রংপুর প্রতিনিধি

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
ঘটনাটি ঘটে ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে। তবে ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহম্মদের দাবি, তাঁরা ঘটনাটি মীমাংসা করেছেন।
এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব ও বিচার চান। পরে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রংপুর নগরীর পরশুরাম থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমতিয়াজ আহম্মদ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করার ঘটনায় একজন অভিভাবক অনলাইনে জিডি করেছেন। ওই বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ। তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হলে গত ১৮ জুলাই তিনি আবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হন।
সূত্রে জানা গেছে, হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ২৩০ জন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়ের টিফিন শেষে ক্লাস চলছিল। এমন সময় ইমতিয়াজ আহম্মদ মোটরসাইকেলে করে এসে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাসরুমে যান। সেখানে উপস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে চান। যেসব শিক্ষার্থী ‘অকৃতকার্য’ হয়েছে, তাদের একে একে ডেকে বেধড়ক মারধর করেন। তখন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা কোনো প্রতিবাদ করেননি।
১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘টিফিনের পর পঞ্চম ক্লাসে স্যারের (শ্রেণিশিক্ষক) সঙ্গে আমরা সবাই উপস্থিত আছি। ক্লাস চলাকালে উনি (সভাপতি) একটা বেত নিয়ে ঢুকে বলতেছে, কে কে ফেল করছ, দাঁড়াও। আমরা দাঁড়ালাম। পরে একেকজন করে ডাকছে, আর মারছে। আমাদের মারছে মারছে, মেয়েদেরও মারছে। মাইরে শরীর লাল হয়ে গেছে। নবম শ্রেণির ক্লাসে মারধর করতে করতে বেত ভেঙে ফেলেছে।’
একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাসে ঢুকে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কয় সাবজেক্টে ফেল করছো? আমি দুটা বলায় পিটুনি দেয়।’ আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের বই দেওয়া হয়েছিল গত এপ্রিলে। ক্লাস হয়েছিল অল্প দিন। আবার প্রশ্ন ছিল নতুন। এ কারণে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা বেশি কঠিন ছিল। বই দেওয়া দেরিতে ও পাঠ্যক্রম নতুন সৃজনশীল হওয়ায় আমরা ক্লাসের ৩ ভাগের আড়াই ভাগ ফেল করেছি। সভাপতি এসে এসব কিছু শোনেননি। ফেল করেছি, এ জন্য মারধর করেন।
অভিভাবকদের দাবি, ওই দিন ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়। এর মধ্যে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। জ্বর ও ব্যথা না কমায় এক শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি রাখতে হয় বলে জানান তার মা। ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমাকে দুই হাতে মারছে। অন্য বান্ধবীদের মেরেছে। শুধু দু-একজন ছাড়া সবাই মাইর খাইছে। যারা সেদিন ক্লাসে অনুপস্থিত, তাদের নাম লিখে নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি বলেন, ‘১৮-২০ দিন আগের ঘটনা। অকৃতকার্য হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একটু শাসন করেছি। এর আগে অভিভাবক সমাবেশ করছিলাম, সেখানে অভিভাবকেরাই শাসন করতে বলেছিলেন। বেধড়ক মারধর করিনি। এটা ফুললি সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগেই। ঘটনাটি জানার পরে দুজন অভিভাবক এসেছিলেন, তাঁরা পুরোটা শুনে বুঝতে পারছিল ওরকম কিছু না। তাঁরা আমাকে দোয়া দিয়ে চলে যান।’
শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, ‘মারধর করতে তো পারেন না। বাচ্চা, অভিভাবক নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছি। বাচ্চারাও মেনে নিয়েছে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। এটি নিষিদ্ধ। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। প্রধান শিক্ষকও এমন বিষয়টি জানাননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
ঘটনাটি ঘটে ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে। তবে ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহম্মদের দাবি, তাঁরা ঘটনাটি মীমাংসা করেছেন।
এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব ও বিচার চান। পরে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রংপুর নগরীর পরশুরাম থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমতিয়াজ আহম্মদ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করার ঘটনায় একজন অভিভাবক অনলাইনে জিডি করেছেন। ওই বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ। তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হলে গত ১৮ জুলাই তিনি আবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হন।
সূত্রে জানা গেছে, হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ২৩০ জন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়ের টিফিন শেষে ক্লাস চলছিল। এমন সময় ইমতিয়াজ আহম্মদ মোটরসাইকেলে করে এসে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাসরুমে যান। সেখানে উপস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে চান। যেসব শিক্ষার্থী ‘অকৃতকার্য’ হয়েছে, তাদের একে একে ডেকে বেধড়ক মারধর করেন। তখন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা কোনো প্রতিবাদ করেননি।
১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘টিফিনের পর পঞ্চম ক্লাসে স্যারের (শ্রেণিশিক্ষক) সঙ্গে আমরা সবাই উপস্থিত আছি। ক্লাস চলাকালে উনি (সভাপতি) একটা বেত নিয়ে ঢুকে বলতেছে, কে কে ফেল করছ, দাঁড়াও। আমরা দাঁড়ালাম। পরে একেকজন করে ডাকছে, আর মারছে। আমাদের মারছে মারছে, মেয়েদেরও মারছে। মাইরে শরীর লাল হয়ে গেছে। নবম শ্রেণির ক্লাসে মারধর করতে করতে বেত ভেঙে ফেলেছে।’
একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাসে ঢুকে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কয় সাবজেক্টে ফেল করছো? আমি দুটা বলায় পিটুনি দেয়।’ আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের বই দেওয়া হয়েছিল গত এপ্রিলে। ক্লাস হয়েছিল অল্প দিন। আবার প্রশ্ন ছিল নতুন। এ কারণে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা বেশি কঠিন ছিল। বই দেওয়া দেরিতে ও পাঠ্যক্রম নতুন সৃজনশীল হওয়ায় আমরা ক্লাসের ৩ ভাগের আড়াই ভাগ ফেল করেছি। সভাপতি এসে এসব কিছু শোনেননি। ফেল করেছি, এ জন্য মারধর করেন।
অভিভাবকদের দাবি, ওই দিন ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়। এর মধ্যে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। জ্বর ও ব্যথা না কমায় এক শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি রাখতে হয় বলে জানান তার মা। ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমাকে দুই হাতে মারছে। অন্য বান্ধবীদের মেরেছে। শুধু দু-একজন ছাড়া সবাই মাইর খাইছে। যারা সেদিন ক্লাসে অনুপস্থিত, তাদের নাম লিখে নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি বলেন, ‘১৮-২০ দিন আগের ঘটনা। অকৃতকার্য হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একটু শাসন করেছি। এর আগে অভিভাবক সমাবেশ করছিলাম, সেখানে অভিভাবকেরাই শাসন করতে বলেছিলেন। বেধড়ক মারধর করিনি। এটা ফুললি সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগেই। ঘটনাটি জানার পরে দুজন অভিভাবক এসেছিলেন, তাঁরা পুরোটা শুনে বুঝতে পারছিল ওরকম কিছু না। তাঁরা আমাকে দোয়া দিয়ে চলে যান।’
শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, ‘মারধর করতে তো পারেন না। বাচ্চা, অভিভাবক নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছি। বাচ্চারাও মেনে নিয়েছে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। এটি নিষিদ্ধ। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। প্রধান শিক্ষকও এমন বিষয়টি জানাননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রংপুর প্রতিনিধি

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
ঘটনাটি ঘটে ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে। তবে ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহম্মদের দাবি, তাঁরা ঘটনাটি মীমাংসা করেছেন।
এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব ও বিচার চান। পরে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রংপুর নগরীর পরশুরাম থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমতিয়াজ আহম্মদ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করার ঘটনায় একজন অভিভাবক অনলাইনে জিডি করেছেন। ওই বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ। তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হলে গত ১৮ জুলাই তিনি আবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হন।
সূত্রে জানা গেছে, হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ২৩০ জন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়ের টিফিন শেষে ক্লাস চলছিল। এমন সময় ইমতিয়াজ আহম্মদ মোটরসাইকেলে করে এসে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাসরুমে যান। সেখানে উপস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে চান। যেসব শিক্ষার্থী ‘অকৃতকার্য’ হয়েছে, তাদের একে একে ডেকে বেধড়ক মারধর করেন। তখন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা কোনো প্রতিবাদ করেননি।
১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘টিফিনের পর পঞ্চম ক্লাসে স্যারের (শ্রেণিশিক্ষক) সঙ্গে আমরা সবাই উপস্থিত আছি। ক্লাস চলাকালে উনি (সভাপতি) একটা বেত নিয়ে ঢুকে বলতেছে, কে কে ফেল করছ, দাঁড়াও। আমরা দাঁড়ালাম। পরে একেকজন করে ডাকছে, আর মারছে। আমাদের মারছে মারছে, মেয়েদেরও মারছে। মাইরে শরীর লাল হয়ে গেছে। নবম শ্রেণির ক্লাসে মারধর করতে করতে বেত ভেঙে ফেলেছে।’
একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাসে ঢুকে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কয় সাবজেক্টে ফেল করছো? আমি দুটা বলায় পিটুনি দেয়।’ আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের বই দেওয়া হয়েছিল গত এপ্রিলে। ক্লাস হয়েছিল অল্প দিন। আবার প্রশ্ন ছিল নতুন। এ কারণে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা বেশি কঠিন ছিল। বই দেওয়া দেরিতে ও পাঠ্যক্রম নতুন সৃজনশীল হওয়ায় আমরা ক্লাসের ৩ ভাগের আড়াই ভাগ ফেল করেছি। সভাপতি এসে এসব কিছু শোনেননি। ফেল করেছি, এ জন্য মারধর করেন।
অভিভাবকদের দাবি, ওই দিন ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়। এর মধ্যে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। জ্বর ও ব্যথা না কমায় এক শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি রাখতে হয় বলে জানান তার মা। ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমাকে দুই হাতে মারছে। অন্য বান্ধবীদের মেরেছে। শুধু দু-একজন ছাড়া সবাই মাইর খাইছে। যারা সেদিন ক্লাসে অনুপস্থিত, তাদের নাম লিখে নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি বলেন, ‘১৮-২০ দিন আগের ঘটনা। অকৃতকার্য হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একটু শাসন করেছি। এর আগে অভিভাবক সমাবেশ করছিলাম, সেখানে অভিভাবকেরাই শাসন করতে বলেছিলেন। বেধড়ক মারধর করিনি। এটা ফুললি সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগেই। ঘটনাটি জানার পরে দুজন অভিভাবক এসেছিলেন, তাঁরা পুরোটা শুনে বুঝতে পারছিল ওরকম কিছু না। তাঁরা আমাকে দোয়া দিয়ে চলে যান।’
শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, ‘মারধর করতে তো পারেন না। বাচ্চা, অভিভাবক নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছি। বাচ্চারাও মেনে নিয়েছে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। এটি নিষিদ্ধ। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। প্রধান শিক্ষকও এমন বিষয়টি জানাননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
ঘটনাটি ঘটে ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে। তবে ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহম্মদের দাবি, তাঁরা ঘটনাটি মীমাংসা করেছেন।
এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব ও বিচার চান। পরে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রংপুর নগরীর পরশুরাম থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমতিয়াজ আহম্মদ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করার ঘটনায় একজন অভিভাবক অনলাইনে জিডি করেছেন। ওই বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ। তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হলে গত ১৮ জুলাই তিনি আবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হন।
সূত্রে জানা গেছে, হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ২৩০ জন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়ের টিফিন শেষে ক্লাস চলছিল। এমন সময় ইমতিয়াজ আহম্মদ মোটরসাইকেলে করে এসে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাসরুমে যান। সেখানে উপস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে চান। যেসব শিক্ষার্থী ‘অকৃতকার্য’ হয়েছে, তাদের একে একে ডেকে বেধড়ক মারধর করেন। তখন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা কোনো প্রতিবাদ করেননি।
১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘টিফিনের পর পঞ্চম ক্লাসে স্যারের (শ্রেণিশিক্ষক) সঙ্গে আমরা সবাই উপস্থিত আছি। ক্লাস চলাকালে উনি (সভাপতি) একটা বেত নিয়ে ঢুকে বলতেছে, কে কে ফেল করছ, দাঁড়াও। আমরা দাঁড়ালাম। পরে একেকজন করে ডাকছে, আর মারছে। আমাদের মারছে মারছে, মেয়েদেরও মারছে। মাইরে শরীর লাল হয়ে গেছে। নবম শ্রেণির ক্লাসে মারধর করতে করতে বেত ভেঙে ফেলেছে।’
একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাসে ঢুকে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কয় সাবজেক্টে ফেল করছো? আমি দুটা বলায় পিটুনি দেয়।’ আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমাদের বই দেওয়া হয়েছিল গত এপ্রিলে। ক্লাস হয়েছিল অল্প দিন। আবার প্রশ্ন ছিল নতুন। এ কারণে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা বেশি কঠিন ছিল। বই দেওয়া দেরিতে ও পাঠ্যক্রম নতুন সৃজনশীল হওয়ায় আমরা ক্লাসের ৩ ভাগের আড়াই ভাগ ফেল করেছি। সভাপতি এসে এসব কিছু শোনেননি। ফেল করেছি, এ জন্য মারধর করেন।
অভিভাবকদের দাবি, ওই দিন ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়। এর মধ্যে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। জ্বর ও ব্যথা না কমায় এক শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি রাখতে হয় বলে জানান তার মা। ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমাকে দুই হাতে মারছে। অন্য বান্ধবীদের মেরেছে। শুধু দু-একজন ছাড়া সবাই মাইর খাইছে। যারা সেদিন ক্লাসে অনুপস্থিত, তাদের নাম লিখে নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি বলেন, ‘১৮-২০ দিন আগের ঘটনা। অকৃতকার্য হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একটু শাসন করেছি। এর আগে অভিভাবক সমাবেশ করছিলাম, সেখানে অভিভাবকেরাই শাসন করতে বলেছিলেন। বেধড়ক মারধর করিনি। এটা ফুললি সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগেই। ঘটনাটি জানার পরে দুজন অভিভাবক এসেছিলেন, তাঁরা পুরোটা শুনে বুঝতে পারছিল ওরকম কিছু না। তাঁরা আমাকে দোয়া দিয়ে চলে যান।’
শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, ‘মারধর করতে তো পারেন না। বাচ্চা, অভিভাবক নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছি। বাচ্চারাও মেনে নিয়েছে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। এটি নিষিদ্ধ। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। প্রধান শিক্ষকও এমন বিষয়টি জানাননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৬ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৬ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৭ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই বিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি। এরপর একে একে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৬ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে