রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স (তড়কা রোগ) আক্রান্ত সন্দেহে ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে চারজনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এ রোগে আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ২০ জনের মৃত্যুঝুঁকি থাকে।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় নতুন করে আরও দুজন ও মিঠাপুকুর উপজেলায় একজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১১ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। আজ বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রংপুরের পীরগাছায় আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। পাশাপাশি মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায়ও অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রংপুর বিভাগজুড়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি পশু জবাই করা হচ্ছে। কিন্তু এসব পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। বিভাগে ১ হাজার ৩০৩টি হাট-বাজার রয়েছে, তবে কোথাও নেই আধুনিক কসাইখানা বা ভেটেরিনারি সার্জনের উপস্থিতি।