নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
মাঘে দিন দিন তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চল ও নদীপাড়ের মানুষ প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। কোনো দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। কোনো দিন মেঘে ঢাকা থাকে আকাশ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ এবং গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২-৩ নটিক্যাল মাইল। আকাশে মেঘের সঙ্গে চারদিক কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হয়েছে। এ রকম অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় চরম কষ্টে পড়েছেন নাগেশ্বরীর দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চল ও নদী পাড়ে বসবাসকারী মানুষ। পাশাপাশি উপজেলার হাজারো দিনমজুর, পাথরভাঙা শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানের চালক বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের দুধকুমার নদের আয়নালের ঘাটের নৌকার মাঝি আব্দুল মালেক জানান, মধ্যরাত পর্যন্ত নৌকা বাইতে হয় তাঁদের। বাতাস আর কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগে। শীতে অনেক কষ্ট হয়।
বল্লভের খাষ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার গঙ্গাধর নদের পাড়ের জেলেপাড়ার বাসিন্দা নগেন চন্দ্র বিশ্বাস, হরিপদ বিশ্বাস, ছায়া রানি জানান, ভাঙাচোরা ঘরের ফাঁকফোকর দিয়ে শীতল বাতাস ঢুকে রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয়। সকালে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করেন তাঁরা। শীত থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় নেই বলে জানান তাঁরা।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় চরের কৃষিশ্রমিক আয়নাল হক বলেন, ‘বোরো মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। সকাল সকাল মাঠে কাজে যেতে হয়। কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকেরা।’
সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন কেদার ও বল্লভের খাষ ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ। সকাল সাড়ে সাতটায় কাজে যোগ দিতে হয় তাঁদের। কুয়াশা ও শীতকে উপেক্ষা করে কেউ অটোরিকশা আবার কেউ বাইসাইকেলযোগে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। এতে নাজেহাল হতে হয় তাঁদের।
পাথর ভাঙার কাজ করেন লতিফ, আব্দুল আউয়াল, করিমন। কথা হলে তাঁরা জানান, শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। গরম কাপড়ের অভাবে বাসায় ফিরে রাতেও ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম দফায় উপজেলার সাত হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২ হাজার ৩০০ কম্বলের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো বিতরণ চলমান আছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক ফজলে রহমান জানান, শীতের এমন পরিস্থিতি আগামী আরও ৩-৪ দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আকাশ মেঘলা এবং কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। অঞ্চল ভেদে বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মাঘে দিন দিন তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চল ও নদীপাড়ের মানুষ প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। কোনো দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। কোনো দিন মেঘে ঢাকা থাকে আকাশ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ এবং গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২-৩ নটিক্যাল মাইল। আকাশে মেঘের সঙ্গে চারদিক কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হয়েছে। এ রকম অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় চরম কষ্টে পড়েছেন নাগেশ্বরীর দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চল ও নদী পাড়ে বসবাসকারী মানুষ। পাশাপাশি উপজেলার হাজারো দিনমজুর, পাথরভাঙা শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানের চালক বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের দুধকুমার নদের আয়নালের ঘাটের নৌকার মাঝি আব্দুল মালেক জানান, মধ্যরাত পর্যন্ত নৌকা বাইতে হয় তাঁদের। বাতাস আর কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগে। শীতে অনেক কষ্ট হয়।
বল্লভের খাষ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার গঙ্গাধর নদের পাড়ের জেলেপাড়ার বাসিন্দা নগেন চন্দ্র বিশ্বাস, হরিপদ বিশ্বাস, ছায়া রানি জানান, ভাঙাচোরা ঘরের ফাঁকফোকর দিয়ে শীতল বাতাস ঢুকে রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয়। সকালে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করেন তাঁরা। শীত থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় নেই বলে জানান তাঁরা।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় চরের কৃষিশ্রমিক আয়নাল হক বলেন, ‘বোরো মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। সকাল সকাল মাঠে কাজে যেতে হয়। কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকেরা।’
সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন কেদার ও বল্লভের খাষ ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ। সকাল সাড়ে সাতটায় কাজে যোগ দিতে হয় তাঁদের। কুয়াশা ও শীতকে উপেক্ষা করে কেউ অটোরিকশা আবার কেউ বাইসাইকেলযোগে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। এতে নাজেহাল হতে হয় তাঁদের।
পাথর ভাঙার কাজ করেন লতিফ, আব্দুল আউয়াল, করিমন। কথা হলে তাঁরা জানান, শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। গরম কাপড়ের অভাবে বাসায় ফিরে রাতেও ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম দফায় উপজেলার সাত হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২ হাজার ৩০০ কম্বলের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো বিতরণ চলমান আছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক ফজলে রহমান জানান, শীতের এমন পরিস্থিতি আগামী আরও ৩-৪ দিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আকাশ মেঘলা এবং কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। অঞ্চল ভেদে বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫