Ajker Patrika

নির্ধারিত দামের বেশিতে বিক্রি

খুলনা প্রতিনিধি
নির্ধারিত দামের বেশিতে বিক্রি

খুলনায় নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বিক্রেতারা বলছেন, পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম বেশি ধরছেন।

জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন এপ্রিল মাসে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ এবং খাসির ৮৫০ টাকা বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করে। কিন্তু খুলনার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০, আর খাসির ৮৭০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারা বৃদ্ধি করলেও এখনো সেই দামই বহাল রয়েছে।

নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের মাংস ব্যবসায়ী রাজু বলেন, গোখাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েছে গরুর দাম। হাটে আগের মতো গরু পাওয়া যায় না। তা ছাড়া ঢাকার ব্যবসায়ীরা খুলনার হাটগুলো দখল করে রেখেছে; যা পাওয়া যায়, তা-ও কাড়াকাড়ি করে কিনতে হয়। গরু কিনতে বিভিন্ন ফার্মে গেলে মালিকেরা দাম হাঁকান আকাশছোঁয়া। তা ছাড়া সামনে রয়েছে কোরবানির ঈদ। তাই বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক খামারি গরু হাটে আনতে চান না। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে গরু আমদানি হয় না। তাই গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।

ময়লাপোতা মোড়ের অপর ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন ময়লাপোতা মোড়ে ৮-১০টি গরু জবাই করা হয়। এখন দুটি গরুর মাংস বিক্রি করা দায় হয়ে পড়েছে। গরু আমদানি করা হলে মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হবে। না হলে এর থেকে আরও বাড়াবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

করিমনগরের বাসিন্দা সুমন বলেন, খুলনার কসাইরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। বাজার তদারকি না থাকায় এ মূল্যবৃদ্ধি। দাম বৃদ্ধির কারণে গরুর মাংস এখন মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

মাংসের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কেসিসি বাজার সুপার মাজেদ মোল্লা বলেন, রমজানের প্রথমদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়াতে চেয়েছিল খুলনার কসাইরা। কিন্তু কেসিসি মেয়রের শক্ত ভূমিকায় তা পারেনি। সে সময় গরুর মাংস ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হলে কসাইরা মানতে চাননি। রমজানের কারণে তাঁরা ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হন। কিন্তু তার কার্যকারিতা ২০ রমজান পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কেসিসি ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর তাঁরা দাম বাড়িয়ে মাংস বিক্রি করতে থাকে। তা ছাড়া খুলনার বাইরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে ৬৫০ টাকায় মাংস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

ভোক্তা অধিকার খুলনা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম বলেন, কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমাদের নয়। যদি কেউ দাম নির্ধারণ করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব। মাংস সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে গেলে দাম কমে যাবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

অন্যদিকে জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহিরয়ার আকুঞ্জি বলেন, রমজানের আগে ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম বৃদ্ধি করেছেন। বেশি দামেই তাঁরা মাংস বিক্রি করছেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের নির্ধারিত দামে বিক্রির জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তা করছেন না। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলেও তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত