রংপুর প্রতিনিধি
জীবনের পড়ন্ত বেলায় কে ধরবে সংসারের হাল? কে দেবে ভরণপোষণ? একটি ছেলে হলে ভালো হয়। অন্তত মরার পর খাটিয়া ধরবে—এমন চিন্তাভাবনা সমাজের অধিকাংশ মা-বাবার। এই চিন্তার বাইরে ছিলেন না রংপুরের সিও বাজারের উত্তম বেতারপাড়া এলাকার নবির হোসেন ও সুফিয়া খাতুন দম্পতি।
তিন মেয়ের পর চতুর্থ সন্তান হিসেবে ছেলের জন্ম হয় নবির-সুফিয়ার ঘরে। তিন মেয়ের তুলনায় ছেলেকে বেশ আদর-যত্নে মানুষ করেন। একসময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়। নবির-সুফিয়া দম্পতি বৃদ্ধ হন।
কখন শেষনিশ্বাস ত্যাগ করবেন এমন অনিশ্চয়তায় নবির নিজের নামে থাকা সম্পত্তি লিখে দেন একমাত্র ছেলের নামে। যাতে জীবনের শেষ বেলায় ছেলের সংসারে সুখে-শান্তিতে কাটে। কিন্তু তা হয়নি। সম্পত্তি লিখে নেওয়ার দুই মাসের মাথায় নবির ও সুফিয়াকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একমাত্র ছেলে সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ছেলের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন বৃদ্ধ নবির ও সুফিয়া আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরছেন পথে পথে। থাকছেন অন্যের বাড়িতে, অর্ধাহারে-অনাহারে।
স্থানীয় লোকজন এবং ওই বৃদ্ধ দম্পতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নবির সিও বাজার উত্তম বেতারপাড়ায় দীর্ঘ ৫০ বছর মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তিনি মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের জমিতে চাষাবাদও করতেন। অনেক কষ্টে আবাদি জমিসহ বাড়িঘর তৈরি করেছেন।
শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে থাকা নবির জীবনসায়াহ্নে একটু সুখের আশায় বাড়িঘরসহ সব জমিজমা ছেলে সাইদুলের নামে দলিল করে দেন। এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জীবনে। একসময় তিলে তিলে গড়ে তোলা ঘরদোর ছাড়তে হয়।
নবির অভিযোগ করে বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে আমার সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছি। মেয়েদেরও জানাইনি। যাতে ছেলে সুখে থাকে, শেষ সময়টাতে আমাদের সুখে-শান্তিতে রাখে, দুই বেলা ভালো-মন্দ খেয়ে ছেলের সঙ্গে থাকতে পারি। কিন্তু সব আশা ছাই হয়ে গেছে। জমিজমা লিখে দেওয়ার পর থেকে ছেলে খুব খারাপ আচরণ শুরু করে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। রমজানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্থানীয় মসজিদ কমিটি, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি জানার পর বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন। কিন্তু সাইদুল কারও কথা শোনে না। এখন আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এক বেলা আধপেট খেয়ে বেঁচে আছি।’
তবে সাইদুলের স্ত্রী সালমা আখতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার স্বামী তাঁর বাবা-মাকে মারধর করেনি। বাড়ি থেকে বেরও করে দেয়নি। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ।’
যোগাযোগ করা হলে রংপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ গতকাল রোববার বলেন, ‘বৃদ্ধ নবির ও সুফিয়াকে তাঁর ছেলে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, এ ঘটনা সত্য। বিষয়টি এলাকাবাসী সবাই জানে। নির্যাতনের শিকার বাবা-মাকে আইনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
জীবনের পড়ন্ত বেলায় কে ধরবে সংসারের হাল? কে দেবে ভরণপোষণ? একটি ছেলে হলে ভালো হয়। অন্তত মরার পর খাটিয়া ধরবে—এমন চিন্তাভাবনা সমাজের অধিকাংশ মা-বাবার। এই চিন্তার বাইরে ছিলেন না রংপুরের সিও বাজারের উত্তম বেতারপাড়া এলাকার নবির হোসেন ও সুফিয়া খাতুন দম্পতি।
তিন মেয়ের পর চতুর্থ সন্তান হিসেবে ছেলের জন্ম হয় নবির-সুফিয়ার ঘরে। তিন মেয়ের তুলনায় ছেলেকে বেশ আদর-যত্নে মানুষ করেন। একসময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়। নবির-সুফিয়া দম্পতি বৃদ্ধ হন।
কখন শেষনিশ্বাস ত্যাগ করবেন এমন অনিশ্চয়তায় নবির নিজের নামে থাকা সম্পত্তি লিখে দেন একমাত্র ছেলের নামে। যাতে জীবনের শেষ বেলায় ছেলের সংসারে সুখে-শান্তিতে কাটে। কিন্তু তা হয়নি। সম্পত্তি লিখে নেওয়ার দুই মাসের মাথায় নবির ও সুফিয়াকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একমাত্র ছেলে সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ছেলের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন বৃদ্ধ নবির ও সুফিয়া আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরছেন পথে পথে। থাকছেন অন্যের বাড়িতে, অর্ধাহারে-অনাহারে।
স্থানীয় লোকজন এবং ওই বৃদ্ধ দম্পতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নবির সিও বাজার উত্তম বেতারপাড়ায় দীর্ঘ ৫০ বছর মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তিনি মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের জমিতে চাষাবাদও করতেন। অনেক কষ্টে আবাদি জমিসহ বাড়িঘর তৈরি করেছেন।
শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে থাকা নবির জীবনসায়াহ্নে একটু সুখের আশায় বাড়িঘরসহ সব জমিজমা ছেলে সাইদুলের নামে দলিল করে দেন। এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জীবনে। একসময় তিলে তিলে গড়ে তোলা ঘরদোর ছাড়তে হয়।
নবির অভিযোগ করে বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে আমার সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছি। মেয়েদেরও জানাইনি। যাতে ছেলে সুখে থাকে, শেষ সময়টাতে আমাদের সুখে-শান্তিতে রাখে, দুই বেলা ভালো-মন্দ খেয়ে ছেলের সঙ্গে থাকতে পারি। কিন্তু সব আশা ছাই হয়ে গেছে। জমিজমা লিখে দেওয়ার পর থেকে ছেলে খুব খারাপ আচরণ শুরু করে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। রমজানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্থানীয় মসজিদ কমিটি, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি জানার পর বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন। কিন্তু সাইদুল কারও কথা শোনে না। এখন আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এক বেলা আধপেট খেয়ে বেঁচে আছি।’
তবে সাইদুলের স্ত্রী সালমা আখতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার স্বামী তাঁর বাবা-মাকে মারধর করেনি। বাড়ি থেকে বেরও করে দেয়নি। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ।’
যোগাযোগ করা হলে রংপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ গতকাল রোববার বলেন, ‘বৃদ্ধ নবির ও সুফিয়াকে তাঁর ছেলে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, এ ঘটনা সত্য। বিষয়টি এলাকাবাসী সবাই জানে। নির্যাতনের শিকার বাবা-মাকে আইনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫