কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
‘অবস্থা এমন খারাপ যে সামলায় যায় না! কোনটা ধরি কোনটা সরাই! গাছপালা, খড়ের পালা সউগ (সব) শ্যাষ! খালি ঘরের চালটা করি সরাবার পাছি। এলা যে কোটাই যায়া থাকমো সেটায় কবার পাই না।’
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পাড়ে আকস্মিক ভাঙনে এভাবেই ভিটেমাটি হারানোর বর্ণনা দিচ্ছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা দেওয়ান আলী।
গতকাল রোববার রাতে ধরলার তীব্র ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছেন এই দিনমজুর। শুধু দেওয়ান আলী নন, তাঁর গ্রামের অনেকের এখন এমন সঙিন অবস্থা।
সরেজমিন জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুড়িগ্রামে হঠাৎ ধরলা নদী খরস্রোতা হয়ে ওঠে। গতকাল রাতে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে নদীর পাড়ের তীব্র ভাঙনে বসতভিটাসহ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূমি অফিসসহ বসতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বলছে, গতকাল রাতে ধরলার তীরবর্তী বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খুদিরকুটি ব্যাপারীপাড়া গ্রামে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের তীব্রতায় মানুষ রাত জেগে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে শুরু করেন। এরই মধ্যে করিম বাদশা, লুৎফর মুন্সি, দেওয়ান আলী, মোহাম্মদ আলী ও রোস্তমের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়। কোনো রকমে তাঁরা ঘরের চালসহ জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে পেরেছেন। এ ছাড়াও এক রাতেই অন্তত শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, শত শত গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। এখনো ভাঙন হুমকিতে শতাধিক পরিবার ও প্রতিষ্ঠান।
ভাঙনের শিকার দিনমজুর রোস্তম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কপাল ভালো ভাঙন টের পাইছি। না হইলে মানুষ সুদ্দায় নদীতে ভাসি গেইলাম হয়। কোনোমতে ঘরগুলা সরবার পাছি। কিন্তু এলা কোটাই যায়া কেমন করি থাকমো, সেই কিনারা পাইতেছি না।’
রাতের ভাঙনের পর সারা দিনে লোকালয়ের দিকে স্রোত অগ্রসর ছিল ধরলার। এর বাঁ তীরের নিকটবর্তী বসতভিটা ভাঙন হুমকিতে দাঁড়িয়ে আছে।
কথা হয় ভাঙনের শিকার আরেক দিনমজুর সামেদ আলীর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটা ঘরের চাল সরে নিয়া স্কুল মাঠত থুচি। ভিটার অর্ধেক গেইছে। এখন বাকিকোনাও বুঝি যায়! একজনের কাছত ঘর তুলি থাকার জন্য জমি চাছি। না দিলে কোটেই থাকমো সে উপায় নাই।’
ধরলার ভাঙনে হুমকিতে আছে ওই ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুদির কুটি আব্দুল হামিদ উচ্চবিদ্যালয়। তৎসংলগ্ন বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ভূমি অফিস ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আক্কেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ছাড়া আবাদি জমিসহ বিভিন্ন বসতি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে এক রাতেই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পরিবার ভিটামাটি হারিয়েছে। অনেক আবাদি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। আমার নিজের বাড়িও ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। অনেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অন্তত এক হাজার মিটার প্রতিরক্ষা কাজ করা প্রয়োজন। তা নাহলে কোনো কিছুই রক্ষা করা যাবে না।’
ভাঙনের খবরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক দুই হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলার অনুমতি দিয়েছে জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও পাউবো থেকে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেগমগঞ্জে ধরলার বাম তীরে প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে ভাঙন হয়েছে। এত বড় অংশে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ করার বরাদ্দ নেই। ভাঙনের খবরে আমরা তাৎক্ষণিক দুই হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্থাপনাগুলো রক্ষায় আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
‘অবস্থা এমন খারাপ যে সামলায় যায় না! কোনটা ধরি কোনটা সরাই! গাছপালা, খড়ের পালা সউগ (সব) শ্যাষ! খালি ঘরের চালটা করি সরাবার পাছি। এলা যে কোটাই যায়া থাকমো সেটায় কবার পাই না।’
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পাড়ে আকস্মিক ভাঙনে এভাবেই ভিটেমাটি হারানোর বর্ণনা দিচ্ছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা দেওয়ান আলী।
গতকাল রোববার রাতে ধরলার তীব্র ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছেন এই দিনমজুর। শুধু দেওয়ান আলী নন, তাঁর গ্রামের অনেকের এখন এমন সঙিন অবস্থা।
সরেজমিন জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুড়িগ্রামে হঠাৎ ধরলা নদী খরস্রোতা হয়ে ওঠে। গতকাল রাতে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে নদীর পাড়ের তীব্র ভাঙনে বসতভিটাসহ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূমি অফিসসহ বসতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বলছে, গতকাল রাতে ধরলার তীরবর্তী বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খুদিরকুটি ব্যাপারীপাড়া গ্রামে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের তীব্রতায় মানুষ রাত জেগে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে শুরু করেন। এরই মধ্যে করিম বাদশা, লুৎফর মুন্সি, দেওয়ান আলী, মোহাম্মদ আলী ও রোস্তমের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়। কোনো রকমে তাঁরা ঘরের চালসহ জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে পেরেছেন। এ ছাড়াও এক রাতেই অন্তত শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, শত শত গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। এখনো ভাঙন হুমকিতে শতাধিক পরিবার ও প্রতিষ্ঠান।
ভাঙনের শিকার দিনমজুর রোস্তম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কপাল ভালো ভাঙন টের পাইছি। না হইলে মানুষ সুদ্দায় নদীতে ভাসি গেইলাম হয়। কোনোমতে ঘরগুলা সরবার পাছি। কিন্তু এলা কোটাই যায়া কেমন করি থাকমো, সেই কিনারা পাইতেছি না।’
রাতের ভাঙনের পর সারা দিনে লোকালয়ের দিকে স্রোত অগ্রসর ছিল ধরলার। এর বাঁ তীরের নিকটবর্তী বসতভিটা ভাঙন হুমকিতে দাঁড়িয়ে আছে।
কথা হয় ভাঙনের শিকার আরেক দিনমজুর সামেদ আলীর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটা ঘরের চাল সরে নিয়া স্কুল মাঠত থুচি। ভিটার অর্ধেক গেইছে। এখন বাকিকোনাও বুঝি যায়! একজনের কাছত ঘর তুলি থাকার জন্য জমি চাছি। না দিলে কোটেই থাকমো সে উপায় নাই।’
ধরলার ভাঙনে হুমকিতে আছে ওই ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুদির কুটি আব্দুল হামিদ উচ্চবিদ্যালয়। তৎসংলগ্ন বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ভূমি অফিস ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আক্কেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ছাড়া আবাদি জমিসহ বিভিন্ন বসতি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধরলার ভাঙনে এক রাতেই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পরিবার ভিটামাটি হারিয়েছে। অনেক আবাদি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। আমার নিজের বাড়িও ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। অনেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অন্তত এক হাজার মিটার প্রতিরক্ষা কাজ করা প্রয়োজন। তা নাহলে কোনো কিছুই রক্ষা করা যাবে না।’
ভাঙনের খবরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক দুই হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলার অনুমতি দিয়েছে জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও পাউবো থেকে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেগমগঞ্জে ধরলার বাম তীরে প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে ভাঙন হয়েছে। এত বড় অংশে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ করার বরাদ্দ নেই। ভাঙনের খবরে আমরা তাৎক্ষণিক দুই হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্থাপনাগুলো রক্ষায় আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে