লালমনিরহাট ও চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে বিভিন্ন ফসলি জমিসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
লালমনিরহাট: তিন দিনে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খামারটারী, চোংগাদ্বারাপাড়া, পূর্ব কালমাটি ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের চর গোকুণ্ডা গ্রামের প্রায় ৪০-৪৫টি ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে চোংগাদ্বারা উচ্চবিদ্যালয়, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর কিনারায় পড়েছে চোংগাদ্বারা উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনসহ শতাধিক বসতবাড়ি।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালমাটি গ্রামের বিধবা মিনু বেওয়া ৪ বার নদীভাঙনের শিকার হয়ে অন্যের জমি ৩০ হাজার টাকায় বন্ধক নিয়ে ৩টি ঘর তুলেছেন। সেখানে ২ ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। ওই বসতভিটাও নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। মিনু বেওয়া বলেন, ‘একসময় নিজের অনেক জমি ছিল। আর এখন অন্যের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করছি। এই ঘরও ভাঙনের মুখে। টাকা না থাকায় উঁচু জায়গায় জমি কিনতে পারি না।’
সদর উপজেলার খামারটারী এলাকার করিমউদ্দিন, আফসার, মেহের বানু ও মজিনা বলেন, ‘ভাঙনে বসতবাড়ির সঙ্গে কবরগুলোও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। কখন যে ঘরবাড়ি ভেঙে যায়।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলা নদীবেষ্টিত হলেও এবার সদর উপজেলায় তিস্তার ভাঙন কিছুটা বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। কিছু কিছু স্থানে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। যেসব জায়গায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেসব জায়গায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
চিলমারী: উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজটি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে। ইতিমধ্যে মূল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও থামছে না ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন।
স্থানীয় আমিনুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করা না গেলে ওই ইউনিয়নের সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যেকোনো মূল্যে ভাঙন রোধ করা জরুরি দরকার। তা না হলে প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকার কয়েক শ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে এবং এ ছাড়া সরকারি স্থাপনা বিলীন হবে।
দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. আকিবুল ইসলাম ও মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়ে প্রতিবার বন্যার আগে ও পরে ভাঙন দেখা দেয়। এ কারণে দুটি ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ জন্য আমাদের ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুলসহ আশপাশের বাড়িগুলোকে রক্ষা করা দরকার।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আশপাশে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে বিভিন্ন ফসলি জমিসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
লালমনিরহাট: তিন দিনে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খামারটারী, চোংগাদ্বারাপাড়া, পূর্ব কালমাটি ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের চর গোকুণ্ডা গ্রামের প্রায় ৪০-৪৫টি ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে চোংগাদ্বারা উচ্চবিদ্যালয়, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর কিনারায় পড়েছে চোংগাদ্বারা উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনসহ শতাধিক বসতবাড়ি।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালমাটি গ্রামের বিধবা মিনু বেওয়া ৪ বার নদীভাঙনের শিকার হয়ে অন্যের জমি ৩০ হাজার টাকায় বন্ধক নিয়ে ৩টি ঘর তুলেছেন। সেখানে ২ ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। ওই বসতভিটাও নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। মিনু বেওয়া বলেন, ‘একসময় নিজের অনেক জমি ছিল। আর এখন অন্যের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করছি। এই ঘরও ভাঙনের মুখে। টাকা না থাকায় উঁচু জায়গায় জমি কিনতে পারি না।’
সদর উপজেলার খামারটারী এলাকার করিমউদ্দিন, আফসার, মেহের বানু ও মজিনা বলেন, ‘ভাঙনে বসতবাড়ির সঙ্গে কবরগুলোও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। কখন যে ঘরবাড়ি ভেঙে যায়।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলা নদীবেষ্টিত হলেও এবার সদর উপজেলায় তিস্তার ভাঙন কিছুটা বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। কিছু কিছু স্থানে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। যেসব জায়গায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেসব জায়গায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
চিলমারী: উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজটি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে। ইতিমধ্যে মূল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও থামছে না ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন।
স্থানীয় আমিনুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করা না গেলে ওই ইউনিয়নের সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যেকোনো মূল্যে ভাঙন রোধ করা জরুরি দরকার। তা না হলে প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকার কয়েক শ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে এবং এ ছাড়া সরকারি স্থাপনা বিলীন হবে।
দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. আকিবুল ইসলাম ও মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়ে প্রতিবার বন্যার আগে ও পরে ভাঙন দেখা দেয়। এ কারণে দুটি ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ জন্য আমাদের ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুলসহ আশপাশের বাড়িগুলোকে রক্ষা করা দরকার।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আশপাশে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫