নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে চাকরিতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। বাকি একজন কর্মকর্তা পলাতক বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, গত মাসের ৫ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রমোশন বোর্ডের কার্যক্রম চলাকালে মেজর জেনারেল থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একত্রিত ছিলেন। এই বোর্ড শেষে অনুষ্ঠিত হয় জেনারেল কনফারেন্স ও ফরমেশন কমান্ডার কনফারেন্স, যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
৮ অক্টোবর দুপুরে বোর্ড শেষে বের হওয়ার পর জানা যায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার চার্জশিট দাখিল হয়েছে এবং ওই দিনই ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেপ্তার কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১ জন এলপিআর-এ এবং বাকি ১৫ জন এখনো চাকরিতে কর্মরত। সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে না পেলেও, সংবিধান স্বীকৃত সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই জানিয়েছে সেনাসদর।
৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের আদেশ পাওয়ার পরপরই ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। পরদিন ৯ অক্টোবর তাদের সেনাসদরে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চাকরিতে থাকা ১৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন সেনাসদরের ডাকে সাড়া দেন। তবে মেজর জেনারেল কবির নামের এক কর্মকর্তা সেনাসদরের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সেনাসদর পরে তাকে ‘ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে। তাকে ধরতে সকল সীমান্তে সর্তকতা জারি করেছে সেনাসদর।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
প্রথম মামলায় র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উভয় মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। মামলায় আরও রয়েছেন তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআই-এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।
এই ৩০ জনের মধ্যে ২২ জনই কর্নেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে চাকরিতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। বাকি একজন কর্মকর্তা পলাতক বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, গত মাসের ৫ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রমোশন বোর্ডের কার্যক্রম চলাকালে মেজর জেনারেল থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একত্রিত ছিলেন। এই বোর্ড শেষে অনুষ্ঠিত হয় জেনারেল কনফারেন্স ও ফরমেশন কমান্ডার কনফারেন্স, যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
৮ অক্টোবর দুপুরে বোর্ড শেষে বের হওয়ার পর জানা যায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার চার্জশিট দাখিল হয়েছে এবং ওই দিনই ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেপ্তার কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১ জন এলপিআর-এ এবং বাকি ১৫ জন এখনো চাকরিতে কর্মরত। সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে না পেলেও, সংবিধান স্বীকৃত সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই জানিয়েছে সেনাসদর।
৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের আদেশ পাওয়ার পরপরই ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। পরদিন ৯ অক্টোবর তাদের সেনাসদরে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চাকরিতে থাকা ১৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন সেনাসদরের ডাকে সাড়া দেন। তবে মেজর জেনারেল কবির নামের এক কর্মকর্তা সেনাসদরের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সেনাসদর পরে তাকে ‘ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে। তাকে ধরতে সকল সীমান্তে সর্তকতা জারি করেছে সেনাসদর।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
প্রথম মামলায় র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উভয় মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। মামলায় আরও রয়েছেন তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআই-এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।
এই ৩০ জনের মধ্যে ২২ জনই কর্নেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা।
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫, জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার ওপর বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও অংশীজন সম্পৃক্ততা সম্পন্ন না করে তড়িঘড়ি করে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনে গভীর উদ্বেগ, হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
২৬ মিনিট আগেবাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে কমিশন সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার ঘটনা সেনাসদস্যদের মনোবলে প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
৩ ঘণ্টা আগে