কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। অন্য নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তা অববাহিকার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙনের হুমকিতে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্থানীয় বাজারসহ অন্তত শতাধিক পরিবার।
কুড়িগ্রামে পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম (ধরলা ব্রিজ) পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বেড়ে ক্রমশ বিপৎসীমার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে দুধকুমার নদের পানি বেড়ে এর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নদতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে ওই সব এলাকার সবজিখেত।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ফান্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল বলেন, ‘দুধকুমারের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি প্রবেশ না করলেও চারপাশে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি বাড়তে থাকলে বাড়িঘরে প্রবেশ করবে।’
ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্যার চোখরাঙানির সঙ্গে তিস্তার তীরে শুরু হয়েছে ভাঙন। রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাড় ভেঙে একের পর এক বসতভিটা আর আবাদি জমি নিজের গর্ভে নিয়ে নিচ্ছে আগ্রাসী এই নদী। ভাঙনের কিনারে নিরুপায় দিন যাপন করছে অনেক দিনমজুর পরিবার। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেফারুল ইসলাম জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে বসতি সরিয়ে নিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। ভাঙনের হুমকিতে আছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার জুম্মা এলাকা থেকে মৌলভীপাড়া পর্যন্ত তীরবর্তী শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
ইউপি সদস্য সেফারুল বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিবারগুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।’
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে কুড়িগ্রামে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নদনদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। কয়েকটি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলাগুলোতে ত্রাণসহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। অন্য নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তা অববাহিকার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙনের হুমকিতে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্থানীয় বাজারসহ অন্তত শতাধিক পরিবার।
কুড়িগ্রামে পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম (ধরলা ব্রিজ) পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বেড়ে ক্রমশ বিপৎসীমার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে দুধকুমার নদের পানি বেড়ে এর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নদতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে ওই সব এলাকার সবজিখেত।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ফান্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল বলেন, ‘দুধকুমারের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি প্রবেশ না করলেও চারপাশে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি বাড়তে থাকলে বাড়িঘরে প্রবেশ করবে।’
ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্যার চোখরাঙানির সঙ্গে তিস্তার তীরে শুরু হয়েছে ভাঙন। রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাড় ভেঙে একের পর এক বসতভিটা আর আবাদি জমি নিজের গর্ভে নিয়ে নিচ্ছে আগ্রাসী এই নদী। ভাঙনের কিনারে নিরুপায় দিন যাপন করছে অনেক দিনমজুর পরিবার। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেফারুল ইসলাম জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে বসতি সরিয়ে নিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। ভাঙনের হুমকিতে আছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার জুম্মা এলাকা থেকে মৌলভীপাড়া পর্যন্ত তীরবর্তী শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
ইউপি সদস্য সেফারুল বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিবারগুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।’
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে কুড়িগ্রামে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নদনদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। কয়েকটি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলাগুলোতে ত্রাণসহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’
মোংলায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের পূর্বঘোষিত সমাবেশ বিএনপি–সমর্থিত শ্রমিকদের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। এতে এনসিপির নেত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামে স্কুলে গিয়ে নিখোঁজের পরদিন মো. রাহাত (১৩) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে রাহাতের বন্ধুরা তাকে হত্যা করেছে। আজ বুধবার ভোরে নগরের চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে কর্দমাক্ত অবস্থায় রাহাতের লাশ উদ্ধার
৩০ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিন মৃধার ছেলে জহুরুল ইসলাম মৃধা (৪৫) ও মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বিভাগ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় আবাসিক ভবনের দশতলা ছাদ থেকে পড়ে তাসকিয়া তানহা (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বজনেরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎ
১ ঘণ্টা আগে