুসলিম: ১০৪০)
৪. নফল ইবাদত ও তাসবিহ: জুমার আগে বা পরে নফল নামাজ পড়া এবং দরুদ ও তাসবিহ (যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার) পাঠ করা আত্মার প্রশান্তি এনে দেয়।
৫. আন্তরিকতা ও মনোযোগ: নামাজ, দোয়া ও খুতবার সময় মনের পুরো মনোযোগ দেওয়া। ছোট নেক কাজও আল্লাহর কাছে বড় পুরস্কার এনে দেয়।
এই বিশেষ দিনে আমাদের সচেতন প্রচেষ্টা ও আন্তরিক ইবাদত আল্লাহর কাছ থেকে অসীম বরকত ও নেক আমলের ধারাকে স্থায়ী করবে। এটি কেবল একটি দিন নয়, বরং আত্মিক উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পরিণত হওয়ার সুযোগ।
ইসলাম মানুষের জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গের দিকনির্দেশনা দেয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতিও সমান গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। খেলাধুলাকে ইসলাম কেবল চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং শরীরচর্চা, সুস্থ মন ও সামরিক প্রস্তুতির এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দেখে। ইসলাম খেলাধুলার অনুমতি দিয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেঅনেক সময় গরমের কারণে আমরা হাফ হাতা শার্ট, গেঞ্জি বা টি-শার্ট পরে নামাজ আদায় করি। কেউ কেউ আবার স্যান্ডো গেঞ্জি পরে নামাজ আদায় করে থাকেন, যেখানে কাঁধ খোলা থাকে। এই অবস্থায় নামাজ আদায় করলে তা কি শুদ্ধ হবে?
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে চলছে ইসলামি বইমেলা-২০২৫। মেলায় আসছে নতুন নতুন বই। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে আসছে পাঠকেরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষ আসছে বইমেলায়। তারা নতুন-পুরোনো সব ধরনের বই নেড়েচেড়ে দেখছে। পছন্দের বই কিনতে ভুলছে না।
২ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের চতুর্থ মাস রবিউস সানি। হাদিসে এই মাসের বিশেষ কোনো ফজিলত, নির্দিষ্ট কোনো আমল বা ইবাদতের কথা বর্ণিত হয়নি। কিন্তু ‘বারো চান্দের আমল’-জাতীয় কিছু কিতাবে রবিউস সানি মাসের ইবাদত হিসেবে কিছু নামাজ ও আমল আবিষ্কার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
২ ঘণ্টা আগে