সিলেট সিটি
লবীব আহমদ, সিলেট
সিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। যাঁরা আছেন, তাঁরাও বাড়ি যাওয়ার জন্য অনেকটা উদ্গ্রীব। এমন অবস্থা ছাত্রাবাসের বাকি ছয়টি ব্লকেও।
শুধু এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নয়, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওতাধীন সব এলাকায় এই সমস্যা। পানির তীব্র সংকটে ভুগছে নগরের বাসিন্দারা। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারেও রয়েছে পানির সমস্যা।
সিসিক জানায়, প্রতিদিন সিলেট নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরোনো ২৪টি ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ করা হয়। এই ২৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন পানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ১০ কোটি লিটার। এর মধ্যে তারা দিতে পারছে ৫ কোটি ৮০ লাখ লিটার। সিসিকের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে দুটি। এর মধ্যে একটির ধারণক্ষমতা ২ কোটি লিটার, আরেকটির ৮০ লাখ। ৪৫টি গভীর নলকূপ থেকে প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার পানি পাওয়া যায়। সুতরাং প্রায় অর্ধেক ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন অর্ধেক পানি সরবরাহ করছে। আর বাকি ১৮টি ওয়ার্ডকে পানির আওতায় আনা যায়নি।
এদিকে এই সংকট পূরণের জন্য ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের জন্য চেঙ্গেরখাল পানি শোধনাগার প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ থমকে আছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এ ছাড়া প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা তোপখানার শতবর্ষী পাম্পটিও প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকের শিক্ষার্থী নাহিদুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চলছে পানির এই সমস্যা। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। পানির এতই সংকট যে আমি বাড়ি চলে আসছি। আমার মতো আরও অনেকে বাড়ি চলে গেছে।’
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান বলেন, ‘হোস্টেলের প্রতিটি ব্লকেই পানির সমস্যা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করছি।’
অন্যদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ১ হাজার ৬১৭ জন কারাবন্দী আছেন। তাঁদের পানির চাহিদা মেটাতে কারা অভ্যন্তরে রয়েছে পানির আটটি পাম্প। এগুলোর মধ্যে কয়েক মাস ধরে পাঁচটি পাম্প পুরোপুরি অচল রয়েছে। এখন সচল থাকা তিনটি পাম্প দিয়েই সব বন্দীর পানির চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নাহিদা পারভীন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু সমাধান করার। একটি (পাম্প) ঠিক করলে আরেকটি নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে চলছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পানি দিতে পারছি না। সে কারণে নগরজুড়ে বিভিন্ন সময় পানির সংকট দেখা দেয়। এখন চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করা যাচ্ছে। চেঙ্গেরখালের পাম্পটি ঠিক হয়ে গেলে সংকট কেটে যাবে। আপাতত সিটির ২৪টি ওয়ার্ডে আমরা পানি সরবরাহ করছি।’
সিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। যাঁরা আছেন, তাঁরাও বাড়ি যাওয়ার জন্য অনেকটা উদ্গ্রীব। এমন অবস্থা ছাত্রাবাসের বাকি ছয়টি ব্লকেও।
শুধু এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নয়, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওতাধীন সব এলাকায় এই সমস্যা। পানির তীব্র সংকটে ভুগছে নগরের বাসিন্দারা। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারেও রয়েছে পানির সমস্যা।
সিসিক জানায়, প্রতিদিন সিলেট নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরোনো ২৪টি ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ করা হয়। এই ২৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন পানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ১০ কোটি লিটার। এর মধ্যে তারা দিতে পারছে ৫ কোটি ৮০ লাখ লিটার। সিসিকের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে দুটি। এর মধ্যে একটির ধারণক্ষমতা ২ কোটি লিটার, আরেকটির ৮০ লাখ। ৪৫টি গভীর নলকূপ থেকে প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার পানি পাওয়া যায়। সুতরাং প্রায় অর্ধেক ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন অর্ধেক পানি সরবরাহ করছে। আর বাকি ১৮টি ওয়ার্ডকে পানির আওতায় আনা যায়নি।
এদিকে এই সংকট পূরণের জন্য ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের জন্য চেঙ্গেরখাল পানি শোধনাগার প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ থমকে আছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এ ছাড়া প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা তোপখানার শতবর্ষী পাম্পটিও প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকের শিক্ষার্থী নাহিদুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চলছে পানির এই সমস্যা। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। পানির এতই সংকট যে আমি বাড়ি চলে আসছি। আমার মতো আরও অনেকে বাড়ি চলে গেছে।’
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান বলেন, ‘হোস্টেলের প্রতিটি ব্লকেই পানির সমস্যা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করছি।’
অন্যদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ১ হাজার ৬১৭ জন কারাবন্দী আছেন। তাঁদের পানির চাহিদা মেটাতে কারা অভ্যন্তরে রয়েছে পানির আটটি পাম্প। এগুলোর মধ্যে কয়েক মাস ধরে পাঁচটি পাম্প পুরোপুরি অচল রয়েছে। এখন সচল থাকা তিনটি পাম্প দিয়েই সব বন্দীর পানির চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নাহিদা পারভীন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু সমাধান করার। একটি (পাম্প) ঠিক করলে আরেকটি নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে চলছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পানি দিতে পারছি না। সে কারণে নগরজুড়ে বিভিন্ন সময় পানির সংকট দেখা দেয়। এখন চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করা যাচ্ছে। চেঙ্গেরখালের পাম্পটি ঠিক হয়ে গেলে সংকট কেটে যাবে। আপাতত সিটির ২৪টি ওয়ার্ডে আমরা পানি সরবরাহ করছি।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
৩ ঘণ্টা আগে