নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় সমাবেশে আসা পুলিশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করতেও দেখা যায়।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ২টা থেকে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাকরাইলে তাদের পার্টি অফিসের সামনে সড়কে সমাবেশকে কেন্দ্র করে জড়ো হন। সড়কেই বানানো হয় মঞ্চ, দেওয়া হয় কয়েকশ প্লাস্টিকের চেয়ার। সেখানে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা জড়ো হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার বক্তব্য দেওয়ার সময় এমন ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কয়েকশ পুলিশ একযোগে বাঁশি দিয়ে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তাদের সামনে একটি জলকামান থেকে রঙিন পানি ছিটানো হয়। অন্তত তিনটি সাউন্ড গ্রেনেডর শব্দ পাওয়া যায়। মুহূর্তেই জাতীয় পার্টির সামনের সড়ক ছেড়ে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অলিগলিতে চলে যান। কয়েকজন সড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের তাৎক্ষণিক আটক করেন। লাঠিপেটা করে তাড়াতেও দেখা যায়। পুলিশের তৎপরতায় সড়কে পাতা কিছু চেয়ার ভেঙে যায়।
জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশের লাঠি পেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডর আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দলটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সমাবেশে বক্তব্য চলাকালীন হঠাৎ জলকামান নিয়ে এসে হামলা করে পুলিশ। এরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে করেছে। পুলিশের সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ যেভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ দায়িত্বহীন আচরণ করেছে।’
তবে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদেরকে একটি আবেদন করেছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করিনি। এটা তো রাস্তা, আপনারা তো রাস্তা কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। মৌখিকভাবে আমরা তাদেরকে বলেছিলাম রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপরে চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। আমরা তাদেরকে কয়েকবার সতর্ক করেছিলাম, আমাদের পুলিশের কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি নিজে গিয়ে তাদেরকে রাস্তা ছাড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। তারপরও তারা সরে না গেলে আমরা ছত্র ভঙ্গ করার জন্য যা যা করার দরকার ছিল তা তা করেছিল।’
জাপা কি অনুমতি পেয়েছিল কি না আবারও জানতে চাইলে রমনা জোনের ডিসি বলেন, ‘আমরা তো তাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি দিইনি বা তারা অনুমতি পায়নি— এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য আমরা সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছি। আমরা শুনতে পেয়েছি, তাদের পক্ষ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় সমাবেশে আসা পুলিশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করতেও দেখা যায়।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ২টা থেকে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাকরাইলে তাদের পার্টি অফিসের সামনে সড়কে সমাবেশকে কেন্দ্র করে জড়ো হন। সড়কেই বানানো হয় মঞ্চ, দেওয়া হয় কয়েকশ প্লাস্টিকের চেয়ার। সেখানে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা জড়ো হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার বক্তব্য দেওয়ার সময় এমন ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কয়েকশ পুলিশ একযোগে বাঁশি দিয়ে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তাদের সামনে একটি জলকামান থেকে রঙিন পানি ছিটানো হয়। অন্তত তিনটি সাউন্ড গ্রেনেডর শব্দ পাওয়া যায়। মুহূর্তেই জাতীয় পার্টির সামনের সড়ক ছেড়ে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অলিগলিতে চলে যান। কয়েকজন সড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের তাৎক্ষণিক আটক করেন। লাঠিপেটা করে তাড়াতেও দেখা যায়। পুলিশের তৎপরতায় সড়কে পাতা কিছু চেয়ার ভেঙে যায়।
জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশের লাঠি পেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডর আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দলটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সমাবেশে বক্তব্য চলাকালীন হঠাৎ জলকামান নিয়ে এসে হামলা করে পুলিশ। এরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে করেছে। পুলিশের সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ যেভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ দায়িত্বহীন আচরণ করেছে।’
তবে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদেরকে একটি আবেদন করেছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করিনি। এটা তো রাস্তা, আপনারা তো রাস্তা কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। মৌখিকভাবে আমরা তাদেরকে বলেছিলাম রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপরে চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। আমরা তাদেরকে কয়েকবার সতর্ক করেছিলাম, আমাদের পুলিশের কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি নিজে গিয়ে তাদেরকে রাস্তা ছাড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। তারপরও তারা সরে না গেলে আমরা ছত্র ভঙ্গ করার জন্য যা যা করার দরকার ছিল তা তা করেছিল।’
জাপা কি অনুমতি পেয়েছিল কি না আবারও জানতে চাইলে রমনা জোনের ডিসি বলেন, ‘আমরা তো তাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি দিইনি বা তারা অনুমতি পায়নি— এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য আমরা সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছি। আমরা শুনতে পেয়েছি, তাদের পক্ষ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি সন্দেহভাজনের তল্লাশিও করা হচ্ছে। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ...
১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। ভোট গ্রহণ শেষে গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে। আজ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।
৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম, খুন নিয়ে তথ্যচিত্র করা হচ্ছে। সেই তথ্যচিত্রের শুটিংয়ে সিলেটে এসেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ শনিবার সকালের একটি ফ্লাইটে ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
১১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ শহরের কওমি জুটমিলে এক কোণের বারান্দায় থাকেন সালেয়া বেগম। বয়স পেরিয়েছে ৬০। অনেকে তাঁকে ‘সালে পাগল’ নামেই চিনতেন। প্রতিদিন সকালবেলা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে বের হতেন, বিকেলে ফিরে আসতেন নীরবে। কেউ জানত না, তাঁর নিঃশব্দ জীবনে ধীরে ধীরে জমিয়ে গেছেন টাকা-কড়ি।
১৪ মিনিট আগে