Ajker Patrika

১৭১৫ সালে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মিলল ১২ কোটি টাকার সোনা-রুপার মুদ্রা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১৫
মুদ্রাগুলোকে ‘পিসেস অব এইট’ নামে ডাকা হয়। ছবি: সংগৃহীত
মুদ্রাগুলোকে ‘পিসেস অব এইট’ নামে ডাকা হয়। ছবি: সংগৃহীত

১৭১৫ সালে ডুবে যাওয়া এক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে মিলল হাজারেরও বেশি রৌপ্যমুদ্রা এবং পাঁচটি স্বর্ণমুদ্রা। এর আনুমানিক বাজারমূল্য এক মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফ্লোরিডার উপকূলে জাহাজডুবির স্পট থেকে এসব মুদ্রা উদ্ধার করেছে ১৭১৫ ফ্লিট–কুইন্স জুয়েলস এলএলসি নামের এক জাহাজ উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান।

মোটর ভেসেল জাস্ট রাইটের ক্যাপ্টেন লেভিন শেভার্স এবং তাঁর ক্রুরা ফ্লোরিডার ট্রেজার কোস্টের কাছে এই রৌপ্যমুদ্রাগুলো পান, যেগুলো ‘রিয়েলস’ নামে পরিচিত। আর উদ্ধার হওয়া পাঁচটি স্বর্ণমুদ্রা যেগুলো ‘এস্কুদোস’ নামে পরিচিত।

জাহাজ উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ধনভান্ডার আসলে অনেক বড় একটি ভান্ডারের অংশ। ১৭১৫ সালের ৩১ জুলাই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে স্প্যানিশ নৌবহর ডুবে যাওয়ার সময় হারিয়ে গিয়েছিল এই অর্থসম্পদ। নৌবহরটি স্পেনের দিকে যাচ্ছিল। ঐতিহাসিকদের ধারণা, ওই ঝড়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সোনা, রুপার মুদ্রা ও গয়না সমুদ্রে হারিয়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন ডিরেক্টর স্যাল গুটুসো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই আবিষ্কার কেবল ধনসম্পদ নয়, এর সঙ্গে জড়িত ইতিহাসও। প্রতিটি মুদ্রা ইতিহাসের অংশ। স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগের কথা তুলে ধরে এগুলো। সে সময় যাঁরা বেঁচে ছিলেন, কাজ করেছেন এবং সাগর পাড়ি দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ তৈরি করে এগুলো। একসঙ্গে ১ হাজার মুদ্রা পাওয়া বিরল এবং একই সঙ্গে বিস্ময়কর।’

মুদ্রাগুলোকে ‘পিসেস অব এইট’ নামে ডাকা হয়। এগুলো মেক্সিকো, পেরু ও বলিভিয়ার স্প্যানিশ উপনিবেশে তৈরি হয়েছিল। অনেক মুদ্রায় এখনো তারিখ ও টাঁকশালের চিহ্ন স্পষ্ট রয়েছে, যা এগুলোকে ঐতিহাসিক ও সংগ্রাহক উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। মুদ্রাগুলোর অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো কোনো একটি সিন্দুক বা চালানের অংশ ছিল, যা জাহাজটি ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যাওয়ার সময় সাগরে ছড়িয়ে পড়ে।

আবিষ্কারের স্থানটি ফ্লোরিডার সমুদ্রসীমায় ‘ট্রেজার কোস্ট’ নামে পরিচিত একটি স্থানে। এখানে কঠোর সরকারি তত্ত্বাবধান ও প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দেশিকা মেনে আধুনিক উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে এখনো সেই দুর্ভাগা নৌবহরের ধ্বংসাবশেষ খোঁজা হচ্ছে।

মুদ্রাগুলোকে ‘পিসেস অব এইট’ নামে ডাকা হয়। ছবি: সংগৃহীত
মুদ্রাগুলোকে ‘পিসেস অব এইট’ নামে ডাকা হয়। ছবি: সংগৃহীত

স্যাল গুটুসো আরও যোগ করেন, ‘প্রতিটি আবিষ্কারই ১৭১৫ সালের নৌবহরের গল্পটিকে আরও বাস্তব করতে সাহায্য করে। আমরা এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও গবেষণার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে।’

উদ্ধার করা মুদ্রাগুলো জনসমক্ষে প্রদর্শনের আগে সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। স্থানীয় জাদুঘরগুলোতে বাছাই করা কিছু মুদ্রা প্রদর্শনের পরিকল্পনা চলছে, যাতে ফ্লোরিডাবাসী এবং পর্যটকেরা সরাসরি দেখতে পারেন ফ্লোরিডার সামুদ্রিক অতীতের এই ধনভান্ডার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ সালের রমজানের সম্ভাব্য তারিখ জানালেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

যৌনকর্মীকে হোটেলে ডেকে ছিনতাই, সিঙ্গাপুরে দুই ভারতীয়কে কারাদণ্ড ও বেত্রাঘাত

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গুলতেকিন খানের পোস্ট, কেন এত আলোচনা

ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা প্রশাসনে থাকবে কট্টর জায়নবাদী ও বিলিয়নিয়ার, নথি ফাঁস

‘ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত