ডা. কাকলী হালদার

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ডা. কাকলী হালদার

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৭ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে