Ajker Patrika

স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুলিবিদ্ধ নেতার মৃত্যু তিনজন গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৪
স্বেচ্ছাসেবক লীগের  গুলিবিদ্ধ নেতার মৃত্যু তিনজন গ্রেপ্তার

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ আট দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ছিলিমপুর (মেডিকেল) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন।

এদিকে অরেঞ্জ হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রাসেলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার ফাঁপোর এলাকা থেকে আরেক আসামি খায়রুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. সোহরাব হোসেন। অরেঞ্জের স্ত্রীর করা মামলায় খাইরুল ইসলাম ৩ নম্বর আসামি।  তিনি শহর যুবলীগের ৮ নম্বর ওর্য়াডের সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাড়া রাসেল বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রাম ব্যাংকপাড়া এলাকার এবং খায়রুল মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার বাসিন্দা। টিপু নামের আরেক আসামিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। টিপু মালগ্রাম কসাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আর এ নিয়ে অরেঞ্জ ও আপেলকে গুলিবিদ্ধের মামলায় গ্রেপ্তার হলেন তিনজন।

এর আগে ২ জানুয়ারি রাত পৌনে আটটার দিকে বগুড়া সদরের মালগ্রাম এলাকার ডাবতলা মোড়ে পূর্বশত্রুতার জেরে অরেঞ্জকে গুলি করা হয়। ওই সময় মিনহাজ হোসেন আপেল নামের আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হন।নিহত অরেঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ছিলেন। তিনি মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। আহত আপেলও একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বগুড়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২ জানুয়ারি রাতে মালগ্রাম এলাকার ডাবতলা মোড়ে অরেঞ্জ, আপেলসহ কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে হামলাকারীরা সেখানে এসে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্রও ছিল। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেন স্বজনেরা। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন অরেঞ্জ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে অরেঞ্জ ও আপেলের ওপর হামলা চালানো হয়। অরেঞ্জের বাম চোখের নিচে এবং আপেলের পেটে গুলি বিদ্ধ হয়। ওই রাতেই এ ঘটনায় মামলা করেন নাজমুল হাসান অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালি আক্তার।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাকির আল আহসান জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর করা মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। মো. সোহরাব হোসেন জানান, ঢাকায় র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত