আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নয়াদিল্লি সফর এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে ভারত-আফগান সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। চিরকাল তালেবানকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে এলেও পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই তালেবান সরকারকেই কাছে টানছে নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
তবে গতকাল শুক্রবারের একটি ঘটনা তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আফগানিস্তান দূতাবাসে আয়োজিত মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার আফগান দূতাবাসে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কোনো নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না। একাধিক নারী রিপোর্টার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা পোশাকবিধি মেনে এলেও তাঁদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরপরই অনেক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে!
এই গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর ভারত সরকার দ্রুত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সংবাদ সম্মেলনে ‘ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের তালিকা মুম্বাইয়ে অবস্থিত আফগান কনস্যুলেট জেনারেল তৈরি করেছিল। আফগান দূতাবাসের এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ড হলেও তা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারতীয় সরকারের আইনি এখতিয়ারের বাইরে।
ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি করেছে। বিরোধী দলের নেতারা এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘যখন একটি প্রকাশ্য মঞ্চে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন আপনি ভারতের প্রত্যেক নারীকে জানান দিচ্ছেন যে আপনি তাঁদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য সবল নন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দেশে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। এই ধরনের বৈষম্যের মুখে আপনার নীরবতা “নারী শক্তি” স্লোগানের অন্তঃসারশূন্যতা উন্মোচন করে।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ঘটনার বিষয়ে তাঁর অবস্থান ‘স্পষ্ট’ করার দাবি জানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যে দেশের নারীরা দেশের মেরুদণ্ড এবং গর্ব, সেই দেশে ভারতের সবচেয়ে সক্ষম নারীদের অপমান কীভাবে সহ্য করা হলো?’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম পুরুষ সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মর্মাহত যে আফগানিস্তানের আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতে, পুরুষ সাংবাদিকদের উচিত ছিল তাঁদের নারী সহকর্মীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করে ওয়াকআউট করা।’
এই বিতর্কের নেপথ্যে রয়েছে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের নারীবিরোধী কঠোর নীতি। তালেবান সরকার নারীদের কাজ করা থেকে শুরু করে শিক্ষার অধিকারের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সম্প্রতি আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী অধিকার-সংশ্লিষ্ট বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং লিঙ্গ ও উন্নয়ন, নারী সমাজবিদ্যা, মানবাধিকার, আফগান সাংবিধানিক আইন এবং বিশ্বায়ন ও উন্নয়নসহ ১৮টি কোর্স বাতিল করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আফগান দূতাবাসের ঘটনাটি আরও বেশি সমালোচিত হয়েছে।
বিতর্কের মধ্যেও মুত্তাকির এই সফরকে ভারত-আফগান সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। মুত্তাকি গত বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছান এবং পরদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জয়শঙ্কর এই বৈঠকের পর ঘোষণা করেন, ভারত কাবুলে তাদের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদায় উন্নীত করবে। তিনি আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও উন্নয়নে ভারতের প্রতি গভীর আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ইতিমধ্যে চলমান বহু প্রকল্পের পাশাপাশি আরও ছয়টি নতুন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেন। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নয়াদিল্লি সফর এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে ভারত-আফগান সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। চিরকাল তালেবানকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে এলেও পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই তালেবান সরকারকেই কাছে টানছে নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
তবে গতকাল শুক্রবারের একটি ঘটনা তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আফগানিস্তান দূতাবাসে আয়োজিত মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার আফগান দূতাবাসে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কোনো নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না। একাধিক নারী রিপোর্টার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা পোশাকবিধি মেনে এলেও তাঁদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরপরই অনেক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে!
এই গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর ভারত সরকার দ্রুত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সংবাদ সম্মেলনে ‘ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের তালিকা মুম্বাইয়ে অবস্থিত আফগান কনস্যুলেট জেনারেল তৈরি করেছিল। আফগান দূতাবাসের এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ড হলেও তা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারতীয় সরকারের আইনি এখতিয়ারের বাইরে।
ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি করেছে। বিরোধী দলের নেতারা এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘যখন একটি প্রকাশ্য মঞ্চে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন আপনি ভারতের প্রত্যেক নারীকে জানান দিচ্ছেন যে আপনি তাঁদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য সবল নন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দেশে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। এই ধরনের বৈষম্যের মুখে আপনার নীরবতা “নারী শক্তি” স্লোগানের অন্তঃসারশূন্যতা উন্মোচন করে।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ঘটনার বিষয়ে তাঁর অবস্থান ‘স্পষ্ট’ করার দাবি জানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যে দেশের নারীরা দেশের মেরুদণ্ড এবং গর্ব, সেই দেশে ভারতের সবচেয়ে সক্ষম নারীদের অপমান কীভাবে সহ্য করা হলো?’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম পুরুষ সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মর্মাহত যে আফগানিস্তানের আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতে, পুরুষ সাংবাদিকদের উচিত ছিল তাঁদের নারী সহকর্মীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করে ওয়াকআউট করা।’
এই বিতর্কের নেপথ্যে রয়েছে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের নারীবিরোধী কঠোর নীতি। তালেবান সরকার নারীদের কাজ করা থেকে শুরু করে শিক্ষার অধিকারের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সম্প্রতি আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী অধিকার-সংশ্লিষ্ট বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং লিঙ্গ ও উন্নয়ন, নারী সমাজবিদ্যা, মানবাধিকার, আফগান সাংবিধানিক আইন এবং বিশ্বায়ন ও উন্নয়নসহ ১৮টি কোর্স বাতিল করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আফগান দূতাবাসের ঘটনাটি আরও বেশি সমালোচিত হয়েছে।
বিতর্কের মধ্যেও মুত্তাকির এই সফরকে ভারত-আফগান সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। মুত্তাকি গত বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছান এবং পরদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জয়শঙ্কর এই বৈঠকের পর ঘোষণা করেন, ভারত কাবুলে তাদের টেকনিক্যাল মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদায় উন্নীত করবে। তিনি আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও উন্নয়নে ভারতের প্রতি গভীর আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ইতিমধ্যে চলমান বহু প্রকল্পের পাশাপাশি আরও ছয়টি নতুন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেন। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন...
৩৬ মিনিট আগেইউক্রেন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কমপক্ষে সাড়ে ১৯ হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে জোর করে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে রাশিয়া ও রুশ অধিকৃত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। গতকাল শুক্রবার পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে নোবেল কর্তৃপক্ষ। বছরখানেক ধরে আত্মগোপনে থাকা এই নেত্রী নিজের নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন ভেনেজুয়েলার জনগণ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট...
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া ডেরা ইসমাইল খানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ৭ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই হামলা হয়। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী তীব্র সংঘর্ষের পর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে পাঁচ...
৪ ঘণ্টা আগে