পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
উজানের ঢল ও গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে পানির নিচে তলিয়ে থাকা কৃষি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষেরা।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের ঢলে গত দুদিন ধরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে সকাল ৬টা ও ৯টায় তিস্তার পানি প্রবাহ যথাক্রমে রেকর্ড করা হয়ে ৫২ দশমিক ২৫ ও ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। পানির গতিনিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আজ রোববারও পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিস্তার পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে দ্রুত পানি কমে যাবে বলে আশা করছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তাবেষ্টিত ১০টি গ্রাম এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কোথাও কোথাও কোমর পরিমাণ পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। সদ্য রোপণ করা আমন ধান রয়েছে পানির নিচে। মৎস্য চাষের পুকুরগুলো উপচে ভেসে গেছে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ।
শিবদেব চরের আব্দুর রহিম নামের এক কৃষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক পাশে নদীর পানি বাড়ছে, আরেক পাশে দুই দিন থাকি মুষলধারে বৃষ্টি হইতেছে। ঘর থাকি বাহির হওয়া যায় না। অনেক সমস্যায় আছি, রাস্তাঘাট পানির নিচোত, কাজকাম নাই। কি খায়া বাঁচি।’
জুয়ান গ্রামের মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার দুই একর জমির রোপা আমন ধান পানির নিচোত আছে। বেশি দিন থাকলে নষ্ট হয়া যাইবে। আশপাশে শাকসবজি খেতও পানি উঠিয়া নষ্ট হয়া গেইছে।’
এ বিষয়ে তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তর তাম্বুলপুর ও রহমাতের চর এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।’
স্থানীয় ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ‘পানিবন্দী লোকজনের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত পানি না নামলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত রয়েছে। শুকনা খাবারের মজুত রয়েছে।’
উজানের ঢল ও গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে পানির নিচে তলিয়ে থাকা কৃষি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষেরা।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের ঢলে গত দুদিন ধরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে সকাল ৬টা ও ৯টায় তিস্তার পানি প্রবাহ যথাক্রমে রেকর্ড করা হয়ে ৫২ দশমিক ২৫ ও ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। পানির গতিনিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আজ রোববারও পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিস্তার পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে দ্রুত পানি কমে যাবে বলে আশা করছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তাবেষ্টিত ১০টি গ্রাম এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কোথাও কোথাও কোমর পরিমাণ পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। সদ্য রোপণ করা আমন ধান রয়েছে পানির নিচে। মৎস্য চাষের পুকুরগুলো উপচে ভেসে গেছে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ।
শিবদেব চরের আব্দুর রহিম নামের এক কৃষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক পাশে নদীর পানি বাড়ছে, আরেক পাশে দুই দিন থাকি মুষলধারে বৃষ্টি হইতেছে। ঘর থাকি বাহির হওয়া যায় না। অনেক সমস্যায় আছি, রাস্তাঘাট পানির নিচোত, কাজকাম নাই। কি খায়া বাঁচি।’
জুয়ান গ্রামের মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার দুই একর জমির রোপা আমন ধান পানির নিচোত আছে। বেশি দিন থাকলে নষ্ট হয়া যাইবে। আশপাশে শাকসবজি খেতও পানি উঠিয়া নষ্ট হয়া গেইছে।’
এ বিষয়ে তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তর তাম্বুলপুর ও রহমাতের চর এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।’
স্থানীয় ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ‘পানিবন্দী লোকজনের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত পানি না নামলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত রয়েছে। শুকনা খাবারের মজুত রয়েছে।’
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৯ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১৩ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩৩ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগে