Ajker Patrika

সমুদ্রসৈকতে ফাগুনের উচ্ছ্বাস

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ১০
সমুদ্রসৈকতে ফাগুনের উচ্ছ্বাস

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে বেড়াতে এসেছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন সিদ্দিকী ও তাঁর নববধূ ফারহানা আফরোজ। বসন্তের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তাঁরা হানিমুনের জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকেই বেচে নিয়েছেন। এই দম্পতির মতো আরও অনেকে বিশেষ দিনটি উপভোগের জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছুটে এসেছেন।

এখন পর্যটনের ভরা মৌসুম। কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারি বিধিনিষেধ চলছে। এই বিধিনিষেধে পর্যটকও কমতে শুরু করেছিল। তবে গতকাল সোমবার ছিল পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশেষ এই দিনটিতে আশানুরূপ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন, শৈল দ্বীপ মহেশখালী, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কসহ আশপাশের পাহাড়-প্রকৃতি দেখতে ছুটে এসেছেন পর্যটকেরা। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন।

করোনা সংক্রমণ রোধে গেল দুই বছরে সাড়ে ৯ মাস সমুদ্রসৈকতে পর্যটকসমাগম নিষিদ্ধ ছিল। এতে পর্যটকনির্ভর কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। গত বছরের ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা প্রশাসন সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেয়।

গতকাল সকালে সৈকতের লাবনীও সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, সাগরের নোনাজলে গা ভিজিয়ে পর্যটকেরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। কেউ বিচ বাইক, কেউ ওয়াটার বাইক আবার কেউ ঘোড়ায় চড়ে সৈকতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দিনটি উপলক্ষে বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তৎপর ছিল।

বিচকর্মী বেলাল হোসেন জানান, সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই সপ্তাহে আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন।

সাগরপাড়ের অভিজাত হোটেল সিগালের ব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) তারিক আজিজ আজকের পত্রিকাকে জানান, করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে কয়েক দিন পর্যটক কম ছিল। এক সপ্তাহ ধরে পর্যটক আগমন বেড়েছে। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের ৬০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকা জানান, শহরের সাড়ে ৪০০ হোটেলে ১ লাখ ৭০ হাজার মতো পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পয়লা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসে ৫০ শতাংশের ওপরে রুম বুকিং আছে। করোনার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পর্যটক এসেছেন বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজারে করোনা শনাক্ত দৈনিক ২৫০ জনের ওপরে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত