Ajker Patrika

শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০০: ০৫
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া নোমানী ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া নোমানী ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিবলী নোমানী ইসলাম নিলয় নামের এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। অন্য দুই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিলয়ের আচরণ হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত বেপরোয়া।

শাস্তি পাওয়া অন্য তিন শিক্ষার্থী হলেন আইন ও মানবাধিকার বিভাগের শিক্ষার্থী ফারারুজ্জামান বাধন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নূর-ই আলম সিদ্দিকী ও রিজওয়ান তানভীর মীম। বাধনকে দুই সেমিস্টার ও নূর-ই আলমকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। রিজওয়ানের পড়াশোনা শেষ হয়ে গেছে। তাই ছয় মাসের জন্য তাঁর সনদ অকার্যকর করা হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াইব হোসেন ও মুরশিদা মেহেরিন হাসিকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

জানা গেছে, শিবলী নোমানী ২০২৩ সালের সামার সেমিস্টারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর বাবা শফিকুল ইসলাম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবলী ছাত্রদলের কমিটি করার চেষ্টা করছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। তারপরও শিবলী নোমানী সেখানে ছাত্ররাজনীতি শুরু করেছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়ে ছাত্রদলের ফরম পূরণ করতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া কথায় কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিচার বিভাগ; এমনকি পুলিশ-প্রশাসনকে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেন শিবলী। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছিল।

এ ছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী না হলেও গত ২৮ নভেম্বর শিবলী ওই বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে যান এবং এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীর চোয়ালের হাড় ভেঙে যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা করে আহত শিক্ষার্থীর পরিবার। একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়েও ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন শিবলী নোমানী। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সার্বিক বিষয় নিয়ে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। পাশাপাশি শৃঙ্খলা কমিটিও সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আজ বুধবার শিবলী নোমানীর মোবাইল নম্বরে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তাই তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত