বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের কথা গ্রামবাসীকে জানান তিনি। পরে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে করে ফেললেন তাঁর স্বপ্নপূরণ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের শ্মশান ঘাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকঢোল বাজিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষকে নেমন্তন্ন করে উৎসবমুখর পরিবেশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্য সম্পাদন করেছেন ওই গ্রামের ঠাকুর জগদীশ চক্রবর্তী। বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ।
দুই বৃক্ষের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি গ্রামের মানুষজন। কনে পাকুড়গাছের নামকরণ করা হয় স্বর্ণলতা, আর বর বটগাছের নামকরণ করা হয় গৌরব।
রীতি অনুসারে, কনের বাবা ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিংহ করেন সব আয়োজন এবং বরের বাবার হাতে কন্যাদান করেন। অন্যদিকে বরের বাবা জীতেন চন্দ্র সিংহ গ্রহণ করে নেন পুত্রবধূকে। এ ছাড়া কন্যার সাত ভাই এবং বরের দুই ভাই এক বোন বিবাহ অনুষ্ঠানে রীতির সব নিয়ম পূরণ করেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের মাঝে মাঠের ভেতর শ্মশান ঘাটের একপাশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের নিচে অপেক্ষা করছেন কনে পক্ষের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। কিছু সময় পর বর পক্ষের ৪০০-৫০০ নারী-পুরুষ আসেন ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে। এরপরে দুই পক্ষের আনা কাপড়চোপড়, চুড়ি, গয়না ও মালা দিয়ে সাজানো বর-কনেকে (দুই গাছকে)। ডাকা হয় ঠাকুরকে। মন্ত্র পড়ে মালাবদল ও সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় দুই গাছের।
গাছের বিয়ে দেখতে পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে আসা রবিন চন্দ্র বলেন, ‘গাছের বিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এখানে শ্বশুরবাড়ি, তাই খবর পেয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি।’ 
পীরগঞ্জ উপজেলার কাহারোল থেকে এসেছেন হিমালয় চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। খবর পেয়ে বিয়ের গাছের বিয়ে দেখা এবং ভিডিও ধারণ দুটোই একসঙ্গে হলো।’
বরের বোন জবা রানী বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম গাছের বিয়ের। এবার সরাসরি দেখার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে বরের বোন হিসেবে। বৌদির জন্য সব কেনাকাটা করেছি নিজেই।’
দুই গাছের বিয়েতে ঘটকালি করেছেন ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কৃষক অলিন চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বরের বাবার প্রস্তাব কনের বাবাকে দিই। এরপরে দুজনে রাজি হওয়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জীবনে অন্য কোনো বিয়ের ঘটকালি করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশ আনন্দিত।’ 
বর বটগাছের বাবা জীতেন চন্দ্র বলেন, ‘স্বপ্নের কথা গ্রামের লোকজনকে জানালে সবাই রাজি হয়ে যায়। দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে আজ ছেলের বিয়ে দিলাম। বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের অনেকেই উপোস রয়েছে।’
পাকুড়গাছ স্বর্ণলতা রানীর বাবা কার্তিক চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছি। এই বিয়ে এবং গাছ দুটি আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে, সমাজের অশান্তি দূর করবে।’
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি নূপুর বলেন, ‘বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে এসেছি। এর আগেও পাশের ইউনিয়নে একই রকম দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়েতে আপ্যায়ন ব্যতীত সবকিছুই অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মতোই হয়েছে।’

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের কথা গ্রামবাসীকে জানান তিনি। পরে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে করে ফেললেন তাঁর স্বপ্নপূরণ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের শ্মশান ঘাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকঢোল বাজিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষকে নেমন্তন্ন করে উৎসবমুখর পরিবেশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্য সম্পাদন করেছেন ওই গ্রামের ঠাকুর জগদীশ চক্রবর্তী। বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ।
দুই বৃক্ষের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি গ্রামের মানুষজন। কনে পাকুড়গাছের নামকরণ করা হয় স্বর্ণলতা, আর বর বটগাছের নামকরণ করা হয় গৌরব।
রীতি অনুসারে, কনের বাবা ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিংহ করেন সব আয়োজন এবং বরের বাবার হাতে কন্যাদান করেন। অন্যদিকে বরের বাবা জীতেন চন্দ্র সিংহ গ্রহণ করে নেন পুত্রবধূকে। এ ছাড়া কন্যার সাত ভাই এবং বরের দুই ভাই এক বোন বিবাহ অনুষ্ঠানে রীতির সব নিয়ম পূরণ করেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের মাঝে মাঠের ভেতর শ্মশান ঘাটের একপাশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের নিচে অপেক্ষা করছেন কনে পক্ষের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। কিছু সময় পর বর পক্ষের ৪০০-৫০০ নারী-পুরুষ আসেন ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে। এরপরে দুই পক্ষের আনা কাপড়চোপড়, চুড়ি, গয়না ও মালা দিয়ে সাজানো বর-কনেকে (দুই গাছকে)। ডাকা হয় ঠাকুরকে। মন্ত্র পড়ে মালাবদল ও সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় দুই গাছের।
গাছের বিয়ে দেখতে পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে আসা রবিন চন্দ্র বলেন, ‘গাছের বিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এখানে শ্বশুরবাড়ি, তাই খবর পেয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি।’ 
পীরগঞ্জ উপজেলার কাহারোল থেকে এসেছেন হিমালয় চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। খবর পেয়ে বিয়ের গাছের বিয়ে দেখা এবং ভিডিও ধারণ দুটোই একসঙ্গে হলো।’
বরের বোন জবা রানী বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম গাছের বিয়ের। এবার সরাসরি দেখার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে বরের বোন হিসেবে। বৌদির জন্য সব কেনাকাটা করেছি নিজেই।’
দুই গাছের বিয়েতে ঘটকালি করেছেন ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কৃষক অলিন চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বরের বাবার প্রস্তাব কনের বাবাকে দিই। এরপরে দুজনে রাজি হওয়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জীবনে অন্য কোনো বিয়ের ঘটকালি করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশ আনন্দিত।’ 
বর বটগাছের বাবা জীতেন চন্দ্র বলেন, ‘স্বপ্নের কথা গ্রামের লোকজনকে জানালে সবাই রাজি হয়ে যায়। দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে আজ ছেলের বিয়ে দিলাম। বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের অনেকেই উপোস রয়েছে।’
পাকুড়গাছ স্বর্ণলতা রানীর বাবা কার্তিক চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছি। এই বিয়ে এবং গাছ দুটি আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে, সমাজের অশান্তি দূর করবে।’
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি নূপুর বলেন, ‘বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে এসেছি। এর আগেও পাশের ইউনিয়নে একই রকম দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়েতে আপ্যায়ন ব্যতীত সবকিছুই অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মতোই হয়েছে।’
বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের কথা গ্রামবাসীকে জানান তিনি। পরে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে করে ফেললেন তাঁর স্বপ্নপূরণ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের শ্মশান ঘাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকঢোল বাজিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষকে নেমন্তন্ন করে উৎসবমুখর পরিবেশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্য সম্পাদন করেছেন ওই গ্রামের ঠাকুর জগদীশ চক্রবর্তী। বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ।
দুই বৃক্ষের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি গ্রামের মানুষজন। কনে পাকুড়গাছের নামকরণ করা হয় স্বর্ণলতা, আর বর বটগাছের নামকরণ করা হয় গৌরব।
রীতি অনুসারে, কনের বাবা ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিংহ করেন সব আয়োজন এবং বরের বাবার হাতে কন্যাদান করেন। অন্যদিকে বরের বাবা জীতেন চন্দ্র সিংহ গ্রহণ করে নেন পুত্রবধূকে। এ ছাড়া কন্যার সাত ভাই এবং বরের দুই ভাই এক বোন বিবাহ অনুষ্ঠানে রীতির সব নিয়ম পূরণ করেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের মাঝে মাঠের ভেতর শ্মশান ঘাটের একপাশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের নিচে অপেক্ষা করছেন কনে পক্ষের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। কিছু সময় পর বর পক্ষের ৪০০-৫০০ নারী-পুরুষ আসেন ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে। এরপরে দুই পক্ষের আনা কাপড়চোপড়, চুড়ি, গয়না ও মালা দিয়ে সাজানো বর-কনেকে (দুই গাছকে)। ডাকা হয় ঠাকুরকে। মন্ত্র পড়ে মালাবদল ও সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় দুই গাছের।
গাছের বিয়ে দেখতে পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে আসা রবিন চন্দ্র বলেন, ‘গাছের বিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এখানে শ্বশুরবাড়ি, তাই খবর পেয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি।’ 
পীরগঞ্জ উপজেলার কাহারোল থেকে এসেছেন হিমালয় চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। খবর পেয়ে বিয়ের গাছের বিয়ে দেখা এবং ভিডিও ধারণ দুটোই একসঙ্গে হলো।’
বরের বোন জবা রানী বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম গাছের বিয়ের। এবার সরাসরি দেখার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে বরের বোন হিসেবে। বৌদির জন্য সব কেনাকাটা করেছি নিজেই।’
দুই গাছের বিয়েতে ঘটকালি করেছেন ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কৃষক অলিন চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বরের বাবার প্রস্তাব কনের বাবাকে দিই। এরপরে দুজনে রাজি হওয়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জীবনে অন্য কোনো বিয়ের ঘটকালি করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশ আনন্দিত।’ 
বর বটগাছের বাবা জীতেন চন্দ্র বলেন, ‘স্বপ্নের কথা গ্রামের লোকজনকে জানালে সবাই রাজি হয়ে যায়। দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে আজ ছেলের বিয়ে দিলাম। বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের অনেকেই উপোস রয়েছে।’
পাকুড়গাছ স্বর্ণলতা রানীর বাবা কার্তিক চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছি। এই বিয়ে এবং গাছ দুটি আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে, সমাজের অশান্তি দূর করবে।’
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি নূপুর বলেন, ‘বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে এসেছি। এর আগেও পাশের ইউনিয়নে একই রকম দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়েতে আপ্যায়ন ব্যতীত সবকিছুই অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মতোই হয়েছে।’

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের কথা গ্রামবাসীকে জানান তিনি। পরে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে করে ফেললেন তাঁর স্বপ্নপূরণ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের শ্মশান ঘাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকঢোল বাজিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষকে নেমন্তন্ন করে উৎসবমুখর পরিবেশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্য সম্পাদন করেছেন ওই গ্রামের ঠাকুর জগদীশ চক্রবর্তী। বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ।
দুই বৃক্ষের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি গ্রামের মানুষজন। কনে পাকুড়গাছের নামকরণ করা হয় স্বর্ণলতা, আর বর বটগাছের নামকরণ করা হয় গৌরব।
রীতি অনুসারে, কনের বাবা ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিংহ করেন সব আয়োজন এবং বরের বাবার হাতে কন্যাদান করেন। অন্যদিকে বরের বাবা জীতেন চন্দ্র সিংহ গ্রহণ করে নেন পুত্রবধূকে। এ ছাড়া কন্যার সাত ভাই এবং বরের দুই ভাই এক বোন বিবাহ অনুষ্ঠানে রীতির সব নিয়ম পূরণ করেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের মাঝে মাঠের ভেতর শ্মশান ঘাটের একপাশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের নিচে অপেক্ষা করছেন কনে পক্ষের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। কিছু সময় পর বর পক্ষের ৪০০-৫০০ নারী-পুরুষ আসেন ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে। এরপরে দুই পক্ষের আনা কাপড়চোপড়, চুড়ি, গয়না ও মালা দিয়ে সাজানো বর-কনেকে (দুই গাছকে)। ডাকা হয় ঠাকুরকে। মন্ত্র পড়ে মালাবদল ও সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় দুই গাছের।
গাছের বিয়ে দেখতে পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে আসা রবিন চন্দ্র বলেন, ‘গাছের বিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এখানে শ্বশুরবাড়ি, তাই খবর পেয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি।’ 
পীরগঞ্জ উপজেলার কাহারোল থেকে এসেছেন হিমালয় চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। খবর পেয়ে বিয়ের গাছের বিয়ে দেখা এবং ভিডিও ধারণ দুটোই একসঙ্গে হলো।’
বরের বোন জবা রানী বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম গাছের বিয়ের। এবার সরাসরি দেখার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে বরের বোন হিসেবে। বৌদির জন্য সব কেনাকাটা করেছি নিজেই।’
দুই গাছের বিয়েতে ঘটকালি করেছেন ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কৃষক অলিন চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বরের বাবার প্রস্তাব কনের বাবাকে দিই। এরপরে দুজনে রাজি হওয়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জীবনে অন্য কোনো বিয়ের ঘটকালি করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশ আনন্দিত।’ 
বর বটগাছের বাবা জীতেন চন্দ্র বলেন, ‘স্বপ্নের কথা গ্রামের লোকজনকে জানালে সবাই রাজি হয়ে যায়। দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে আজ ছেলের বিয়ে দিলাম। বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের অনেকেই উপোস রয়েছে।’
পাকুড়গাছ স্বর্ণলতা রানীর বাবা কার্তিক চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছি। এই বিয়ে এবং গাছ দুটি আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে, সমাজের অশান্তি দূর করবে।’
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি নূপুর বলেন, ‘বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে এসেছি। এর আগেও পাশের ইউনিয়নে একই রকম দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়েতে আপ্যায়ন ব্যতীত সবকিছুই অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মতোই হয়েছে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের
১৮ জুন ২০২৪
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের
১৮ জুন ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের
১৮ জুন ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেদেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের
১৮ জুন ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে