আজকের পত্রিকা ডেস্ক
এ গ্রীষ্মের শুরুতে ৩৪ বছর বয়সী ডাজিয়াহ ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে খেয়াল করেন, নিয়মিত গ্রাহকেরা তাঁর পারলারে আগের মতো আর ঘন ঘন আসছেন না।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের এসমিরনাতে অবস্থিত এ স্যালুনে দুজন স্টাইলিস্ট কাজ করেন। এখানে ৫০ ডলারের ন্যাচারাল হেয়ারস্টাইল থেকে শুরু করে ৭৪৫ ডলারের টেপ-ইন উইভ এক্সটেনশনের মতো বহু পরিষেবা দেওয়া হয়।
ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিষেবাগুলো হলো ২৫৪ ডলারের সিউ-ইন, যেখানে আসল চুলের এক্সটেনশন বিনুনি করে লাগানো হয় এবং ১২৫ ডলারের কুইক উইভ, যেখানে আসল বা কৃত্রিম চুল স্টাইল করে স্টকিং ক্যাপে আঠা দিয়ে লাগানো হয়।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ও ভিয়েতনামের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় উইগ ও উইভ তৈরিতে ব্যবহৃত হেয়ার এক্সটেনশন ও আঠার দাম অনেক বেড়ে গেছে। কৃষ্ণাঙ্গ সৌন্দর্য পণ্যের বড় অংশই এই দুই দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
গত মে থেকে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা এক প্যাকেট চুলের দাম ১৯০ ডলার থেকে বেড়ে ২৯০ ডলার হয়েছে। জর্জিয়ায় বিউটি সাপ্লাই স্টোরে চীন থেকে আমদানি করা এক বোতল চুলের আঠার দাম ৮ ডলার থেকে বেড়ে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার হয়েছে।
ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি স্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাকে হয় এই খরচ নিজে বহন করতে হচ্ছে অথবা গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিতে হচ্ছে, যা তাদের বাজেট এবং পকেটের ওপরও প্রভাব ফেলছে।’
দাম বাড়ার কারণে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি খরচ চাপানো এড়াতে তাদের নিজেদের চুল সঙ্গে নিয়ে আসতে বলছেন ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে। এখন তাঁর ওয়েবসাইটে চুল ছাড়া কুইক উইভ পরিষেবার দাম ১৪০ ডলার। কিন্তু চুলসহ এর দাম ৪০০ ডলার।
এ ছাড়া পণ্য পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়েকে; কারণ, শুল্কের হার ওঠানামা করার কারণে তাঁর পাইকারি বিক্রেতা পণ্য পাঠাতে দেরি করছেন।
হাইপোঅ্যালার্জেনিক বিনুনির চুল বিক্রেতা ডোসো বিউটির মালিক এবং ফিলাডেলফিয়ার দ্য ডোসো হেয়ার সেলুনের মালিক ৩০ বছর বয়সী কাদিদজা ডোসো চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছেন।
গত জুনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, সে সময় ঠিক কোন কোন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রযোজ্য হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে আকাশপথে চীন থেকে আনা ৫০ হাজার ডলার মূল্যের বিনুনি চুলের জন্য ডোসোকে এক মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।
ডোসো রয়টার্সকে বলেন, ‘কাস্টমসে ছাড়পত্রের জন্য আমাদের পণ্যের আরও নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হচ্ছে, যেমন সঠিক উপকরণ, পণ্যের ব্যবহার। আমরা বছরের পর বছর ধরে যে ভাষা ব্যবহার করছি, তা এখন কাস্টমস বলছে যথেষ্ট বর্ণনামূলক নয়।’
নিয়মিত গ্রাহকদের চুলের স্টাইল করার জন্য সাধারণত পাঁচটি প্যাকেটের প্রয়োজন হয়, যার প্রতিটির দাম ১৩ ডলার। গ্রাহকদের ওপর এর দাম না বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ডোসো।
ট্রাম্পের শুল্কের কারণে ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে ও ডোসোর মতো কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে পেরি। তিনি বলেন, ‘অনেক কৃষ্ণাঙ্গ উদ্যোক্তা কম সম্পদ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বিদ্যমান পরিস্থিতি কৃষ্ণাঙ্গ উদ্যোক্তাদের, বিশেষ করে যারা কম লাভজনক ব্যবসা যেমন ভোগ্যপণ্য বা চুলের পরিচর্যার মতো পরিষেবা ব্যবসায় জড়িত, তাদের আর্থিক অবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। কারণ, শুল্ক তাদের লাভের অংশ খেয়ে ফেলছে।’
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সাপ্লাই চেইন এবং অপারেশনস ম্যানেজমেন্টের সহকারী অধ্যাপক সিনা গোলারা বলেন, শুল্কের কারণে খরচ বেড়ে যাওয়া অনেকটা করের মতো, যা ব্যবসার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গোলারা বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এটি বিদেশি প্রস্তুতকারকের ওপর বর্তাতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর একটি বড় প্রভাব দেশীয় ক্রেতা এবং ভোক্তাদের ওপরও পড়ছে।
স্লায় হেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ৫৫ বছর বয়সী ডিয়ান ভ্যালেন্টাইন প্রথম শুল্কের প্রভাব অনুভব করেন, যখন চীনের ওপর প্রাথমিক ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসের বন্দর থেকে ২৬ হাজার ইউনিট বিনুনির চুল বের করার জন্য তাঁকে ৩ লাখ ডলারের বিল দিতে হয়েছিল।
ভ্যালেন্টাইন রয়টার্সকে বলেন, এই পর্যায়ে এসে এত টাকা খোয়ানো খুবই হতাশাজনক।
এ গ্রীষ্মের শুরুতে ৩৪ বছর বয়সী ডাজিয়াহ ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে খেয়াল করেন, নিয়মিত গ্রাহকেরা তাঁর পারলারে আগের মতো আর ঘন ঘন আসছেন না।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের এসমিরনাতে অবস্থিত এ স্যালুনে দুজন স্টাইলিস্ট কাজ করেন। এখানে ৫০ ডলারের ন্যাচারাল হেয়ারস্টাইল থেকে শুরু করে ৭৪৫ ডলারের টেপ-ইন উইভ এক্সটেনশনের মতো বহু পরিষেবা দেওয়া হয়।
ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিষেবাগুলো হলো ২৫৪ ডলারের সিউ-ইন, যেখানে আসল চুলের এক্সটেনশন বিনুনি করে লাগানো হয় এবং ১২৫ ডলারের কুইক উইভ, যেখানে আসল বা কৃত্রিম চুল স্টাইল করে স্টকিং ক্যাপে আঠা দিয়ে লাগানো হয়।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ও ভিয়েতনামের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় উইগ ও উইভ তৈরিতে ব্যবহৃত হেয়ার এক্সটেনশন ও আঠার দাম অনেক বেড়ে গেছে। কৃষ্ণাঙ্গ সৌন্দর্য পণ্যের বড় অংশই এই দুই দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
গত মে থেকে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা এক প্যাকেট চুলের দাম ১৯০ ডলার থেকে বেড়ে ২৯০ ডলার হয়েছে। জর্জিয়ায় বিউটি সাপ্লাই স্টোরে চীন থেকে আমদানি করা এক বোতল চুলের আঠার দাম ৮ ডলার থেকে বেড়ে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার হয়েছে।
ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি স্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাকে হয় এই খরচ নিজে বহন করতে হচ্ছে অথবা গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিতে হচ্ছে, যা তাদের বাজেট এবং পকেটের ওপরও প্রভাব ফেলছে।’
দাম বাড়ার কারণে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি খরচ চাপানো এড়াতে তাদের নিজেদের চুল সঙ্গে নিয়ে আসতে বলছেন ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে। এখন তাঁর ওয়েবসাইটে চুল ছাড়া কুইক উইভ পরিষেবার দাম ১৪০ ডলার। কিন্তু চুলসহ এর দাম ৪০০ ডলার।
এ ছাড়া পণ্য পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়েকে; কারণ, শুল্কের হার ওঠানামা করার কারণে তাঁর পাইকারি বিক্রেতা পণ্য পাঠাতে দেরি করছেন।
হাইপোঅ্যালার্জেনিক বিনুনির চুল বিক্রেতা ডোসো বিউটির মালিক এবং ফিলাডেলফিয়ার দ্য ডোসো হেয়ার সেলুনের মালিক ৩০ বছর বয়সী কাদিদজা ডোসো চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছেন।
গত জুনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, সে সময় ঠিক কোন কোন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রযোজ্য হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে আকাশপথে চীন থেকে আনা ৫০ হাজার ডলার মূল্যের বিনুনি চুলের জন্য ডোসোকে এক মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।
ডোসো রয়টার্সকে বলেন, ‘কাস্টমসে ছাড়পত্রের জন্য আমাদের পণ্যের আরও নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হচ্ছে, যেমন সঠিক উপকরণ, পণ্যের ব্যবহার। আমরা বছরের পর বছর ধরে যে ভাষা ব্যবহার করছি, তা এখন কাস্টমস বলছে যথেষ্ট বর্ণনামূলক নয়।’
নিয়মিত গ্রাহকদের চুলের স্টাইল করার জন্য সাধারণত পাঁচটি প্যাকেটের প্রয়োজন হয়, যার প্রতিটির দাম ১৩ ডলার। গ্রাহকদের ওপর এর দাম না বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ডোসো।
ট্রাম্পের শুল্কের কারণে ব্ল্যাকশিয়ার-ক্যালোওয়ে ও ডোসোর মতো কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে পেরি। তিনি বলেন, ‘অনেক কৃষ্ণাঙ্গ উদ্যোক্তা কম সম্পদ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বিদ্যমান পরিস্থিতি কৃষ্ণাঙ্গ উদ্যোক্তাদের, বিশেষ করে যারা কম লাভজনক ব্যবসা যেমন ভোগ্যপণ্য বা চুলের পরিচর্যার মতো পরিষেবা ব্যবসায় জড়িত, তাদের আর্থিক অবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। কারণ, শুল্ক তাদের লাভের অংশ খেয়ে ফেলছে।’
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সাপ্লাই চেইন এবং অপারেশনস ম্যানেজমেন্টের সহকারী অধ্যাপক সিনা গোলারা বলেন, শুল্কের কারণে খরচ বেড়ে যাওয়া অনেকটা করের মতো, যা ব্যবসার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গোলারা বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এটি বিদেশি প্রস্তুতকারকের ওপর বর্তাতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর একটি বড় প্রভাব দেশীয় ক্রেতা এবং ভোক্তাদের ওপরও পড়ছে।
স্লায় হেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ৫৫ বছর বয়সী ডিয়ান ভ্যালেন্টাইন প্রথম শুল্কের প্রভাব অনুভব করেন, যখন চীনের ওপর প্রাথমিক ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসের বন্দর থেকে ২৬ হাজার ইউনিট বিনুনির চুল বের করার জন্য তাঁকে ৩ লাখ ডলারের বিল দিতে হয়েছিল।
ভ্যালেন্টাইন রয়টার্সকে বলেন, এই পর্যায়ে এসে এত টাকা খোয়ানো খুবই হতাশাজনক।
মালয়েশিয়ার তেরেংগানু প্রদেশে মুসলিম পুরুষদের জন্য শুক্রবারের জুমার নামাজে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এ নিয়ম ভাঙলে শাস্তির বিধানও ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া জুমার নামাজ বাদ দিলে মুসলিম পুরুষদের দুই বছরের কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ তিন হাজার রিঙ্গিত (৮৬ হাজার টাকা)
১ ঘণ্টা আগেআলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁদের আলোচনা যতটা প্রীতিময় ছিল, বাস্তব সমাধানের দিক থেকে ততটাই শূন্য। কূটনৈতিক ভঙ্গিমা, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহে বৈঠক চ
২ ঘণ্টা আগেভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতির ধারায় নতুন মাত্রা যোগ হলো রেয়ার আর্থ তথা বিরল খনিজ নিয়ে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, ইলেকট্রনিক ব্যাটারি, মহাকাশ থেকে শুরু করে বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের খনিজ এখন অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের বিরল খনিজের প্রয়োজন মেটাতে তারা পদক্ষেপ নেবে।
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সমাধান না এলেও অগ্রগতির একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউক্রেন, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো নেতাদের অংশগ্রহণে বৈঠকটি ছিল যেন এক ঐক্যের প্র
৪ ঘণ্টা আগে