যুক্তরাষ্ট্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো-প্যাসিফিক) অঞ্চলে যে কৌশল অবলম্বন করছে তা ইউরোপে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের মতোই বিপজ্জনক। শনিবার চীনের শিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ফোরামে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী লে ইউশেং এ কথা বলেছেন। রোববার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশল অনুসরণ করছে তার মানে হলো—ঝামেলা উসকে দেওয়া, অঞ্চলটিকে বিভক্ত করা। এবং এই বিভাজনের অর্থ হলো এই কৌশল ন্যাটোর ইউরোপে পূর্বমুখী সম্প্রসারণ কৌশলের মতোই বিপজ্জনক। যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে তা একটি অকল্পনীয় পরিণতি বয়ে আনবে এবং শেষ পর্যন্ত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অতল গহ্বরে ঠেলে দেবে।’
লে ইউশেং আরও বলেন, ‘অবশ্যই এশিয়ার ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ়ভাবে আমাদের হাতে রাখতে হবে। স্বাধীন, ভারসাম্যপূর্ণ এবং বিচক্ষণ বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করতে হবে এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক একীকরণের প্রক্রিয়ায় ঐক্যের মধ্যে শক্তি খুঁজতে হবে।’
লে ইউশেং তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাটোকেও ওয়ারশ প্যাক্টের মতো ইতিহাসের পাতায় তুলে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ভেঙে দেওয়ার পরিবর্তে ন্যাটো নিজেকে শক্তিশালী করেছে এবং সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। এই পথে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে তা যে কেউ অনুমান করতে পারে। ইউক্রেনের সংকট ন্যাটোর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি কঠোর সতর্কবাণী।’
লে ইউশেং আরও বলেছেন, ‘যেহেতু ন্যাটো এর আগেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল—সংস্থাটির উচিত হবে না নিজেদের দেওয়া কথা থেকে সরে যাওয়া এবং পূর্ব ইউরোপে এর সম্প্রসারণকে চালু রাখা। চূড়ান্ত নিরাপত্তার অন্বেষণ আসলে পরম নিরাপত্তাহীনতার দিকে নিয়ে যায়।’
চলতি মাসের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তাঁর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াড জোট প্রসঙ্গে বলেছিলেন—‘ওয়াশিংটন বেইজিংকে “দমন” করতে জন্য একটি এশিয়ান ন্যাটো গঠন করতে চাইছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো ন্যাটোর একটি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্করণ প্রতিষ্ঠা করা।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মিলে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-চলাচল রুটগুলোকে যেকোনো দেশের একক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার নতুন কৌশল হিসেবে কোয়াড গঠন করে।
যুক্তরাষ্ট্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো-প্যাসিফিক) অঞ্চলে যে কৌশল অবলম্বন করছে তা ইউরোপে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের মতোই বিপজ্জনক। শনিবার চীনের শিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ফোরামে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী লে ইউশেং এ কথা বলেছেন। রোববার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশল অনুসরণ করছে তার মানে হলো—ঝামেলা উসকে দেওয়া, অঞ্চলটিকে বিভক্ত করা। এবং এই বিভাজনের অর্থ হলো এই কৌশল ন্যাটোর ইউরোপে পূর্বমুখী সম্প্রসারণ কৌশলের মতোই বিপজ্জনক। যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে তা একটি অকল্পনীয় পরিণতি বয়ে আনবে এবং শেষ পর্যন্ত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অতল গহ্বরে ঠেলে দেবে।’
লে ইউশেং আরও বলেন, ‘অবশ্যই এশিয়ার ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ়ভাবে আমাদের হাতে রাখতে হবে। স্বাধীন, ভারসাম্যপূর্ণ এবং বিচক্ষণ বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করতে হবে এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক একীকরণের প্রক্রিয়ায় ঐক্যের মধ্যে শক্তি খুঁজতে হবে।’
লে ইউশেং তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাটোকেও ওয়ারশ প্যাক্টের মতো ইতিহাসের পাতায় তুলে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ভেঙে দেওয়ার পরিবর্তে ন্যাটো নিজেকে শক্তিশালী করেছে এবং সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। এই পথে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে তা যে কেউ অনুমান করতে পারে। ইউক্রেনের সংকট ন্যাটোর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি কঠোর সতর্কবাণী।’
লে ইউশেং আরও বলেছেন, ‘যেহেতু ন্যাটো এর আগেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল—সংস্থাটির উচিত হবে না নিজেদের দেওয়া কথা থেকে সরে যাওয়া এবং পূর্ব ইউরোপে এর সম্প্রসারণকে চালু রাখা। চূড়ান্ত নিরাপত্তার অন্বেষণ আসলে পরম নিরাপত্তাহীনতার দিকে নিয়ে যায়।’
চলতি মাসের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তাঁর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াড জোট প্রসঙ্গে বলেছিলেন—‘ওয়াশিংটন বেইজিংকে “দমন” করতে জন্য একটি এশিয়ান ন্যাটো গঠন করতে চাইছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো ন্যাটোর একটি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্করণ প্রতিষ্ঠা করা।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মিলে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-চলাচল রুটগুলোকে যেকোনো দেশের একক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার নতুন কৌশল হিসেবে কোয়াড গঠন করে।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে